সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Saturday, June 25, 2016

সিরাজগঞ্জে যমুনার তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে সদ্য নির্মিত যমুনার ডান তীর সংরণ বাঁধের ৫০ মিটার এলাকায় ধস নেমেছে। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
শনিবার (২৫ জুন) বিকেল ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বালিঘুগরী এলাকায় তীর সংরক্ষণ বাঁধে এ ধস নামে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইমান আলী ও আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে বাঁধের নিম্নাংশে পানি ওঠে। শনিবার সকাল থেকেই পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাঁধের ব্লক ধসে যেতে থাকে। বিকেলে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ১৫ ও ১৬নং প্যাকেজের তিনটি অংশে প্রায় ৫০ মিটার এলাকায় ধস নামে। এতে আশপাশের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়।
অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ঈমাম বাঁধ ধসের বিষয়টি অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধের ওয়াক ওয়েতে পানি উঠে সামান্য কিছু মাটি সরে গেছে। খবর পেয়ে সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন : কত সিসিতে কত ফি

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
কোনো ঝামেলা ছাড়া একদিনে মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ)।
আগামী বৃহস্পতিবার ‘আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে স্পট রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেবে বিআরটিএ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট ফি জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন নম্বর পাওয়া যাবে।
১০০ সিসি বা এর কম এবং মোটর সাইকেলের ওজন ৯০ কেজির কম হলে মোট ৯ হাজার ৩১৩ টাকা ফি দিতে হবে। আর ১০০ সিসির উপরে মোটরসাইকেলের ফি ১০ হাজার ৯২৩ টাকা। বিআরটিএ’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

Thursday, June 23, 2016

বলিউডের ছবিতে সিরাজগঞ্জের মেয়ে রীত মজুমদার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্টঃ
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত রীত মজুমদার এবার বলিউডের হিন্দি ছবিতে প্রধান নায়িকা হলেন। তার অভিনীত থ্রিলার ধাঁচের ছবি 'অ্যা স্ক্যান্ডাল' ভারতজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৪ জুন। পরিচালনা করেছেন ইশান শ্রিবেদি। গল্প ও চিত্রনাট্য তারই।
রীতের আদি বাড়ি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে। তার দাদা নিকুঞ্জ ভট্টাচার্য ছিলেন এখানকার নাগরিক। স্বপন আহমেদের পরিচালনায় বাংলাদেশের ‘পরবাসিনী’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এটি আছে মুক্তির অপেক্ষায়।
এদিকে বলিউডে এখন রীত বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছেন। তার প্রথম ছবির ট্রেলার উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন নামজাদা প্রযোজক একতা কাপুর ও পরিচালক বিক্রম ভাট। ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
উত্তেজক দৃশ্যে ভরপুর ছবিটির ট্রেলার এরই মধ্যে দর্শকদের কৌতূহল তৈরি করেছে। এতে বেশকিছু অন্তরঙ্গ ও চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন রীত। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা কাজ করেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
রীতের ভাষ্য, 'গল্পে উত্তেজক দৃশ্যের প্রয়োজন ছিলো। আমার ক্যারিয়ার প্রেমের ছবি দিয়ে শুরু হলে হয়তো ভালো হতো যেখানে গাছের চারপাশে পায়চারি করছি। কিন্তু তাতে আলাদা মনে হতো না। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে আবেদনময়ী হয়ে পর্দায় আসতে আপত্তি নেই আমার। তাই সাহসী কিংবা আবেদনময়ী ডাকা হলে মোটেও লজ্জা পাবো না।'
বলিউডে শুরুতেই আবেদনময়ী হয়ে আসায় এমন ভাবমূর্তি গায়ে লেগে যাওয়ার ভয় নেই রীতের। তার দাবি, 'ছবিটি দেখলে বুঝবেন কয়া একঘেয়েমি নয়। প্রোমোতে যা দেখেছেন তার চেয়েও আমার চরিত্রটি ব্যাপক।'
অতিপ্রাকৃত হত্যা রহস্য নিয়ে সাজানো দুই ঘণ্টা ৩৬ মিনিট ব্যাপ্তির ছবিটিতে শুধু যৌন উত্তেজক দৃশ্যই নয়, রয়েছে বক্তব্য। গল্পে ৯ বছরের বালিকা কুহু লেকে ডুবে মারা যায়। এরপর থেকে তার বাবা মানব অলীক অস্তিত্বের বিশ্বাসে অদ্ভুত জীবন কাটান। তিনি মৃত মেয়েকে দেখেন! প্রেমিকা কয়ার কাছে এই গল্প শুনে ছবি নির্মাণের পরিকল্পনা করেন ফিল্ম স্কুল থেকে পাস করা বিধু। কুহুর পরিবারের চারপাশে ঘটে যাওয়া পরাবাস্তব ঘটনা নিয়ে ছবি তৈরির লক্ষ্যে চারজনের ইউনিট নিয়ে যায় বিধু ও কয়া। এরপর ঘটতে থাকে ভুতুড়ে সব কান্ড।
এর আগে ইতালি ও ফ্রান্সে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিতে অভিনয় করেন রীত। এগুলো হলো ‘ভিসিবল ব্রা স্ট্রাপস’ ও ‘দ্য অভা’। ভারতের ইংরেজি ভাষার ছবি ‘সোয়েন’-এ অজিতেশ শর্মা ও জনি বাওয়েজার পরিচালনায় অভিনয় করেন তিনি। 'অ্যা স্ক্যান্ডাল'-এ জনিই তার নায়ক। এ ছাড়া রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্যানাসনিক আর মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েলের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে বলিউডে আরও দুটি ছবি হাতে পেয়ে গেছেন রীত। এর একটি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের 'ওথেলো' অবলম্বনে পরিচালনা করবেন দক্ষিণের একজন। অন্য ছবিটি কল্পবিজ্ঞানধর্মী।

