সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Wednesday, August 31, 2016

এমপি ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার মা মল্লিকা জান বেগম ইন্তেকাল করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর ও কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য  ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার মা মল্লিকা জান বেগম ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
হাবিবে মিল্লাত মুন্নার পরিবারের এক সদস্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাংসদের মা দীর্ঘদিন ধরে হার্ট ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। তিন দিন ধরে তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সন্ধ্যায় সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মল্লিকা জান বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর মেয়ে শারীতা মিল্লাতের স্বামী।

Friday, August 26, 2016

কামারখন্দে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামিসহ নিহত ২

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম মিল্টন হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ভোরে কামারখন্দ থানার জামতৈল কলেজপাড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

আধা ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি সর্টগান, আট রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- কামারখন্দ উপজেলার ভারাঙ্গা গ্রামের দশের মাতব্বরের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু (৩২) ও পাবনার চাটমোহর উপজেলার আংকুটিয়া গ্রামের মাজেদ মণ্ডলের ছেলে লুৎফর আলী (৫৫)।

এর আগে বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মিল্টন হত্যা মামলার আরও ৪ আসামিকে আটক করে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন- কামারখন্দ থানার চাঁদপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমান খানের ছেলে রেজাউল করিম বালা (৫০), সিরাজগঞ্জ সদর থানার বড় চাকলী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ শেখের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৪৫), একই থানার কাদাই গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (৫৫) ও কামারখন্দ থানার চক শাহবাজপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ওরফে ঠাণ্ডুর ছেলে সানোয়ার হোসেন মেম্বর।

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চড়িয়া এলাকা র‌্যাব-১২ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম) এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আটক হওয়া ওই ৪ আসামির দেওয়া তথ্য মোতাবেক এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে জামতৈল কলেজপাড়া হোসেন মেম্বরের ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। ৩০ মিনিটের বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ছানোয়ার হোসেন ছানু ও লুৎফরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের দু’সদস্য আহত হয়েছে। তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১২ অধিনায়ক আরও বলেন, নিহত ছানোয়ার হোসেন ছানু চাঞ্চল্যকর মিল্টন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও মূল পরিকল্পনাকারী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। অপর নিহত লুৎফর একজন ভাড়াটে খুনি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।

গত ১৯ জুন সন্ধ্যায় কামারখন্দের আলোকদিয়া রেলব্রিজের কাছে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম মিল্টন। ১০/১২ জনের একটি কিলিং মিশন এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করাতেই সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে বলেও উল্লেখ করেন র‌্যাব অধিনায়ক।

Monday, August 22, 2016

সিরাজগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে আহত ২০

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও চৌহালীতে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ১২টি গ্রামের সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘর চাপা পড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
রোববার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জানা যায়, দুপুরের হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে চৌহালীর বোয়ালকান্দি, স্থলচর, শাহজাদপুরের আড়কান্দি, ঘাটাবাড়ি, পাকড়তলা, জালালপুর, রুপসী, সান্দারবিল, লোচনাপাড়া, ঘোরশাল, বেতকান্দি, শিবরামপুরের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এ ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল প্রায় ২০ মিনিট।
এতে আশপাশের গ্রামের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তায় পড়ে। এ সময় ঘর চাপায় ও রাস্তায় ২০ জনের মতো আহত হয়। বৈদ্যুতিক খুঁটির তার ছিড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত ঘাটাবাড়ি, আড়কান্দি চরের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ গুলোখোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এদিকে শাহজাদপুর উপজেলা ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ায় উপজেলার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, দুপুরের দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। ক্রমেই ঝড়ের গতি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকার শতশত বাড়িঘর গাছ পালা ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তাঘাট ও বিদ্যুতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে ঝড়ে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

Saturday, August 13, 2016

সিরাজগঞ্জে আরও তিনশ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহারকারীর খোঁজে দুদক!

