সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Saturday, October 17, 2015

শেখ রাসেলের জন্মদিন ১৮ অক্টোবর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন ১৮ অক্টোবর। ১৯৬৪ সালের এইদিনে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শেখ রাসেল। সপরিবারে তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ১৮ অক্টোবর সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দিনব্যাপী কোরানখানি এবং বাদ আসর দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এক বিবৃতিতে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি যথাযোগ্যভাবে উদযাপনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

Thursday, October 15, 2015

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে করতোয়া নদি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলীপি প্রদান

করতোয়া নদি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে শাহজাদপুর সদর উপজেলার রতনকান্দি, উত্তরপাড়া ও দক্ষিনপাড়া এলাকাবাসী একটি বিশাল মৌন মিছিল বেড় করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্য্যালয়ে গিয়ে থামে।পরে এলাকাবাসীর পক্ষে অরুপ গজনবী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের
নিকট জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আহমেদ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলে মিছিলকারীরা স্থান ত্যাগ করে। উলেখ্য যে, দীর্ঘদিন যাবত কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি করতোয়া নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে।

শাহজাদপুরে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ ভাই আটক

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকার দরগাপাড়া মহল্লা থেকে ৩২০০ পিস ইয়াবাসহ তিন ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ভাইয়েরা হলেন- উপজেলার পৌর এলাকার দরগাপাড়া মহল্লার গোলাম আজমের ছেলে টিপু সুলতান (৩০), নাছিম (৩৫) ও নাজমুল (৪০)।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিদিনকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই মহল্লার গোলাম আজমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের বসতঘর থেকে ৩২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে গোলাম আজমের তিন ছেলেকে আটক করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি।

Wednesday, October 14, 2015

বাংলাদেশে কোন আইএস জঙ্গি নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে কোন আইএস জঙ্গি নেই বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জে অবস্থিত শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতাল পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশের দুটি স্থানে দুজন বিদেশি হত্যার পর যারা আইএস সদস্য হিসাবে দাবি করে ইন্টারনেটে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বিদেশে নয়, দেশের মধ্যেই অবস্থান করছে বলে ইতোমধ্যেই তথ্য পাওয়া গেছে। বিদেশিদের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার পরই বিষয়টির প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে।
এ সময় মোহাম্মদ নাসিম জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৈল্পবিক পরিবর্তন এনেছে দাবি করে বলেন, এক সাথে ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। পাশাপাশি একই দিনে দেশে ৬টি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদনও বিরল। এ সময় তিনি বর্তমান যুগকে নারীর ক্ষমতায়নের যুগ হিসাবে উল্লেখ করে চিকিৎসা পেশায় নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এর আগে মেডিক্যাল কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, সাদা পোশাক মহৎ কাজের নির্দশন। চিকিৎসা সেবা একটি মহৎ পেশা। এ পেশায় ভুল করলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাই চিকিৎসক ও নার্সদের ফাঁকিবাজির কোন সুযোগ নেই। সবাইকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ফাঁকিবাজদের কোন খাতির করা চলবে না।

Tuesday, October 13, 2015

উল্লাপাড়ায় আটক ৩ জেএমবি সদস্য রিমান্ডে

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গ্রেফতার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৩ সদস্যের নামে দায়ের হওয়া মামলা সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার বিকেলে আসামিদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে মঙ্গলবার মামলাটি সিরাজগঞ্জ ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন আলী এসব তথ্য জানান।
রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলো উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রাঘব বাড়িয়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার আকন্দের দুই ছেলে ওমর আলী আকন্দ (২৮), ইদ্রিস আলী আকন্দ (৩০) ও সিরাজগঞ্জ সদরের শাহান গাছা এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে সোয়াইব হোসেন বাবু (১৯)।
উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রাঘব বাড়িয়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার আকন্দের বাড়িতে জঙ্গিদের গোপন বৈঠক চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ভোরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও ওই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রাতে উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) খাজা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ৩ জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