Wednesday, June 22, 2016

বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র দন্ধ

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সরকারী দলের উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ ও পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস এতদিন ভেতরে ভেতরে ফুঁসলেও এবার প্রকাশ্যে জনসমক্ষ্যে মুখোমুখি হলেন। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের নিচে প্রকাশ্যে জনসন্মুখে এ দু’প্রতিনিধি সরাসরি বাগ-বিতন্ডায় জড়ালেন। টেন্ডার বহির্ভূত কাজের ভাগ-বাটোয়ারা, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ও পৌরসভায় বর্ধিত ট্যাক্সের ইস্যু নিয়ে তাদের দু’জনের এ মুখোমুখি বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। এ নিয়ে নাশকতার আশাঙ্খায় উপজেলা পরিষদে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন থানা অফিসার ইনচার্জ আনিছুর রহমান । উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়রের নিকটতম আত্বীয় সাজ্জাদুল হক রেজার সাথেও একই সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে উত্তপ্ত বাক্য-বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। উভয়ের সমর্থকরা এক পর্যায়ে একে অপরের ওপর মারমুখী হবার চেষ্টা করলে উভয়ই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলা চত্বর ত্যাগ করেন। এদিকে, সাবেক মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সহধর্মিণী  পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস ও ছাত্রলীগ নেতা রেজার সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের কথা কাটাকাটি ও প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে বেলকুচিতে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদুল হক রেজা বলেন, আমরা সকল নেতাকর্মী দিনরাত পরিশ্রম করে জনগনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে মোহাম্মদ আলী আকন্দকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছি। কিন্তু চেয়ারম্যান হবার পর দলীয় নেতাকর্মীকে গত আড়াই বছরে মুল্যায়ন করা তো দুরের কথা, উল্টো বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী সার্বক্ষনিক সাথে নিয়ে চলাচল করায় একদিকে যেমন উপজেলা পরিষদের মর্যদা বিঘ্ন হচ্ছে, অন্যদিকে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাছারা কাজের ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। এসব বিষয় নিয়ে সোমবার দুপুরে প্রতিবাদ করায় তিনি আমাকে ও পৌর মেয়রকে অপমানিত করেছেন।
পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমরা তাকে যেমন উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছি, ঠিক তেমনি তার স্ত্রী বেগম সোনিয়া সবুরকে ইউপি চেয়ারম্যানও বানিয়েছি। কিন্তু, বর্ধিত ট্যাক্সের বিষয় নিয়ে আমার সাথে কথা না বলে প্রকাশ্যে আমাকে তার অপমান করাটা উচিৎ হয়নি। ট্যাক্স না বাড়ালে আমি কিভাবে উন্নয়ন করবো বা কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন পরিশোধ করবো। বিষয়টি তার বোঝা উচিৎ ছিল।
এসব বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেন, পৌর মেয়রের নিজস্ব পারিবারিক বিষয় নিয়ে উন্নয়ন সভায় আলোচনার পাশাপাশি ময়লা-অবর্জনা ও স্ট্রীট বাতির জন্য ৬/৭ গুন ট্যাক্স বাড়ানোর বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় পৌর মেয়র এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আর উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক গত ক’দিন আগে আমার অফিসে ঢুকে হম্বিতম্বি করে টেন্ডার বহির্ভুত কাজ দাবি করে। সেটা না দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়ায় সেও এ ধরনের মন্তব্য করছেন। এসব বিষয় শুধু নয়, তারা আমার ও আমার স্ত্রীর উন্নতী দেখে ইর্শ্বান্বিত হয়ে তারা এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের মধ্যে দন্ডের কারনে আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছি। গত সোমবার তাদেও মধ্যে বাক-বিতন্ডা হওয়ার কারণে নাশকতার আশাঙ্খা ছিল। এই নাশকতা ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

