সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Thursday, April 30, 2015

শাহজাদপুরে ইয়াবা-ফেনসিডিলসহ ছাত্র সংসদের সাবেক প্রো-ভিপি আটক

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ৩০
পিস ইয়াবা ও ২ বোতল ফেনসিডিলসহ ৩
যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার
দিকে পৌর এলাকার মনিকা সিনেমা
হলের পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, উপজেলার দ্বারিয়াপুর
গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে কলেজ
ছাত্র সংসদের সাবেক প্রো-ভিপি এবং
ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাজেদুর
রহমান মানিক (৩৮) এবং তার দুই সহযোগী
মনি (২৮) ও রতন (৩০)।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
(ওসি) শাহাব উদ্দিন খলিফা আটকের
বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক
মানিক পাবনার বেড়া উপজেলা
প্রকৌশলী কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী।
তার ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ড, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির
একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

Tuesday, April 28, 2015

তিন সিটিতে জয়ের পথে আ'লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা

ঢাকা উত্তর দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি
কর্পোরেশনের নির্বাচন শেষে প্রাপ্ত
ফলাফলে বিপুল ভোটে এগিয়ে আ'লীগ
সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা।জয়ের পথে
চট্টগ্রামে আজম নাসির, ঢাকা উত্তরে আনিসুল
হক ও দক্ষিনে সাঈদ খোকন । ঢাকা উত্তর সিটি
কর্পোরেশনে মোট কেন্দ্র ১০৯৩টি।
প্রাপ্ত ফলাফল: ১৭০, আনিসুল হক : ৬৯,৫৬৯, তাবিথ আওয়াল : ৪৬,৯৮৬। ঢাকা দক্ষিণে মোট ভোট কেন্দ্র ৮৮৯টি। প্রাপ্ত ফলাফল :১৯৬, সাঈদ খোকন ১১২,৫৬৯,মির্জা আব্বাস ৫৮,৩৮৯ ভোট পেয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটকেন্দ্র ৭১৯টি। প্রাপ্ত ফলাফল: ৩৬০টি, আজম নাসির : ২,৪১,৬৫৩ মঞ্জুর আলম ১৩৬,৫৪৯ ভোট পেয়েছেন।