দেশে ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে

ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাংলাদেশে দ্রুত গতিতে বাড়ছে। ৫ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহকের মধ্যে শুধু ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ।
বাংলাদেশে ফেসবুকে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৭ শতাংশ এবং ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সীদের হার ৪২ শতাংশ। শনিবার বসুন্ধরা সিটিতে অনুষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্ববোধ-বিষয়ক দুই পর্বের সেমিনারে এ তথ্য পাওয়া গেছে। দ্য ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশের ঢাকা শাখার উদ্যোগে ‘এশিয়া ইন্টারনেট সিম্পোজিয়াম ২০১৫’ শীর্ষক আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ দুটি সেমিনার।গত বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিল ৭০ লাখ। এর মধ্যে ৫৬ লাখ অর্থাৎ প্রায় ৮০% পুরুষ।
২১৩টি ফেসবুক ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৬। ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়ার পরে ভারতের অবস্থান। তবে শতাংশের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় মালদ্বীপে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ফেসবুক ব্যবহার হয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ২১ সেপ্টেম্বর হওয়া ডিজিটাল উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত ২০১৫ সালের বিশ্ব ব্রডব্যান্ড পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশ ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়েছে। বাংলাদেশে সক্রিয় মোবাইল ব্রডব্যান্ড সাবসক্রাইবার প্রতি ১০০ জনে ৬ দশমিক ৪। সে হিসেবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯। সেখানে ভারতের অবস্থান ১৫৫ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৬। এদিকে বাংলাদেশে ফেসবুকের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ দেশে আঞ্চলিক অফিস করার কথা জানিয়েছিল। গত বছর ১৭ মে ফেসবুকের সদর দফতর পরিদর্শন শেষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেসবুক পরিচালকদের বাংলাদেশ সফর করার আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন। পরিদর্শন শেষে ফেসবুকের হেড অব পলিসি প্রোগাম লিসা ফস্টার ও ফেসবুকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাদের সাথে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে বাংলা ভাষায় ফেসবুক, বাংলাদেশে আঞ্চলিক অফিস স্থাপন ও স্থানীয়ভাবে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে লোকাল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য জনপ্রিয় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুক-এ শিক্ষা সহায়ক টুলস প্রচলনের আহ্বান জানান বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। ওই বৈঠকে পলক বলেন, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটিতে পৌঁছাবে।

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ জাফরোল হাসান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলো, উল্লাপাড়া উপজেলার কৈবর্ত্যগাড়ী গ্রামের নবাব আলী (৭৫), আমিরুল ইসলাম (৪৮), জহির উদ্দিন (৮০) ও মোতালেব সাহ (৪০)।
সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকট আব্দুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০০৬ সালে উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের ওপরে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই রঞ্জু বাদী হয়ে ১৬জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে বুধবার ৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়াও আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার বাকী ১২ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

