সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Monday, June 29, 2015

হাসির মানুষ পাপ্পুর চিরবিদায়

মজার মজার কথা বলে মানুষ হাসাতেন
মো. রাশেদ রানা পাপ্পু। তবে জনপ্রিয়
এই কৌতুক অভিনেতা আর মানুষ হাসাবেন
না। আজ সোমবার (২৯ জুন) ভোরে সেহরি
খাওয়ার পরপরই লালবাগে নিজের
বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন) ।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন পাপ্পু।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে অল্প সময়ে।
প্রায় নয় বছর আগে বড় ছেলে মারা
যাওয়ার পর একমাত্র পুত্র আবির ও স্ত্রী
নিপাকে নিয়েই ছিলো তার সংসার।
পাপ্পুর অকাল মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক
অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সোমবার বাদ জোহর রাজধানীর
লালবাগের কাজী দেওয়ান
তালগাছওয়ালা মসজিদে নামাজে
জানাজার পর তাকে আজিমপুর
কবরস্থানে দাফন করা হয়। বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন পাপ্পুর মামা জাভেদ।
তিনি জানান, প্রায় তিন-চার মাস আগে
হৃদরোগের কারণে বেশ কিছুদিন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন
পাপ্পু। শারীরিক অসুস্থতার কারণে
নিয়মিত অনুষ্ঠান করতে পারতেন না। তবে
জীবিকা নির্বাহের জন্য চেষ্টা করতেন।
চেকআপের জন্য দু’এক দিনের মধ্যেই
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ছিলো।
কিন্তু তার আগেই পরপারে চলে গেলেন
তিনি।
পুরনো ঢাকার লালবাগে জন্মেছিলেন
পাপ্পু। বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান
‘শুভেচ্ছা’র সুবাদে দর্শকমহলে জনপ্রিয়
হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর প্রায় প্রতিটি
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও কমেডি শোতে
ছিলো তার স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি।
বেশকিছু অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা
করেছিলেন তিনি।
ছোটপর্দার গন্ডি পেরিয়ে পাপ্পু অভিনয়
করেছেন ১৪ টি চলচ্চিত্রে। প্রথম ছবি
সিরাজ হায়দারের ‘সুখ’। তার অভিনীত
চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আখেরি
হামলা’, ‘শত্রু সাবধান’, ‘মেয়েরা
মাস্তান’, ‘ফায়ার’, ‘ভন্ড বাবা’, ‘কালো
চশমা’ প্রভৃতি। সর্বশেষ তিনি অভিনয়
করেন ‘ময়নামতির সংসার’-এ। তাকে
দেখা গেছে বিজ্ঞাপনচিত্র আর
নাটকেও। এর মধ্যে মোল্লা সল্টের
বিজ্ঞাপনের কথা না বললেই নয়।

তাড়াশে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ হওয়ায় ব্যাপক তোলপাড়

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অল্লীল
ভিডিও চিত্র প্রকাশ হওয়ায় ব্যাপক
তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি
ঘটেছে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের
সাকুয়া দীঘি গ্রামে। খবর পেয়ে
তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেছেন। এলাকাবাসী ও
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,
সম্প্রতি উপজেলার সাকুয়া দীঘি
গ্রামের ৪-৫ জন দূর্বৃত্ত ওই গ্রামের
পূর্ব মাঠের পাট ক্ষেতে অজ্ঞাত এক
নারীর (৩২) শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং
সে ঘটনার অশ্লীল ভিডিও চিত্র
ধারন করে তা ব্যাপক আকারে
প্রকাশ করে বাজার ঘাটে ওই
দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনা জানাজানি
হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়
এবং জনমনে ক্ষোভ ও উত্তেজনার
সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে শনিবার
বিকেলে তাড়াশ থানা পুলিশ
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