Monday, June 20, 2016

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল যোগাযোগ বন্ধ

সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেনের দুইটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগযোগ বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় মালবাহী ওই ট্রেনটির বগি লাইনচ্যুত হয়।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ওসি সাঈদ ইকবাল জানান, পাথর বোঝাই মালবাহী ওই ট্রেনটি কুষ্টিয়ার দর্শনা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাথরগুলো আনলোড করে দর্শনা ফিরে যাবার সময় ট্রেনটির ৪নম্বর ও ৬নম্বর বগি লাইনচ্যুত

Sunday, June 19, 2016

এনায়েতপুরের ১৭৪ পরিবারে বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের ১৭৪ টি পরিবারে পল্লীবিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ আব্দুল মজিদ মন্ডল। রবিবার দুপুরে খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার আজহার আলী, পরিচালক খোরশেদ আলম, বেলকুচি জোনাল অফিসের ডিজিএম মিজানুর রহমান, বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক সরকার, থানার ওসি আকরাম হোসেন, সদিয়া চাঁদপুর ইউপি’র নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম সিরাজ, সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, আওয়ামীলীগ নেতা আজগর আলী বিএসসি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কর্মমুখর সিরাজগঞ্জের তাঁতীপল্লি

সিরাজগঞ্জ : দীর্ঘ মন্দার পর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ জেলার তাঁত প্রধান এলাকাগুলো এখন কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। দিনরাত তাঁতের খট খট শব্দ জানান দিচ্ছে এ শিল্প মন্দা কাটিয়ে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে।
মালিক ও শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলায় তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের উন্নত আধুনিক রুচিশীল কাপড়। জামদানি, সুতি জামদানি, সুতি কাতান, চোষা, বেনারসি, শেড শাড়ি ও লুঙ্গি তৈরি হচ্ছে তাঁতপল্লিগুলোতে।
শাড়ির ওপরে বর্ণিল সুতা, বাক ও চুমকির কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া কাপড়ের ওপর প্রিন্ট এবং রঙতুলির আঁচড়ে হাতে করা হচ্ছে নান্দনিক ও মনোমুগ্ধকর নানা নকশা। বিভিন্ন নকশার তৈরি কাপড়ের চাহিদা ও সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে ভারত, আমেরিকা ও ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, বেলকুচি ও এনায়েতপুরের খুকনীর তৈরি বেনারসি শাড়ি ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় সরবরাহ দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁত কারখানার মালিকরা। কাপড়ের উৎপাদন বাড়াতে দিনরাত কাজ করে চলেছেন তাঁত শ্রমিকরা। কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের কোলাহলে সরব হয়ে উঠেছে এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, উল্লাপাড়া পাবনার জেলার তাঁতপল্লি।
গত বছরের এ সময়ের চেয়ে বেশি দামে কাপড় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এই মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে রঙ-সুতাসহ তাঁত উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
তাঁত প্রধান এলাকা শাহজাদপুরের খুকনী, এনায়েতপুর, বেতিল, ও বেলকুচি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কারখানা মালিক ও শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে শাড়ি, লুঙ্গি তৈরিতে। বসে নেই নারীরাও। পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নলীভরা, সুতাপারি করা, মাড়দেয়া ও রঙতুলিতে নকশা আঁকাসহ কাপড় বুননের কাজেও সহযোগিতা করছে ওই এলাকার নারী শ্রমিকরা।
চলতি বছরের প্রথম থেকেই তাঁতিদের সফলতা আসতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলের তাঁতপল্লিগুলোতে উন্নতমানের জামদানি, সুতি কাতান, চোষা, সুতি জামদানি, বেনারসি ও শেট শাড়ির পাশাপাশি মোটা শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রি-পিস ও থান কাপড় তৈরি হচ্ছে। এসব শাড়ি ও লুঙ্গি দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানি হচ্ছে। ঢাকার বুটিক হাউজ কে-ক্রাফট তাদের পরিবেশকের মাধ্যমে কানাডা ও আমেরিকায় এবং নগরদোলা বুটিক হাউজ ইংল্যান্ডে বাজারজাত করছে। এছাড়া ঈদের বাজারে সোনার বাংলা টেক্সটাইল, ডিসেন্ট, ইউনিক, স্ট্যান্ডার্ড, আমানত শাহ, রুহিতপুরী, স্মার্ট, অমর, পাকিজা, এটিএম, বোখারি, ফজর আলী, অনুসন্ধান, জেএম, স্কাই, চাচকিয়া, ওয়েস্ট, রঙধনুসহ ১২৫টি ব্র্যান্ডের লুঙ্গি চাহিদা বেড়েছে।
সিরাজগঞ্জ চেক ইন্ডাস্টিজের ম্যানেজার আব্দুল মান্নান মোল্লা জানান, এক দশক ধরে সুতা, রঙ ও তাঁত উপকরণের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধি এবং ভারতীয় শাড়ির আগ্রাসনে তাঁত শিল্প বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ওই সময় অনেক তাঁতিই পুঁজি সঙ্কটে পড়ে কারখানা বন্ধ করে দেন। ফলে লাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। মৃত ও বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় এই তাঁত শিল্পকে তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে আন্তর্জাতিকমানের এবং সময়োপযোগী ডিজাইন নিয়ে আসায় এ শিল্প প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করেছে। তাঁতীরা এ শিল্পকে আর অলাভজনক পেশা হিসেবে দেখছেন না। মান্ধাতা আমলের বুননশৈলী ও জ্যাকেট পাইড়ের শাড়ি বাদ দিয়ে ডিজাইনারদের পরামর্শ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁতের কাপড় বিক্রিতে এখন আর মন্দাভাব নেই। এ পেশার সঙ্গে জড়িত সবাই এখন লাভের মুখ দেখছেন। সময়োপযোগী করে বুননশৈলী আর রঙের মাধুর্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে এ অঞ্চলে তাঁতের কাপড়।