যে তিন কারণে সিটি নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয়

সিটি নির্বাচনে বিএনপির যে বিপর্যয় হয়েছে তা বলা যায় অনেকটা প্রত্যাশিত। জনগণের চোখে
আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোট দেয়ার
প্রত্যয় ফুটে উঠেছিলো। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন
এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময় জনগণের চোখে
মুখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার
তীব্র মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির
প্রার্থীদেরকে পছন্দ না করার পরেও শুধু শাসক
আওয়ামী লীগকে একটি ম্যাসেজ দেয়ার জন্য
জনগণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদেরকে
ভোট দেয়ার মানসিক প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নিয়ে
নিয়েছিল।কিন্তু বিএনপির কতগুলি আভ্যন্তরীণ
দুর্বলতার কারণে এই দুর্লভ সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না।
তাই জনগণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির বিপর্যয়ের
অনেকগুলো কারণের মধ্যে নিম্নলিখিত প্রথম
তিনটি কারণ মুখ্য বলে মনে করে:
১. প্রচণ্ডতম সাংগঠনিক দুর্বলতা।
বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি শূন্যের কোঠায় নেমে
এসেছে বলে অনেকে মনে করেন। এলাকায়,
পাড়ায়, মহল্লায় দৃশ্যমান কোনো সংগঠন নাই এবং
কোনো সাংগঠনিক তৎপরতাও নাই। সবাই গিয়ে মেয়র
প্রার্থীদের বাড়িতে ধরনা দিয়ে আর্থিক সুযোগ
সুবিধা খুঁজেছে এবং অনেক নেতারা পল্টনের
বা গুলশানের অফিসের সামনে গুলতানি মেরেছে।
অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি বিএনপির
বর্তমান নেতাকর্মীদের কোনো নিজস্ব বা
প্রভাবাধীন এলাকা নাই। সবাই প্রায় ভাসমান নেতা কিন্তু
দলের অফিস ও বড় নেতারা তাদের দখলে।
দলকে এই সকল ভাসমান নেতা থেকে মুক্ত করে
যতদিন না প্রতিটি এলাকা, মহল্লা পাড়ায় শিকড় আছে এমন
তৃণমূল নেতাদেরকে নিয়ে দলকে সংগঠিত করা
যাবে ততদিন পর্যন্ত বিএনপিকে মাঠে দাঁড়ানো
কঠিন হয়ে যাবে। জনগণ মনে করে ভবিষ্যতে
কোনো বড় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা আন্দোলনে
যাওয়ার আগে অন্তত দুই বছর সময় নিয়ে দলের
খোলনলচে পালটিয়ে নতুন করে দলকে সংগঠিত
করে নেয়া উচিত। কাউকে বাদ দিতে বলছি না, দলে
সবার প্রয়োজন আছে। তবে নতুনদেরকে
দায়িত্ব দিয়ে দলকে সংগঠিত করার কাজে অতিসত্বর
নামিয়ে দিতে হবে। দলকে সংগঠিত করার জন্য নতুন
একজন সাহসী ও সাংগঠনিক কাজে পারদর্শী
ব্যক্তিত্বকে দায়িত্ব দেয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হবে
বলে অনেকেই মনে করে।
২. প্রার্থীদের সততা এবং গ্রহণযোগ্যতার
সাংঘাতিকতম অভাব। বিশেষ করে চট্রগ্রামের
প্রার্থীর কলঙ্কতম অতীত কর্মকাণ্ড এবং ঢাকা
উত্তরের প্রার্থীর বাবার অতি চালাকি ও নাটকীয়তা।
৩. সামাজিক ও প্রশসনের প্রতি দলের এক ধরনের
বিদ্বেষ নীতি।
পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এবং বড়
সংবাদপত্র বা মিডিয়া মোঘল, প্রভাবশালী সাংবাদিক মহল,
ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী মহল ও এলাকার মুরুব্বিদের
সঙ্গে যোজন দূরত্ব। মনে হয় বিএনপি কারো
সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার প্রয়োজনকে গুরুত্ব
দেয় না। কোনো এলাকার কোনো সামাজিক
শক্তিই বিএনপির নিয়ন্ত্রণে নাই। স্কুল, কলেজ,
বিশ্ববিদ্যালয় এবং এমনকি মাদ্রাসা মক্তবের সঙ্গে
বিএনপির নেতা কর্মীদের প্রভাব বলতে কিছুই নাই।
বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও
বিএনপির দূরত্ব লক্ষণীয়। এছাড়া ভাবে সাভে মনে
হয় বিএনপি পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের
সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং তাদেরকে
সম্পূর্ণভাবে শাসকগোষ্ঠীর হাতে তুলে
দিয়েছে। বিএনপি ছাত্র, যুব বা পেশাজীবী
কোনো সংগঠন নয়। বিএনপি একটি জাতিও রাজনৈতিক
দল এবং বিএনপিকে সেভাবেই আচরণ করতে
হবে। কাউকেই বিএনপি বিদ্বেষী ভাবা
রাজনৈতিকভাবে ঠিক নয়। বিএনপির এহেন ভ্রান্ত
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সময়ের দাবি।
হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আমাদেরকে শত বাধা অতিক্রম
করে সামনে এগুতেই হবে। সামনে জয় সুনিশ্চিত।
সবাইকে ধন্যবাদ।
লেখক: সাবেক সংসদ সদস্য।

৮ই মে শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন,
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি
অনুযায়ী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হতে যাচ্ছে।
৮ই মে কবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে এটির
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। দ্রুত অর্থায়নের মাধ্যমে এটির
বাস্তবায়ন হবে। গতকাল বিকালে
সিরাজগঞ্জ সার্কিট হাউসে উপস্থিত
সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে তিনি আরও
বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্মরণীয় করে
রাখতে ইতিমধ্যেই শাহাজাদপুরের
কাচারীবাড়িকে ঘিরে নানা প্রস্তুতি শুরু
হয়েছে। ভিত্তিফলক উন্মোচনের পাশাপাশি
বিশাল সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী ভাষণ
দেবেন। এজন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, জেলা
প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয়ভাবেও নানা
প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