লাইফ সাপোর্টে নায়করাজ রাজ্জাক

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের অবস্থা সংকটাপন্ন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হলে সেখানকার নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাকে লাইফ সাপোর্টে (কৃত্রিম শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাঁচিয়ে
রাখা) রাখা হয়েছে। কিংবদন্তির এই নায়ক হাসপাতালটির আইসিউর ৬ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন। নায়করাজ রাজ্জাকের বড় ছেলে বাপ্পারাজ রবিবার রাতে জানান, শনিবার তার বাবার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি তার বাবার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

Sunday, June 28, 2015

সিরাজগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারকে সহায়তা

সিরাজগঞ্জে মানবপাচারের শিকার
ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারকে সহায়তা দেওয়া
হয়েছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অর্থায়নে
রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় স্থানীয়
বেসরকারি সংস্থা পরিবর্তন’র বাস্তবায়নাধীন
‘মানবপাচারের শিকার পুরুষ ব্যক্তিদের জীবনমান
উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’প্রকল্পের আওতায় এ
সহায়তা দেওয়া হয়।
রোববার (২৮ জুন) বেলকুচি বাজার, উল্লাপাড়া
বাজার ও উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার
এলাকায় শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও বেলকুচির
মানবপাচারের শিকার পরিবারের মাঝে এ সহায়তা
দেওয়া হয়।
সহায়তা প্রাপ্তরা হলেন- বেলকুচির
চরগোপালপুর গ্রামের মো. আব্দুল মমিন
(২৭), তালুকদার মেটোয়ানি গ্রামের মো. মিন্টু
মিঞা (২৬), মো. মজিবর রহমান (৩০), মো.
লেবু মিঞা (৪০), লক্ষীপুর গ্রামের মো.
বারিক (৩৬), পারসগুনা গ্রামের মো. মোতালেব
হোসেন (৩০), শাহ্জাদপুর থানার কুটি সাতবারিয়া
গ্রামের মো. নবি হোসেন (২৪), খুকনী
ঝাউপাড়া গ্রামের মো. আয়ূব আলী (২২),
উল্লাপাড়া উপজেলার মাগুড়াডাঙ্গা গ্রামের মো.
রনজু (৩০) ও মো. রফিকুল (২৮)।
তাড়াশ পরিবর্তন’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুর
রাজ্জাক রাজু এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে
জানান, ১০ জন ভিকটিমের মধ্যে ৩ জনকে গরু-
বাছুর, ২ জনকে মুদি দোকান করার অর্থ ও ৫
জনকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে মানবপাচারের
শিকার ৪০ ব্যক্তিকে পুনর্বাসন সহায়তা দেওয়া
হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদের দেওয়া
হবে।
২০১৪ ও ২০১৫ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি
উপজেলা থেকে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ
বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে থাইল্যান্ড হয়ে
মালয়েশিয়ায় ঢোকার আগে কোনো কূল
কিনারা না পেয়ে সাগরে ভেসে বেড়ান এবং
অনেকেই থাই ও মালয়েশিয়া প্রশাসনের হাতে
আটক হন।
পরবর্তীতে দীর্ঘদিন সে দেশে জেল
খেটে সহায় সম্বল সবকিছু হারিয়ে বাংলাদেশে
নিজ বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর
জীবনযাপন করছেন।

সিরাজগঞ্জে ১৪শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ ট্রাকচালক আটক

সিরাজগঞ্জে এক হাজার চারশ
বোতল ফেনসিডিলসহ সেলিম নামে এক ট্রাক
চালককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ জুন) ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু
পশ্চিম মহাসড়কের বানিয়াগাঁতী এলাকা থেকে
ট্রাকসহ তাকে আটক করা হয়।
আটক সেলিম রাজশাহীর পবা উপজেলার সরমংলা
গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বর এলাকায়
চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী একটি
ট্রাককে থামার নির্দেশ দিলেও চালক তা অমান্য
করে দ্রুত ট্রাকটি ঘুরিয়ে বিপরীত দিকে
যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ ট্রাকের পিছু নিয়ে
বানিয়াগাঁতী এলাকা থেকে ট্রাকটি আটক করে।
পরে ট্রাকে তল্লাশি করে এক হাজার চারশ
বোতল ফেনসিডিল পাওয়া যায়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে
সিরাজগঞ্জ প্রতিদিনকে জানান, এ ঘটনায়
মামলা হয়েছে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শন কালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে হাসপাতাল পরিচালনায় দায়িত্ব অবহেলার চিত্র ধরা পড়ে।

হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মোহাম্মদ নাসিমকে দেখে ভূত
দেখার মতো মনে হচ্ছিল
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের
চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের। অ্যাপ্রোন
পরে নিজেদের টেবিলে আর
ওয়ার্ডে যাওয়ার জন্য পাল্লা দিয়ে
দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন চিকিৎসকরা।
শনিবার(২৭ জুন’২০১৫) দুপুরে শাহবাগে
একটি অনুষ্ঠান শেষে তাৎক্ষণিক
সিদ্ধান্তে শেরে বাংলা নগরের
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে
পরিদর্শনে যান মন্ত্রী।
পরিদর্শনে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত
একটি সূত্র জানায়, আকস্মিক
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে
হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও
কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বেশ
কিছু অবহেলার চিত্র ধরা পড়ে।
নাসিম পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায়
চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের
দৌড়াদৌড়ি। তাদের কেউ
মোবাইলে, কেউ দৌঁড় দিয়ে
হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে মন্ত্রীর
আগমন ও সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিতে
থাকেন।
তখন শুরু হয় আরেক সার্কাস। নিজ নিজ
জায়গায় পৌঁছার প্রতিযোগিতা লক্ষ্য
করা যায়। সাধারণ পোশাকে থাকা
চিকিৎসকরা নিজ নিজ রুম থেকে
অ্যাপ্রোন নিয়ে এসে মন্ত্রীর
সামনেই পরতে থাকেন।
মন্ত্রী প্রথমে টিকেট কাউন্টার
পরিদর্শন করেন। তারপর তিনি
বহির্বিভাগের চর্ম ও যৌন এবং
মেডিসিন বিভাগ পরিদর্শন করেন।
সেখানে ডাক্তারের অনুস্থিতির
কারণ জানতে চাইলে একজন নার্স
বলেন, এ দুই জন চিকিৎসক ক্লাস রুমে
শিক্ষা প্রদান করছেন।
এই দু’ বিভাগের সরু জায়গায়
চিকিৎসকদের জন্য অপেক্ষমান
মানুষের ভিড়। বসা তো দূরের কথা,
দাঁড়িয়ে থাকার জায়গাটুকুও নেই।
চিকিৎসকদের দরকার সামনে
সিরিয়াল খাতা নিয়ে বসে আছেন
একজন করে অ্যাটেন্ডেন্ট। অপেক্ষমান
রোগী ও তাদের অভিভাবকরা
অভিযোগ করেন, সিরিয়াল মেনে চলা
হয় না।
অ্যাটেন্ডেন্টদের ইচ্ছেটাই
সিরিয়াল। গোপনে এ্যাটেডেন্টদের
খুশি করলে পেছনের সিরিয়ালও
সামনে চলে আসে। চিকিৎসকদের
অনেকেই বাইরের ডায়াগনস্টিক
সেন্টার ও ক্লিনিকে ল্যাব পরীক্ষা
করানোর জন্য পাঠিয়ে দেন বলে
অভিযোগ করেন।
আর এমন সব ওষুধের তালিকা দিয়ে
দেন, যেগুলো বাইরের ফার্মেসি
থেকে কিনতে হয় বলে অভিযোগ
করেন বহির্বিভাগে আসা রোগী ও
তাদের অভিভাবকরা।
এভাবে দল বেঁধে পরিদর্শনে এলে
হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতি
জানা যাবে না বলেও রোগীদের
কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একের
পর এক বিভাগ, ওয়ার্ড পরিদর্শন করতে
থাকেন মন্ত্রী।
এবার মন্ত্রীর পেছনে সৃষ্টি হয়
চিকিৎসকদের সমাগম। দায়িত্ব পালন
রেখে পরিদর্শন দলের সঙ্গে একাকার
হয়ে যান তাঁরা। অর্থোপেডিক
সার্জারি এবং ওরাল অ্যান্ড
ম্যাক্সিলোফেশিয়া ও সার্জারি
ওয়ার্ড-২ এ যান মন্ত্রী। এখানে ঘটে
হাস্যকর ঘটনা।
ওই ওযার্ডে সোজা পথে প্রবেশ করার
দরজা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের
লোকজন বেশ কিছু পথ ঘুরিয়ে
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ওয়ার্ডে নিয়ে
যায়।
সূত্র জানায়, ততক্ষণে সোহরাওয়ার্দী