Monday, October 12, 2015

সিরাজগঞ্জের ১৩ জন সহ ৪১ বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ

 মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত ৪১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। ফলে এই প্রথমবারের মত রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন বীরাঙ্গনারা।
সুপারিশ অনুসারে প্রথম দফায় ৪১ জনকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হল। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা)’র কাছে আরও ১২১ জন বীরাঙ্গনার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি চেয়ে করা আবেদন জমা রয়েছে। এ সব আবেদন উপজেলা পর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে শিগগিরই গেজেট প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আবেদনকারীদের বাইরে আরও অনেকে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তবে সামাজিক কারণে তারা আবেদন করছেন না।
তালিকা অনুসারে বীরাঙ্গনাদের মধ্যে গেজেটে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন সিরাজগঞ্জের সর্বোচ্চ ১৩ জন বীরাঙ্গনা । তারা হলেন-ফকিরপাড়া গ্রামের আয়মনা, চুলিয়াহাতির আছিয়া বেগম, রহমতগঞ্জের (নতুন ভাঙ্গাবাড়ি) সূর্য বেগম, বিন্দুপাড়া দত্তবাড়ির কমলা বেওয়া, তেঁতুলিয়া পশ্চিমপাড়ার জয়গন, পিটিআই স্কুলপাড়ার ছুরাইয়া খাতুন, সয়াধনগাড়া পূর্বপাড়ার মাহেলা বেওয়া, কান্দাপাড়ার ফকিরপাড়ার হামিদা বেওয়া, কান্দাপাড়ার হাসনা বেগম, চাঁদপুর ঝাউলের রাজুবালা দে, চককুবদাশপাড়ার রহিমা বেওয়া, সদরের ছামেনা খাতুন ও সয়াধনগাড়ার শামসুন্নাহার বেওয়া। ময়মনসিংহের ফতেহপুর গ্রামের ময়মনা খাতুন। এই জেলা থেকে আরও তিনজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তারা হলেন, নাকাগাঁও (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের হালিমা খাতুন, খন্দকপাড়ার জাহেরা খাতুন ও বালিচান্দার ফাতেমা খাতুন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্বীকৃতি পেয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন নরশিরা গ্রামের রাবিয়া বেগম, রেনু বেগম, রাহেলা বেগম, চৌকামনাকষার মালেকা বেগম, লক্ষ্মীনারায়ণপুরের হাসিনা বেগম, লালাপুরের জালো বেগম, বড় বঙ্গেশ্বরপুরের সফেদা বেগম, আয়েশা বেগম, সাহাপুরের হাজেরা বেগম ও আরবী বেগম। এ ছাড়াও ঠাকুরগাঁওয়ের ছয়জন, কুষ্টিয়ার চারজন এবং হবিগঞ্জ, সিলেট ও রংপুরের একজন করে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। 
ঠাকুরগাঁওয়ের ছয়জন হলেন রাউতনগর গ্রামের সুমি বাসুগী, মনি কিসকু, হাফেজা বেওয়া, নিয়ানপুরের মালেকা, শিদলীর নিহারানী দাস ও পকম্বার নূরজাহান বেগম। কুষ্টিয়ার চারজন হলেন হাসিমপুর গ্রামের এলেজান বেগম, মটমালিয়াটের মোমেনা খাতুন, দোলাজান নেছা ও নাতুরিয়ার মজিরন নেছা। সিলেটের মনতৈল গ্রামের এশনু বেগম, হবিগঞ্জের বেলঘর গ্রামের মাজেদা বেগম ওরফে মাজেদা খাতুন ও রংপুরের কাছনা তকিয়ারপাড়ার মনছুরা বেগম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন। 
মহিলা কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি গঠনের পাশাপাশি পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধানের জন্য সাংসদ মোতাহার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়। সাব কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি ও জামুকার সদস্য মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান (বীরপ্রতীক)

সিরাজগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুভ মহালয়া অনুষ্ঠিত

শুভ মহালয়ের মাধ্যমে দেবীর আগমনী বার্তা বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌছে দেবার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদ সিরাজগঞ্জ শহর ও সদর আয়োজনে উষালগ্নে শুভ মহালয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। চন্ডী পাঠ এবং ভক্তিমুলক সঙ্গীতের মাধ্যদিয়ে মহালায়ের ট্রাক শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিন করে।
সোমবার ভোরে শহরের মুজিব সড়কে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়ার সামনে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলন করে মহালয়া শোভাযাত্রার শুভ উদ্ধোধন করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, এসময় জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার কানু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুকান্ত সেন, সদর থানা শাখার সাধারন সম্পাদক সঞ্চয় সাহা, শহর শাখার সভাপতি বিজয় দত্ত অলক, সাধারন সম্পাদক হীরক গুণ, দিলীপ গৌর, রিংকু কুন্ডুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিমলার সাড়ে ৭শ’ পরিবার এখন ভূমিহীন

