Friday, October 2, 2015

প্রাণের পানির বোতলে শ্যাওলা

সিরাজগঞ্জে প্রাণ ড্রিংকিং ওয়াটারের বোতলে শ্যাওলা পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর বেশ কিছু বোতল বাজার থেকে ফেরত নেওয়ার কথাও জানিয়েছে প্রাণ কর্তৃপক্ষ।
পানি তোলার পাইপে ত্রুটির কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়ে থাকতে পারে জানিয়ে প্রাণ গ্রুপের বগুড়া অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল বলেছেন, এ ব্যাপারে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল মোড়ে প্রাণের ডিলার জান্নাতী ট্রেডার্সের মালিক জামাল হোসেন জানান, সম্প্রতি প্রাণ ড্রিংকিং ওয়াটারের ৫০০ মিলিলিটার বোতলের ভেতরে শ্যাওলা জমার বিষয়টি ধরা পড়লে তিনি প্রাণ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এগুলো বিক্রি করতে গিয়ে ক্রেতার বকাঝকা শুনতে হয়েছে। প্রাণ কর্তৃপক্ষ মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বোতলগুলো দোকানে রেখে দিতে বলেছে।”
প্রাণের সিরাজগঞ্জ টেরিটরির সেলস ম্যানেজার ওয়াজেদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেড় থেকে দুইমাস আগে তারা প্রথমবারের মত বোতলের পানিতে শ্যাওলা জমার অভিযোগ পান।
“সম্প্রতি জান্নাতী ট্রেডার্সে সরবরাহ করা বোতলে একই সমস্যা দেখা দেওয়ায় হাফ লিটারের ৩০ কার্টন (প্রতি কার্টনে ২৪ বোতল) পানির মধ্যে ১০/১২ কার্টন উত্তোলন করে কোম্পানিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”
এরপরও যেসব বোতলে ছত্রাক পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো বিক্রি না করে ডিলারকে সংগ্রহে রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রাণের বগুড়া অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মোস্তফা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৪৫০ ফুট গভীর থেকে পাইপ দিয়ে পানি উত্তোলন করে তারা বোতলজাত করেন।
“মাস দুয়েক আগে পাইপে ফাটল দেখা দেওয়ায় বাতাস ঢুকে বোতলের পানিতে ছত্রাক বা শ্যাওলা দেখা দিয়েছে।”
বিষয়টি জানার পর সেসব বোতল বাজার থেকে তুলে নিয়ে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।এ বিষয়ে কথা বলতে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “আমরা বিষয়টি দেখছি।”
অতিরিক্ত মাত্রায় সীসা থাকায় প্রায় দুই বছর আগে প্রাণের গুঁড়ো হলুদ দেশের বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

0 comments:

Post a Comment