হাসপাতালের পরিচালক একেএম
মুজিবুর রহমান অপ্রস্তুত অবস্থায়
তড়িঘড়ি করে ছুটে এসে
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
কর্মস্থলে হাজির হন কর্মরত চিকিৎসক
ও নার্সরা। এর আগে নার্সদের জন্য
নির্ধারিত জায়গাটাও ছিল ফাঁকা।
কিছুক্ষণ পরই অ্যাপ্রোন পড়তে পড়তে
ছুটে আসেন কয়েকজন চিকিৎসক। একই
কাজ করেন নার্সরাও। পরিদর্শনকালে
বারান্দায় দাঁড়ানো আব্দুল শহীদ (৬০)
নামক একজন বৃদ্ধ রোগীর কাছে তার
খোঁজ-খবর নেন মন্ত্রী।
অপারেশন করা এ রোগী
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে এবং
সরাসরি কথা বলতে পেরে আনন্দে
আত্মহারা হয়ে যান এবং চিকিৎসকরা
ভালভাবে সেবা দিচ্ছেন বলে
মন্ত্রিকে অবহিত করেন।
এছাড়া মন্ত্রী অর্থোপেডিকের ২
নম্বর ওয়ার্ডে প্রবেশ করে কয়েক জন
রোগীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের
চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
দায়িত্বরত ডাক্তারকে কোন রোগীর
কি হয়েছে তা জানতে চাইলে,
চিকিৎসকরা রোগীর সর্বশেষ অবস্থা
তুলে ধরেন।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিটি স্ক্যান ও
এমআরআই রুমে প্রবেশ করেন এবং
দায়িত্বরতদের কাছ থেকে এর
সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন।
কিছু ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন থাকার কারন
হিসেবে অভিভাবকদের কাছ থেকে
জানা যায়, মন্ত্রী আগমনের খবর
পেয়ে রোগীর লোকদের বাইরে বের
করে দেয়ার পাশাপাশি প্রতিটি
ওয়ার্ড তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার
করা হয়েছে। তবে টয়লেটেগুলো
পরিষ্কার করার সময় পায়নি
কর্মচারীরা।
সরেজমিন ঘুরে মন্ত্রী দেখতে পান,
টয়লেটগুলো নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর।
ওয়ার্ডগুলোর দেয়ালের রং খসে পড়ে
কুৎসিত রূপ দিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শন শেষে এগুলো দ্রুত
সংস্কারের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী এসময় বলেন, হাসপাতালের
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আরো বাড়াতে
হবে। হাসপাতালের সার্বিক অবস্থা
খুব বেশি সন্তোষজনক নয়। কর্মস্থলে
চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের
উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে
হবে। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও
অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
যদি কোন রোগীর সেবাদানের
ক্ষেত্রে কোন ধরনের অবহেলা করা
হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়
স্বজনদের ভিড় না করার পরামর্শ
দিয়ে বলেন, হাসপাতালে যাতে
রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা ভিড় করে
চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটাতে না
পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
কিভাবে নেয়া হবে তা ভেবে
দেখা হচ্ছে।
রোগীদের কাছ থেকে টয়লেট
অপরিচ্ছন্ন ও নোংরার অভিযোগ
পেয়ে তিনি এ দায়িত্বে নিয়োজিত
আউট সোর্সিংয়ের কর্মকর্তাদের
সতর্ক করে দেন। ভবিষ্যতে যাতে
টয়লেটগুলো নোংরা না থাকে সেজন্য
নির্দেশনা প্রদান করেন।
একই সঙ্গে হাসপাতালের সেবার মান
আরো বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি
নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