Sunday, April 26, 2015

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে সাড়ে ৬ ফুট লম্বা একটি অজগর উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে
সাড়ে ৬ ফুট লম্বা একটি অজগর উদ্ধার
হয়েছে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এনায়েতপুর
থানার খুকনী ইউনিয়নের রুপনাই গোপালপুর
(চরকাদ) পশ্চিম পাড়া এলাকার একটি জলাশয়
থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়।
অজগরটি বর্তমানে জেলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ
কর্মকর্তাদের হেফাজতে রয়েছে। এটি
গাজীপুর সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হবে।
এনায়েতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই)
মাজেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে
ওই গ্রামের আবু শামার জলাশয়ে মাছ ধরতে
গেলে জেলেদের জালে কচুরিপানার
সঙ্গে অজগরটি আটকা পড়ে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ সাপটি উদ্ধার করে থানায়
নিয়ে আসে। পরে জেলা বন্যপ্রাণী
সংরক্ষণ কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা
হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ
কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বাংলানিউজকে ‍বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অজগরটির অল্পবয়সী। দু’একদিনের
মধ্যে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে
এটি অবমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে।

সিরাজগঞ্জে চারতলা ভবন হেলে পড়েছে

ভূমিকম্পের প্রভাবে হেলে
পড়েছে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি চারতলা
ভবন। ভবন হেলে যাবার খবর শহরে ছড়িয়ে
পড়ায় শত শত লোক ওই এলাকায় ভিড় করছে।
নিরাপত্তার কারণে আবাসিক এলাকার মূলগেটে
পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রোববার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১টার দিকে
শহরের মুজিব সড়কের সনি আবাসিক এলাকায় এ
ঘটনা ঘটে।
অনুমোদনহীন চারতলা ভবন হেলে পড়ার
পাশাপাশি চারতলার দেয়ালে ফাটলও ধরেছে
বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই ভবনসহ
আশপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ
করছে।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী
আবুহেনা মোস্তফা কামাল সনি আবাসিক এলাকার
বিল্ডিংটি পরিদর্শন শেষে বাংলানিউজকে জানান,
ভূমিকম্পে বিল্ডিংটি পূর্ব দিকে একটু গেলে
গেছে। ভূমিকম্পে নাকি অন্য কারণে এমন
হয়েছে সেটি রিডিং মেশিন দিয়ে পরীক্ষা
করে দেখা হবে।
তিনি আরো জানান, ২০০২ সালে প্রবাসী শহিদুল
ইসলাম বিল্ডিংটি নির্মাণ করেছেন। নির্মাণের
ক্ষেত্রে পৌরসভা থেকে তিনি কোনো
প্লান বা অন্য কোনো বিষয়ে অনুমোদন
নেয়নি।
এদিকে, রোববারও ভূমিকম্প শুরু হওয়ার সঙ্গে
সঙ্গে অফিস-আদালতে কর্মরত কর্মকর্তা-
কর্মচারী, বসতবাড়ি ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-
ছাত্রী ও সব শ্রেণী পেশার মানুষ রাস্তায়
নেমে আসে।
এছাড়াও কাজিপুর সোনামুখী স্কুলে আতঙ্কে
তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৪/৫ জন
স্কুলছাত্র আহত হয়েছে। আহতদের
স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে
বলে জানা গেছে।

Saturday, April 25, 2015

দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় সুখী দেশ বাংলাদেশ

সুখী দেশের তালিকায় ১০৯ নম্বরে জায়গা
পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে দক্ষিণ এশীয়
দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয়।
জাতিসংঘের স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান
সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন
নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) গত বৃহস্পতিবার 'ওয়ার্ল্ড
হ্যাপিনেস রিপোর্ট-২০১৫' শীর্ষক প্রতিবেদন
প্রকাশ করে। প্রতিবেদনের অন্তর্ভুক্ত ১৫৮টি
দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৯তম। প্রতিবেশী
ভারত রয়েছে ১১৭তম অবস্থানে। পাকিস্তান অবশ্য
খানিকটা এগিয়ে, ৮১তম অবস্থানে। পৃথিবীর
সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত
হয়েছে সুইজারল্যান্ড। শীর্ষ পাঁচটি
দেশের অন্য চারটি হলো যথাক্রমে আইসল্যান্ড,
ডেনমার্ক, নরওয়ে ও কানাডা। আর সবচেয়ে
নিচে রয়েছে আফ্রিকার দেশ টোগো। তালিকার
সবচেয়ে নিচের দিকে থাকা আরো ৯টি দেশ
হলো বুরুন্ডি, সিরিয়া, বেনিন, রুয়ান্ডা, আফগানিস্তান,
বুরকিনা ফাসো, আইভরিকোস্ট, গিনি ও চাদ। সুখী
দেশ নির্বাচনে প্রতিটি দেশের মাথাপিছু জিডিপি, গড়
আয়ু, সামাজিক সেবা, জীবন যাপনের পদ্ধতি
বেছে নেওয়ার সুযোগ, মহত্ত্ব, দুর্নীতির
ধারণাকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক অগ্রগতি এবং
জননীতির লক্ষ্য অর্জনের সঠিক পরিমাপ করার
জন্য সুখ নামক অভিধাটির ব্যবহার উত্তরোত্তর
বাড়ছে। সঠিকভাবে সমৃদ্ধি পরিমাপের মাধ্যমে
কিভাবে একটি জাতির অগ্রগতি পরিমাপ করা যায়, সেটাই
দেখানো হয় সুখের সূচকে।