শাহজাদপুরের পাইকারি কাপড় ব্যবসায়ী আল হেলাল জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা শাহজাদপুর ও আতাইকুলা হাট থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫ কোটি টাকার কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের তাঁতশিল্প প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। তবে দাম গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
শাহজাদপুরে হাটে আসা কলকাতার কাপড় ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র সেন জানান, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা অঞ্চলের তৈরি কাপড় কলকাতা শুভরাজ, গঙ্গারামপুর ও পাটনাসহ বড় বড় শহরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতের চেয়ে এ দেশের কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, টেকসই এবং উন্নতমানের হওয়ায় তারা এখান থেকে কাপড় কিনছেন।
তিনি জানান, ভারতের রপ্তানিকারকদের কাছে বাংলাদেশের লুঙ্গির চাহিদা রয়েছে সব চেয়ে বেশি। তারা বাংলাদেশি লুঙ্গি মধ্যপ্রাচ্যেও রপ্তানি করছে।
বিবিআনা, রঙ, কে-ক্রাফট ও নগরদোলাসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় বুটিক প্রতিষ্ঠানের কাপড় এখন সিরাজগঞ্জ-পাবনা অঞ্চলে তৈরি হয়। বুটিক হাউজগুলোর নিজস্ব ডিজাইনে রেশম সুতা, খাদি, নয়েল, ডুপিয়ান ও এন্ডি সুতা ব্যবহার করে তাতে প্যালেস ও জরি মিশ্রিত করে কাপড় তৈরি করা হচ্ছে। বুটিক হাউজের ওড়না, থান কাপড় ও এন্ডি থান কাপড়ের ফেব্রিক্স তৈরি করা হচ্ছে তাঁতপল্লীগুলোতে। এ দিয়ে নানা ধরনের পোশাক তৈরি করছে বুটিক হাউজগুলো। তরুণ-তরুণীদের কথা মাথায় রেখে তাঁতিরা উন্নতমানের জামদানি নকশা, শেড ও থান কাপড় তৈরি করছে। এ দিয়ে পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ আর ফতুয়া তৈরি হচ্ছে। জামদানি থ্রি-পিস দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা এবং চেক থ্রি-পিস ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদ সামনে রেখে স্বর্ণলতা নামে নতুন একটি শাড়ি বাজারে এনেছেন শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও বেলকুচির তাঁতিরা। হাফ সিল্কের ওপর ঝুটের মনমুগ্ধকর নকশা করা। কাপড় খুললেই স্বর্ণের মতো ঝলমল করে বলেই এর নাম রাখা হয়েছে স্বর্ণলতা। ইতোমধ্যেই এ শাড়ি ক্রেতাদের মন কেড়েছে। বাজারে এর দাম দুই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্বর্ণলতা কাপড় প্রস্তুতকারক দরগাপাড়া গ্রামের তাঁতি আলহাজ আজমল কবীর বলেন, ‘রুচিশীল ক্রেতাদের বিষয়টি খেয়াল রেখেই ভারত থেকে জুট এনে তা দিয়ে হাতে বিভিন্ন নকশা করে স্বর্ণলতা শাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এ শাড়ির প্রকৃত নাম সাউথ কাতান। ইতোমধ্যে বাজারে এ শাড়ির চাহিদা আকাশছোঁয়া। তার কারখানায় উৎপাদিত কাপড় আগাম বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।’
পাইকারি বিক্রেতা গোপিনাথপুরের সেলিম রেজা ও গোপরেখীর এসএম সুজন মাহমুদ জানান, দীর্ঘ মন্দার পর ঈদ সামনে রেখে কাপড়ের বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। তাঁতিদের পিছে পিছে ঘুরে চাহিদা অনুযায়ী কাপড় মিলছে না। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম টাকা দিয়ে তাঁতিদের বাড়ি থেকে কাপড় নিয়ে যাচ্ছে। অনেক তাঁতিই তার কারখানার কাপড় আগাম বিক্রি করে দিয়েছেন। যদি কাপড় পাওয়া যায় তবে তার দাম অনেক বেশি।
গোপালপুরের তাঁতি শফিকুজ্জামান শফি বলেন, ‘বাজারে কাপড়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক সঙ্কটের কারণে তারা কাপড়ের উৎপাদন বাড়াতে পারছেন না। দফায় দফায় সুতা, রং ও অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ার কারণেই কাপড়ের দাম বেড়েছে।’
সুতা ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, তুলার সঙ্কট এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সুতার দাম বৃদ্ধির কারণেই স্থানীয় বাজারে সুতার দাম বেড়ে যায়। বর্তমানে তুলার সঙ্কট না থাকায় সুতার দাম কমতে শুরু করেছে।
তাঁত শ্রমিক আসাদুজ্জামান, সোহেল সেখ, আকরাম হোসেন, খলিলুর রহমান, আব্দুর রহিম জানান, পরিশ্রম অনুযায়ী মালিকরা শ্রমিকদের মজুরি দিচ্ছেন না। তারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে সপ্তাহে ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান। বাজারে কাপড়ের দাম বাড়লেও তাদের মজুরি বাড়েনি। আগের তুলনায় কাপড় তৈরিতে সময় এবং পরিশ্রম বেশি হলেও মালিক নামমাত্র মজুরি বাড়িয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে পরিবারের চাহিদা মেটাতে বাড়তি রোজগারের আশায় তারা রাতদিন কাজ করছেন বলে জানান।

সিরাজগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা ছুরিকাহত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আকাশ সেখ সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যার আগে শহরের স্টেডিয়ামের মেইনগেটে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনার সাথে জড়িত শুভ ও রনি নামে দু'জনকে আটক করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় আকাশকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন জানান, শনিবার জেলা আওয়ামী লীগ শহরের স্টেডিয়ামে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ইফতার পূর্বে মেইন গেটের সামনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কয়েকজন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ নেতা আকাশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে পুলিশ শুভ ও রনি নামে দুইজনকে আটক করে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল আহমেদ জানান, ৪/৫টি স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এর মধ্যে হাত ও পিঠের দিকেরটা বেশি গুরুতর। চিকিৎসা চলছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষনিক দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

Saturday, June 18, 2016

সিরাজগঞ্জে ৫ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে পাঁচ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা, গাঁজা, প্যাথিড্রিন ও হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) গভীর রাত থেকে শনিবার (১৮ জুন) ভোর পর্যন্ত শহরের মাদকপল্লী খ্যাত মাহমুদপুর ও রেলওয়ে কলোনিতে এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রেলওয়ে কলোনির বাবুর স্ত্রী রোকসানা (২৮), শাহীনের স্ত্রী নারগিস (৩০), মাহমুদপুরের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী চায়না (৫৫), মৃত ফরিদের স্ত্রী লিপি (২৫) ও একই এলাকার নুর হাই (৪৫)।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারেক জানান, পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত শহরের দু’টি মাদকপল্লীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৫৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫০ পুরিয়া হেরোইন, ২৫০ গ্রাম গাঁজা ও বিপুল প্যাথিড্রিনসহ ওই পাঁচ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আট/১০টি করে মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ প্রতিদিনকে জানান, মাদকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাদকপল্লীগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।