বাপ-দাদার রাইহ্যা যাওয়া পরায় ৪০ বিঘা জমি’ সব যমুনা খাইয়া নিছে। এক চিলতা জমিও নাই। পরের জমি ভাড়া নিয়া তাতে ঘর তুইল্যা থাইকত্যাছি। তাও আবার যমুনার তীরেই। ওইটাও যহন-তহন যমুনার পেটে যাইবো। খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের সিমলা গ্রামের এক সময়ের জোতদার কৃষক হাফিজ উদ্দিন মল্লিক। আঙ্গুলি নির্দেশ করে দেখাচ্ছিলেন নদী গর্ভস্থিত তার বাপ-দাদার সম্পত্তি। আর বলছিলেন সুখময় পুরনো দিনগুলোর কথা।
এক সময়ে নাম-ডাকওয়ালা জোতদার কৃষক পরিবারের ছেলে হাফিজ উদ্দিন মল্লিক। মাঠভরা ফসল, আর ঘরভরা সুখ ছিল তার। ২২ বছরের ব্যবধানে তার সব সম্পত্তি উদরস্থ করেছে যমুনা। এখন তিনি বাস্তুহারা-ভূমিহীন।
পাঁচঠাকুরী-বালিঘুগরী নতুন নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে বাৎসরিক ৭শ’ টাকা ডিসিমাল ভাড়া করা জমিতে দু’টি টিনের ঘর তুলে সন্তানাদি নিয়ে বাস করছেন সিমলা গ্রামের কৃষি দিনমজুর ষাটোর্ধ্ব বয়সী চাঁন মিয়া। শুকনো কন্ঠে দীর্ঘশ্বাস টেনে তিনি বললেন, আমার বাড়িও আছিল চরায় ৫/৬ বিঘা জমিও আছিল। ২২ বছরের মধ্যে ৭ বার বাড়ি ভাইঙছে, চরার জমিও নদীর মধ্যে পইড়ছে। হ্যাশে ওয়াপদার উপর আশ্রয় নিলাম,  ওয়াপদাও ভাইঙ্গা গেল। এহন পরের জমি ভাড়া কইৠা ঘর তুইল্যা আছি। অন্যের ক্ষ্যাতে কৃষিকাম কইর্যা জীবন চালাই।
একই গ্রামের শাহ আলী জানালেন, তার ১৫ বিঘা জমি ছিল। এহন এক ডিসিমালও নাই। অন্যের জমিতে মজুর খেটে ৯ জনের সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
একই অবস্থা এককালের কৃষক বর্তমানে রিকশাচালক নজরুল ইসলামের। তাঁত শ্রমিক রফিকুল ইসলাম, কৃষি দিনমজুর মনোয়ারুল ইসলাম, আবুল তালুকদার, শাহজাহান আলী, মোনাফ, আব্দুল হামিদ, শাহ আলী, বাচ্চু শেখসহ প্রায় সাড়ে ৭শ’ পরিবারের।
এদের প্রত্যেকেরই পাঁচ থেকে অর্ধশত বিঘা পর্যন্ত জমিজমা ছিল। এখন জমি তো দূরের কথা মাথা গোঁজা ঠাঁই পর্যন্তও নাই। নদীভাঙা ভূমিহীন এ সব মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা তাদের হারানো সুখের দিনগুলোর পাশাপাশি বর্তমান দুঃসময়ের বিবরণ দিয়ে চলেন।
যমুনার তীরবর্তী উর্বর জমির বুক উজাড় করা ফসলের হাসির পাশাপাশি ছিল নদীর বুকে রুপালী মাছের ঝলকানি। এখানকার কৃষকদের খুশি ছিল নিত্যদিন। দিনভর মাঠের কাজ শেষে বিকেলে নদী থেকে মাছ ধরে ঘরে ফেরা কৃষকের হেরে গলায়
গাওয়া জারি গান কৃষাণির মনে এনে দিত আনন্দের ঢেউ।
ওইসব সোনালী দিনগুলি এখানকার কৃষকের কাছে শুধুই স্মৃতি। আশ্রয়হীন এসব মানুষ এখন অপরের জমির দিনমজুর। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পর ২৫০/৩০০ টাকা মজুরি নিয়ে ঘরে ফেরার পর নানা অভাব-অনটনের কথা শুনতে শুনতেই ঘুমিয়ে পড়া। আবার সকালে কাজের সন্ধানে বের হওয়া।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ৪২ বছর ধরে ভাঙনের মুখে থাকা সিমলা গ্রামটি চলতি বছরে সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়। আর এ গ্রামের সাড়ে ৭শ’ কৃষক পরিবার ভূমিহীন হয়ে পড়েন। এরা কেউ কেউ অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে তাতে ছোট ছোট ঘর তুলে বাস করছেন। কেউ কেউ ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে দূরে কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রিতা হিসেবে বসবাস করছেন।
এছাড়াও গ্রামের ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে চলেও যাওয়ায় কোমলমতি শিশু-কিশোরদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। বার বার বিদ্যালয়ের স্থান পরিবর্তন ও পরিবারের লোকজনের আবাস স্থানান্তরের কারণে শিশু-কিশোরদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতা ও গাফলিতর কারণে বার বার ভাঙনের কবলে পড়ে এই গ্রামটি। দফায় দফায় ভাঙনে পুরো গ্রামটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে গ্রামটি নামে থাকলেও এটির কোনো ভূখণ্ড নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তারিকুল ইসলাম জানান, আমরা সিমলা গ্রামের নাগরিক হলেও বর্তমানে আমাদের বসবাস পাঁচ ঠাকুরী গ্রামে। অনেকেই সিমলা গ্রামের পরিচয় দিয়ে বাস করছেন, মটিয়ারপুর, ডিগ্রিপাড়া, বাহুকা, ভেওয়ামারাসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে।
তিনি আরও জানান, এ বছর সারা জেলায় তেমন নদী ভাঙন ছিল না। শুধু সিমলা গ্রামের পাশে বালিঘুগরী-পাঁচঠাকুরী পাউবোর বাঁধটি ভাঙনের কবলে পড়ে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এই একটি বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ছোনগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন কিরণ বাংলানিউজকে জানান, এ গ্রামে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার বাস করতো। ভোটার ছিল ১৭শ’। অনেক আগে থেকেই গ্রামটি ভাঙনের মুখে পড়ে। তবে এ বছরেই গ্রামটি সম্পূর্ণরুপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ভূমিহীন হয়ে পড়ে গ্রামের সাড়ে ৭শ’ পরিবার।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ঈমাম বাংলানিউজকে জানান, ১৯৭৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যমুনা নদী প্রায় দুই কিলোমিটার ডান দিকে ঘুরে গেছে। এতে বেশ কয়েকটি গ্রাম বিলিন হয়ে গেছে। সিমলা গ্রামটিও এই ভাঙনের মধ্যে পড়ে।