Saturday, June 27, 2015

১৫ বছর পর আলোর মুখ দেখছে হাইটেক পার্ক

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক নির্মাণে আগামীকাল
রোববার অথরিটির সঙ্গে সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল
অ্যান্ড মার্চেন্টিয়াল করপোরেশন
(এসআইএমসিএল) এবং ভারতীয় কোম্পানি
ইনফিনিটির যৌথ কনসোর্টিয়াম এসআইএমসিএল-
ইনফিনিটির চুক্তি স্বাক্ষরিত (কনসেশন
এগ্রিমেন্ট) হতে যাচ্ছে । রাজধানীর
হোটেল র্যাডিসন ব্লু-ওয়াটার গার্ডেনে এ
চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
থাকবেন বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
নসরুল হামিদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ
পলক।
(প্রিয় টেক) অবশেষে উদ্যোগগ্রহণের ১৫
বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে হাইটেক
পার্ক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের
আওতাভুক্ত পার্কটি হবে গাজীপুরের
কালিয়াকৈরে। সেখানে হাইটেক পার্ককে
কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে সফটওয়্যার ও
হার্ডঅয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, কলসেন্টার
এবং টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী
প্রতিষ্ঠানসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এখানে তৈরি হবে
বিশ্বমানের পণ্য। দেশীয় সফটওয়্যার দিয়েই
চলবে ব্যাংক, বিমা, কলকারখানা, অফিস-আদালত।
চুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্কের ২ এবং ৫ নং
ব্লকে ডেভেলপার নিয়োগ হবে বলে
জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।
আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের
সামিট গ্রুপ এবং ভারতের ইনফিনিটির যৌথ
কনসোর্টিয়াম সামিট টেকনোপলিস মূলত দু’টি
ব্লকে ভবন তৈরির কাজ করবে। আগামী ৪০ বছর
তাদের ব্যবস্থাপনায় এই দু’টি ব্লকে নির্বাচিত
প্রতিষ্ঠানগুলোকে জায়গা বরাদ্দ সংক্রান্ত কাজ
পরিচালিত হবে সামিট টেকনোপলিস’র অধীনে।
হাইটেক পার্কের আরও দু’টি ব্লকের কাজ
করবে মালয়েশিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের
সঙ্গেও শিগগিরই চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
চুক্তি অনুয়ায়ী সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে কাজ
শুরুর কথা থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
জুনাইদ আহমেদ পলক চুক্তির পর পরই
এসআইএমসিএল-ইনফিনিটিকে নির্মাণকাজ শুরু
করতে বলেছেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে
এই হাইটেক পার্কের ২ এবং ৫ নম্বর ব্লকের
অবকাঠামো উন্নয়ন করবে এ কনসোর্টিয়াম।
পার্কের অবকাঠামো উন্নয়নের পর ৪০ বছর
এর ব্যবস্থাপনায় থাকবে এসআইএসসিএল-ইনফিনিটি।
প্রতিষ্ঠানটি হাইটেক পার্কের অবকাঠামো
উন্নয়নে ১ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ
করবে। সূত্র জানায়, তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে
যেতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে
মতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন
মহাজোট সরকার। বর্তমান সরকার মতা থাকালীন
১৯৯৯ সালে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার
উদ্যোগ নেয়। মাঝখানে বিএনপি সরকার মতায়
থাকায় সে উদ্যোগের অগ্রগতি হয়নি। বর্তমান
সরকার ক্ষমতায় আসার পর এবার এতদিনে একটি
হাইটেক পার্ক নির্মাণ করতে যাচ্ছে।
এর আগে জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের
সবচেয়ে বড় এই হাইটেক পার্ক নির্মাণে ১৪
বছর ধরে জমে থাকা নানা জটিলতা মিটিয়ে নতুন
করে নির্মাণ কাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। ২০১৪
সালের মার্চ-এপ্রিল থেকে প্রতিমন্ত্রীর
প্রচেষ্টায় পার্কটির নির্মাণ প্রক্রিয়া এগিয়ে ঠিকাদার
অনুমোদন ও চুক্তি স্বাক্ষরের অবস্থায়
ঠেকে। এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের
লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে ভেটিংয়ের
অপেক্ষায় বিলম্বিত হচ্ছিল এই নির্মাণ চুক্তি।
সাপোর্ট টু ডেভেলপমেন্ট অফ কালিয়াকৈর হাই-
টেক পার্ক প্রকল্পের পরিচালক এএনএম সফিকুল
ইসলাম টেকশহরডটকমকে জানান, ভেটিংসহ সব
প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অবশেষে রোববার
চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে।
পার্কটি নির্মাণে সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড
মার্চেন্টিয়াল কর্পোরেশন (এসআইএমসিএল) এবং
ভারতীয় কোম্পানি ইনফিনিটির যৌথ কনসোর্টিয়াম
এসআইএমসিএল-ইনফিনিটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর
হওয়ার কথা ছিল গত ৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু চলতি
বছরের জানুয়ারিতে চুক্তি সম্পাদনের কনসেশন
এগ্রিমেন্ট আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য
পাঠানো হলে তা বিলম্বিত হচ্ছিল। তখন জুনাইদ
আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, সত্যিকার অর্থেই
কাজটি আমরা শতভাগ বিশুদ্ধতা রেখে করতে চাই।
আমাদের হাইটেক পার্কের নিমার্ণ প্রক্রিয়া ও
কাজ দেখে বিদেশীরা যাতে বিনিয়োগে
আগ্রহী হয় তার সব ব্যবস্থা আমরা ঠিক রাখতে
চাই।
তিনি তখন বলেছিলেন, বিনিয়োগকারীদের
জন্য আইনগত সুরক্ষাসহ তারা আমাদের দেশে
বিনিয়োগ করে যেন স্বস্তি অনুভব করে তার
জন্য ১২টি বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং
প্রয়োজন। নির্মাণ প্রক্রিয়া হতে শুরু করে
বিনিয়োগ ও হাইটেক পার্কের পরিচালনা
সবকিছুতেই স্বচ্ছতা ও সফলতার উদাহরণ রাখতে
চাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর
এপ্রিলে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কের ভেতরের
রাস্তা উদ্বোধন ও সড়কবাতি নির্মাণ কাজের ভিত্তি
প্রস্তর স্থাপনকালে পলক জানিয়েছিলেন, দুই
মাসের মধ্যেই ডেভেলপারদের সঙ্গে চুক্তি
স্বাক্ষর করা হবে।
২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল
মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি
এসআইএমসিএল-ইনফিনিটিকে হাইটেক পার্কের
নির্মাণ অনুমোদন দেয়। হাইটেক পার্ক
কর্তৃপক্ষ এই কনসোর্টিয়ামকে কার্যাদেশ
প্রদানের অনুমতির জন্য মন্ত্রিসভার কমিটিতে
প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিল। এদিকে হাইটেক পার্ক
ডেভেলপার ও বিনিয়োগকারীরা বিদ্যুৎ বিল ও
জোগানদার সেবার ক্ষেত্রে কর মওকুফ
পাচ্ছেন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে
অর্থমন্ত্রী এ কর মওকুফের প্রস্তাব করেন।
এছাড়া হাইটেক পার্কের ডেভেলপার এবং এ সব
অঞ্চল বা পার্কে বিনিয়োগকারীদের জন্য
দীর্ঘমেয়াদি বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের
উদ্যোগও গ্রহণ করছে সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের মার্চ-এপ্রিলে নতুন
উদ্যমে কাজ শুরুর আগে এই হাইটেক পার্কের
নির্মাণে টেকনোলজি পার্ক মালয়েশিয়াকে
ঠিকাদার হিসেবে নির্বাচিত করা হলেও তারা কাজ শুরু
করতে পারেনি। তখন এ কোম্পানির স্থানীয়
অংশীদার ঋণখেলাপি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির
কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। কোম্পানিটি আদালতে
গেলেও টেকনোলজি পার্ক আর কাজ পায়নি।
সে বছর ফেব্র“য়ারিতে হাইকোর্ট এ বিষয়ে
সিদ্ধান্ত জানালে মার্চে নতুন করে দরপত্র জারি
করে হাইকেট পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরপর নতুন
টেন্ডারে কাজ পেতে যে সাতটি কোম্পানি
আবেদন করেছিল সেগুলার মধ্যে আগের
দফায় কাজ পাওয়া টেকনোলজি পার্ক মালয়েশিয়াও
(টিপিএম) ছিল। যৌথভাবে অপর এক মালয়েশিয়ান
কোম্পানি ফাইবার এডকমের সঙ্গে কাজ
পেতে আবেদন করেছিল তারা। অপর
কোম্পানিগুলোর মধ্যে দেশীয় কোম্পানি
মীর টেলিকম ও ইউএসএর জীবন
টেকনোলজি এককভাবে এবং রেজা
কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে যৌথভাবে, অপর
দেশীয় কোম্পানি সামিট কমিউনিকেশন
এককভাবে এবং ভারতীয় কোম্পানি
ইনেফোটেকের সঙ্গে যৌথভাবে প্রস্তাব
দিয়েছিল।
এ বিষয়ে হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা
পরিচালক (এমডি) হোসনে আরা বেগম (এনডিসি)
বলেন, হাইটের্ক পার্কে ৫টি ব্লকের মধ্যে
২টি ব্লকের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। আর অবশিষ্ট
ব্লকের কাজ শুরু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অবশিষ্ট একটি ব্লক থাকবে হাইর্টেক পার্ক
অথরিটির প্রশাসনিক কাজের জন্য। তিনি বলেন,
হাইটেক পার্ক নির্মাণ হলে দেশেই তৈরি হবে
নিত্যব্যবহার্য প্রযুক্তি পণ্য। দেশের নির্মিত
সফটওয়্যার দিয়েই চলবে ব্যাংক, বিমা, কলকারখানা,
অফিস-আদালত। স্বপ্নটা ছিল এমনই। যা এখন বাস্তব
হতে যাচ্ছে। আর এর শুরুটা হয়েছিল সেই ১৯৯৯
সালে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সভাপতিত্বে বিনিয়োগ বোর্ডের ১২তম
বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত হয় দেশে একটি হাইটেক
পার্ক স্থাপনের। এরও অনেক আগ থেকে
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে দেশ
বিশেষ একটি জায়গায় রয়েছে বলে দাবি জানিয়ে
আসছিলেন তথ্য-প্রযুক্তি খাতের
বিনিয়োগকারীরা। তিনি বলেন, আর এসব সুবিধায়
হাইটেক পার্ক কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে
সফটওয়্যার ও হার্ডঅয়্যার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
গড়ে উঠবে কলসেন্টার, টেলিযোগাযোগ
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এখানেই তৈরি
হবে বিশ্বমানের পণ্য। সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।
বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ। কমবে মেধা
পাচার। এই স্বপ্ন নিয়েই শুরু হচ্ছে হাইটেক
পার্কের পথচলা বলে তিনি জানান।