Wednesday, October 9, 2013

জামায়াত নেতারা নিজের সন্তান নয়,অন্যদের ব্যবহার করেন

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর ছেলে সৈয়দ হায়দার ফারুক মওদুদী মাদরাসা নয়, আধুনিক শিক্ষায় আগ্রহী জামায়াত নেতারা : অনুসন্ধানে জানা যায়, ইসলামিক নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন খান, মরহুম শায়খুল হাদিস, মরহুম ফজলুল হক আমিনী, মাওলানা ফজলুল করিম ও অন্য অনেকের সন্তানরা মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত। তাদের বেশিরভাগই মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। অন্যরা কোনো না কোনোভাবে মাদরাসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। জামায়াতে ইসলামীতে দেখা গেছে ব্যতিক্রম। এ দলের শীর্ষ ৬ নেতার কোনো সন্তান মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত নন। তারা সবাই আধুনিক ধারার শিক্ষায় শিক্ষিত। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত গোলাম আযমের বড় ছেলে মামুন আল আজমি জেদ্দায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে চাকরি করছেন। তার চতুর্থ ছেলে ব্রিগেডিয়ার (বরখাস্তকৃত) আমান আল আজমি ঢাকায় বসবাস করেন। তার অন্য চার ছেলে বাস করেন লন্ডনে। মতিউর রহমান নিজামীর আছে চার ছেলে ও দুই মেয়ে। তারা পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে। তাদের মধ্যে আছেন ডাক্তার, ব্যারিস্টার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আছে তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। কাদের মোল্লার আছে দুই ছেলে ও চার মেয়ে। তার ছোট ছেলে হাসান মওদুদ মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ করছেন। বাকিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আছে ৫ ছেলে ও ১ মেয়ে। এর মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে দেশেই পড়ছেন। দুই ছেলে সুইডেনে ও এক ছেলে মালয়েশিয়ায় পড়ছেন। মীর কাশেম আলীর আছে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। বড় ছেলে সালমান দাঁতের সার্জন। তার পরের ছেলে আরমান ব্যারিস্টার, বড় মেয়ে হাসিনা পুষ্টিবিদ। বসবাস করছেন সুইডেনে। দ্বিতীয় মেয়ে সুরাইয়া রাবেয়া মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে।

0 comments:

Post a Comment