সিরাজগঞ্জে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছেন এমন আরও তিনশ জনকে খুঁজছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত সোমবার জেলা থেকে ১৯ জন পুলিশ কনস্টেবলকে ভুয়া সনদ ব্যবহারের দায়ে আটক করেছে সংস্থাটি।
সিরাজগঞ্জ-পাবনা আঞ্চলিক দুদক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার পুলিশ বাহিনী ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দফতরে অমুক্তিযোদ্ধা বাবার ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে প্রতরণার মাধ্যমে চাকরি নিয়েছেন তারা। দুদক এ বিষয়ে জোরেসোড়ে তদন্ত শুরু করেছে। খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১২ সালে পুলিশ বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা পোষ্য কোটায় সিরাজগঞ্জসহ সারা দেশে দু’ দফায় ৩ হাজার ২৮৫ জন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলার ১৯ জনসহ মোট ৪৩ জন অমুক্তিযোদ্ধার বাবার ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে প্রতরণার মাধ্যমে চাকরি নেয়।
সিরাজগঞ্জের ১৯ প্রতারক পুলিশ কনস্টেবলের গ্রেফতারের আগে মামলার নথিপত্র, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দফতর থেকে পোষ্য কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ কনস্টেবলদের বাবাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই প্রতিবেদন পাওয়ার পর দুদক তাদের বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এছাড়াও বাগেরহাট, জামালপুর, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, খুলনা, জয়পুরহাট,পাবনা, সুনামগঞ্জ, গাইবন্ধা, চাঁদপুর ও টাঙ্গাইল জেলার ২৪ যুবক ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি নিয়েছে বলেও সূত্রটি জানায়।
সিরাজগঞ্জ-পাবনা আঞ্চলিক দুদক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলায় ১৯ জন বাদেও আরো কমপক্ষে ৩ শতাধিক অমুক্তিযোদ্ধার পোষ্য ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এ সময় তাদের গ্রেফতার করতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী বলেন, সিরাজগঞ্জ বাদেও আরও বেশ ক’টি জেলায় ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে কয়েকজনকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
প্রায় আড়াই বছর আগে এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলায় পুলিশি তদন্তে ভুয়া ও জাল সনদ প্রদানকারী হিসেবে বেলকুচির উপজেলা কমান্ডার সোনালী ব্যাংকের সাবেক সিবিএ নেতা শহিদুর রেজা সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দুদক কর্মকর্তাদের কাছে উপকারভোগী ও ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল সদস্যদের স্বজনরা কমান্ডার রেজার নাম উল্লেখ করেন। তারপরও দুদকের তদন্তে কেন তাকে সন্দেহভাজন আসামি করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে দু’দক আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকী আরও বলেন, গণমাধ্যমে শহিদুর রেজার সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হলে তাকে গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া যাবে।
বেলকুচি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার নজরুল ইসলাম বলেন, রেজাকে কেন দুদক ধরছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। সম্প্রতি ১৯ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পর রেজা পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে রেজা ঢাকায় তার ছেলে ডা. মাহমুদুল হক শুভর বাসায় রয়েছেন।