ভূমিকম্পে হতাহত, ক্ষয়ক্ষতিতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারত জুড়ে
ভুমিকম্পে হতাহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায়
গভীর শোক প্রকাশ করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিবেশি তিনটি
দেশে একযোগে এত বড় আকারে ভূমিকম্প
আঘাত হানার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন তিনি।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নেপালে শত শত
মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় শোক ও সহমর্মীতা
জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব একেএম শামীম
চৌধুরী সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জে ভূমিকম্পে ভবনের পলেস্তারা খসে আহত ৫

সিরাজগঞ্জ: ভূমিকম্পে সিরাজগঞ্জ শহরের
মেছুয়া বাজারের দ্বিতল ভবনের ছাদের
পলেস্তারা খসে পড়ে পাঁচ মাছ ব্যবসায়ী
আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটের দিকে
নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশে অনুভূত ভূমিকম্পে
এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত মাছ ব্যবসায়ীরা হলেন- দুলাল হোসেন
(৫০), মিঠু আহম্মেদ (৪০), মোকতার
হোসেন (৪০), শাহিন সেখ (৪৫) ও রফিকুল
ইসলাম (৪৬)।
আহতদের মধ্যে শাহীন ও রফিককে
সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, ভূমিকম্পে মেছুয়া
বাজারের দ্বিতল ভবনের ছাদের গ্রেট
বিমের পলেস্তারা খুলে পড়তে শুরু করে।
এ সময় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু
করেন। এ সময় খসে পড়া পলেস্তারার আঘাতে
পাঁচ মাছ ব্যবসায়ী আহত হন।

Thursday, April 23, 2015

মাহি-তাবিথের থার্টি ফার্স্ট কেলেঙ্কারি, তোলপাড় অনলাইনে

এবার অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে মাহি বি চৌধুরী
ও তাবিথ আউয়ালের অতীত কীর্তি। ২০০৪
সালের থার্টি ফার্স্ট নাইটে গুলশান এলাকায় সৃষ্ট
বিশৃংক্ষলায় মাহী-তাবিথের সম্পৃক্ততার ছবি প্রকাশিত
হওয়ার পরে এটিই এখন আলোচনার গরম বিষয়।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের এক সপ্তাহেরও কম
সময় আগে এই ছবি প্রকাশিত হলো। মাহী ও তাবিথ
দুইজনই ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে
মেয়র পদে লড়ছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেসবুকে একটি পেপার কাটিং ছড়িয়ে পড়তে
থাকে। ঘটনাটি ২০০৪ সালের থার্টি ফার্স্ট নাইটের। ২
জানুয়ারি, ২০০৫ তারিখের দৈনিক ‘সংবাদ’ পত্রিকার ঐ কাটিং
থেকে দেখা যায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত তাবিথ
আউয়াল ও বিকল্প ধারা সমর্থিত মাহি বি চৌধুরী ওই রাতে
গুলশানের টপকাপি রেস্তোরাতে একটি ড্যান্স
পার্টিতে যোগ দিতে যান। সেখানেই তারা জড়িয়ে
পড়েন সাংবাদিক ও স্থানীয়দের সাথে বিশৃংক্ষলা ও
মারামারিতে। পরের পুলিশের তল্লাশীতে
বেরিয়ে আসে উচ্ছৃংক্ষলতা ও অবৈধভাবে
মদ্যপানের ঘটনা।
সংবাদ-এর খবরের সাথে আধুনিক পোশাক পরিহিতা
তরুণীর সাথে তাদের ছবি ছাপা হয়েছিল।
ঐ রিপোর্ট থেকে দেখা গেছে, থার্টি ফার্স্ট
নাইটে গুলশানের টপকাপি রেস্তোরাতে
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা
আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল সহ বিশ
জন শিল্পপতির ছেলে-মেয়েরা একটি ড্যান্সপার্টির
আয়োজন করে। এই আয়োজনের জন্য
কোনো অনুমতিও নেয়া হয়নি। মাহী বি চৌধুরীও
সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুমতি ব্যতিরেকেই
সেই অনুষ্ঠানে মাদক দ্রব্যও বিক্রি করা হয়।
ড্যান্সপার্টি চলাকালে বেসামাল হয়ে অতিথিদের একাংশ
সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হন। বিশৃংক্ষলার খবর
পেয়ে পুলিশের জনৈক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
সেখানে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করা সত্ত্বেও
ড্যান্সপার্টিটি চলতে থাকে। ফটো সাংবাদিকরা সেই
দৃশ্যের ছবি তুলতে গেলে অতিথিরা আবার
সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হন। মারামারির ফলে সাতটি
সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনুমতি না
থাকায় পরে পুলিশ অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়। এসময়
তল্লাশী চালিয়ে কয়েকশো বোতল বিদেশী
মদ আটক করে।
‘সংবাদ’ পত্রিকার ওই প্রতিবেদন আরো জানা
গেছে, আয়োজক তাবিথ আউয়াল ক্ষতিগ্রস্থ
ক্যামেরার জন্য ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সৎ ও ক্লিন
ইমেজের প্রার্থীদের দিকেই ভোটারদের
ঝোঁক লক্ষ্য করা গেছে। এমন অবস্থায় দুই
প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী মাহী ও তাবিথের
এই অতীত কীর্তি নতুন করে সামনে আসাতে
ভোটারদের প্রতিক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে চলছে
তুমুল আলোচনার ঝড়।