Sunday, October 11, 2015

ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে ও এক্সপ্রেস রেলওয়ে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস রেলওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রকল্প দু’টির ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার পর বলেন, দেশ ও জনগণের দীর্ঘমেয়াদী কল্যাণের কথা বিবেচনা করে এই দুই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও জনপথ সচিব এম এ এন সিদ্দিক পিপিপি ভিত্তিক ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং রেলওয়ে সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস রেলওয়ের উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।
প্রকল্পের অর্থ সংস্থান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্পের ব্যয় বা অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই, বরং জনগণের জন্য কোনটি কল্যাণকর হবে সেটির ভিত্তিতে প্রকল্প বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের আয় বাড়ছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরের পরিবর্তিত অবস্থার কথা মনে রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোর ও বিবিআইএন আঞ্চলিক যোগাযোগের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিসিআইএম উদ্যোগ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
তিনি বলেন, ব্যবসার মতোই যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ অবস্থায় শক্তিশালী আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকলে, দেশের অর্থনীতি গতি পাবে না, এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠান এবং পদ্মা সেতুর সঙ্গে এক্সপ্রেস রেলওয়ে প্রকল্পের রেল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা রাখতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যয় যাই হোক না কেন, দেশের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সেরা প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে ২৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে, যা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
ডেমু ট্রেন সার্ভিসের সাফল্য সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এখন ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ যেতে মাত্র ২০ মিনিট সময় লাগে। আগে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা চলে যেতো।
এ সাফল্যের প্রেক্ষাপটে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ তিন রুটে ডেমু ট্রেন চালুর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনালের কথা বিবেচনায় নিয়ে সাশ্রয়ী পরিবহন হিসেবে নৌপথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলওয়ে মন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড. মশিউর রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।