Friday, August 12, 2016

সিরাজগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পৌনে ৬ লাখ মানুষ

সিরাজগঞ্জ: চলতি বন্যায় সিরাজগঞ্জের ছয়টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নের প্রায় পৌনে ৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় দুই সপ্তাহ বন্যার পানি থাকায় এসব এলাকার ঘরবাড়ি, ফসল, রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার সাতটি, কাজিপুরের ১০টি, বেলকুচির ছয়টি, চৌহালীর সাতটি, উল্লাপাড়ার সাতটি ও শাহজাদপুরের ১০টি ইউনিয়নের মোট ৫২৪টি গ্রামের এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৭টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৩০টি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৮২৯টি।
এছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৯টি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৮৭টি। রাস্তা-ঘাট সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১২ কিলোমিটার ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২৭ কিলোমিটার।
এদিকে, কৃষি অফিস সূত্র জানান, বন্যায় জেলার সাত উপজেলায় ১৫ হাজার ছয় হেক্টর কৃষি জমির আমন ধান, আউশ ধান, পাট, কলা, ধানের বীজতলা ও সবজি বাগান নষ্ট হয়ে গেছে।
সব কিছু মিলিয়ে বন্যায় পাঁচ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮১ জন মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ওয়ালি উদ্দিন জানান, এ পর্যন্ত বানভাসী মানুষের মধ্যে ৭৯০ মেট্রিক টন চাল ও ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ প্রতিদিনকে জানান, ৪১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ওঠায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ সব বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এসব প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে চালু হয়েছে। এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে পরীক্ষা নিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. ওমর আলী শেখ সিরাজগঞ্জ প্রতিদিনকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, কৃষকদের পুনর্বাবাসনে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন সিরাজগঞ্জ প্রতিদিনকে জানান, চলতি বন্যায় সিরাজগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর অবকাঠামো, রাস্তাঘাট মেরামত করা হবে। এছাড়া দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

সিরাজগঞ্জ সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্যোগে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক পদযাত্রা ও গণসঙ্গীত অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: দেশব্যাপি সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরদ্ধে সিরাজগঞ্জ সাংস্কৃতিক ফোরামের আয়োজনে‘জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক পদযাত্রা ও গণসঙ্গীত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শহীদমিনার পাদদেশ থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মুক্তির সোপানে এসে শেষ হয়। এই সময় পদযাত্রায় অংশ গ্রহনকারী সাংস্কৃতিক কর্মীরা দেশাত্ববোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি করে। এবং ট্রাকে করে ভ্রাম্যমান গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। পদযাত্রায় সাংস্কৃতিককর্মী,শিক্ষার্থী,কর্মজীবী পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
পদযাত্রাপুর্বে সিরাজগঞ্জ সাংস্কৃতিক ফোরামের আহবায়ক ড.জান্নাত আরা তালুকদার হেনরীর সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব দিলীপ গৌরের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার গাজী শফিকুল ইসলাম সফি,সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসার জেনিয়া আখতার,মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার গাজী আশরাফুল ইসলাম চৌধূরী জগলু,শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইসহাক আলী,সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শামছুজ্জামান দুদু,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মাহবুব এ খোদা টুটুল,জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী কমিটির সদস্য হীরক গুন,জেলা কালচারাল অফিসার মাহমুদল হাসান লালন প্রমুখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কথক থিয়েটারের প্রধান পরিচালক হাফিজুর রহমান সামাদ,কন্ঠযোদ্ধার সভাপতি যুদ্ধাহত মুুক্তিযোদ্ধা টি এম মোয়াজ্জেম হোসেন,জাসদ নেতা কমরেড আবু বক্কর ভুইয়া,আনন্দ ধ্বনীর প্রধান পরিচালক নুর ই আলম হীরা,গীতিকার হাসান আনোয়ার,উদীচী সিরাজগঞ্জ জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম লিমন,নাট্য লোকের সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন,বাউল শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব সরকার,মানবাধিকার নাট্য পরিষদের সভাপতি আবু মাসুদ সিকদারসহ বিভিন্ন সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সন্ধ্যায় মুক্তির সোপানে গণসঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

Thursday, August 11, 2016

শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান করে ধরা হলো ভারতীয় হাতিটি

BBC-বাংলাঃ
ভারত থেকে ভেসে আসা বুনো হাতিটিকে আজ ট্রাঙ্কুলাইজার যন্ত্রের মাধ্যমে চেতনা-নাশক প্রয়োগের পর সেটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে জামালপুর সরিষাবাড়ি উপজেলার একটি গ্রামের ডোবার পানিতে পড়ে যায়।
গভীর পানির মধ্যে পড়ে নড়াচড়া করতে পারছিল না। এসময় হাতিটি মারা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
তবে পরে দুটি গ্রামের বাসিন্দারা রশি দিয়ে হাতিটিকে টেনে তোলে।
স্থানীয় একজন সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী বিবিসিকে জানান, কামরাবাগ ইউনিয়নের কয়রা গ্রাম ও ঢানাডা গ্রামের কয়েক শো লোক পানিতে নেমে লম্বা রশি নিয়ে হাতির পায়ে শুঁড়ে রশি বেঁধে টেনে তোলে।
এরপর অজ্ঞান হাতিটিকে একটি বড় আমগাছেল সাথে বেঁধে রাখা হয়।
বনবিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, হাতিটা জীবিত আছে। তবে পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। কর্মকর্তারা এখন হাতিটির জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায়।
হাতিটিকে বাঁচিয়ে রাখাই এখন প্রধান লক্ষ্য বলেও তিনি জানান।
বনবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, জ্ঞান ফেরার পর হাতিটিকে ট্রাক কিংবা অন্য কোনোভাবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে হাতিটি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত থেকে একটি প্রতিনিধি দল এসে হাতি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়।
এক মাসেরও বেশি সময় আগে হাতিটি ভারত থেকে নদীতে ভেসে ভেসে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

Wednesday, August 10, 2016

সিরাজগঞ্জে ৫ম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা করলেন সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত

সিরাজগঞ্জ প্রতিদিনঃ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নে লাকি খাতুন নামের ৫ম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা করলেন সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি।
বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াগাতি গ্রামে এই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের ক্ষটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াগাতি গ্রামের লালচান সেখের মেয়ে, বানিয়াগাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী লাকি খাতুনের সাথে একই উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ধলডোব গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ নামের এক যুবকের বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল বুধবার। এদিন দুপুরে প্রায় ৪০ জন বরযাত্রি বড়সহ মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে খাবার খাওয়া শেষ করে বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে।
এমন সময়ে এই বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সারাদেশে জনসচেতনতামূলক কাজে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কতৃক দায়িত্ব প্রাপ্ত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্নার উপস্থিতি টের পেয়ে মেয়ের বাবা-মাসহ বড় যাত্রিরা পালিয়ে যায়।
ঐ স্কুলছাত্রির সাথে কথা বলেন সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না। এ সময় ঐ মেয়েটি বিয়েতে নিজের অসম্মতির কথা উল্লেখ কওে আরো পড়ালেখা করার আগ্রহের কথা জানালে তাৎক্ষনিকভাবে বিয়েটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নির্দেশের পর পুলিশ ও স্থানীয়রা বাল্যবিবাহটি বন্ধ করে দেন।
এ সময় সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্নার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল খান ও সিরাজগঞ্জ প্রেসকাবের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যধি। এই ব্যাধিটি থেকে সমাজকে মুক্ত করতে সমাজের সকলকেই ভ’মিকা রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, অনেক জনপ্রতিনিধি আছে যারা ভোটের ভয়ে বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে বাধা প্রদান থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে সকল ব্যাবস্থা গ্রহন করছে। আমরা জনগনের সেবক হিসেবে জনগনের পাশে আছি, থাকব। জনগনের জন্য ভালো করার ফলে কেউ যদি আমার প্রতি রুষ্ট হয়, এতে আমি ভয় পাই না, কারন আমি জনগনের জন্যই মঙ্গলের জন্যই কাজ করছি।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, কাঁপছে বাংলা

সিরাজগঞ্জঃ
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন। তার উপর ঘন ও দ্রুতগতির মেঘমালা এবং বায়ুর চাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন উপকূল এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলির উপর দিয়ে বয়ে যাবে ঝোড়ো হাওয়া। আবহাওয়া দপ্তরের এই পূর্বাভাসের পরই সতর্ক করা হল বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, মহাসেন নামে ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার সকাল নটায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬১০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০৫ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা।
ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের ৫৪ কিমির মধ্যে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিমি, যা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়-কেন্দ্রের কাছে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘন ও দ্রুতগতির মেঘ ও বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তত্লগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলির ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে মহাসেন।