Saturday, April 18, 2015

সিরাজগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে ইউনিয়ন
পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের
নেতৃত্বে বিএনপির দুই শতাধিক
নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান
করেছেন।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর
উপজেলার শিয়ালকোল সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত
এক জনসভায় প্রধান অতিথি স্থানীয়
সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে
মিল্লাত মুন্নার হাতে ফুলের তোড়া
দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জামাল
আকন্দ ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-
সভাপতি ইউপি সদস্য আতাউর রহমানের
নেতৃত্বে বিএনপির দুই শতাধিক
নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান
করেন।
শিয়ালকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের
উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায়
অন্যান্যদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ-পাবনা
সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য
সেলিনা বেগম স্বপ্না, জেলা ১৪
দলের সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল খান,
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.
রিয়াজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ
প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি
হেলাল উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী
লীগের সভাপতি আবুল হোসেন,
সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজম
তালুকদার বাবলু, যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি
সদস্য শহিদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শাহ জামাল আকন্দ তার
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন,
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে
শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আওয়ামী
লীগে যোগদান করলাম।
বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, এপ্রিল
১৮, ২০১৫
আরএ

Sunday, April 12, 2015

কামারুজ্জামানের ফাঁসি দেইখ্যা মরবার চাই

শাকিল আহমেদ , শেরপুর : মরবার আগে আমার
স্বামী ও পুলারে যারা মারছে , সেই তাগোরে ফাঁসি
দেইখ্যা মরবার বড় আশা মনে আছিল। আইজ
কামারুজ্জামানের ফাঁসির সাজার কতা হুইন্না
বুহের ভিতর থাইক্কা একটা চাপা দেওয়া পাত্তর
হইরা ( সরে) গেলো। ’
কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলেন সোহাগপুর
গণহত্যায় শহীদ খেজুর আলীর স্ত্রী জরিতন
বেওয়া। একাত্তরে তার স্বামী- সন্তান ,
স্বজনসহ পরিবারের আট সদস্যকে গুলি করে
হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন , ‘ আমার স্বামীরে ঘর থেইক্যা
টাইন্যা লইয়্যা আইয়্যা উঠানে ফালাইয়্যা পরথমে
ছয়ডা গুলি করে। গুলি খাইয়্যা পানি চাইলে
আরেকটা গুলি করে। ওই গুলিতে উডানেই তার
জীবন যায়। পরে আমার সোনামানিক বুকের ধন
হাশেমরে ধইর ‌ ্যা নিয়্যা বাপের লাশের উফরে
ফালাইয়্যা গুলি করে। এরপর আমার দেওররে
ধইর ‌ ্যা নিয়্যা বন্দুকের নল দিয়্যা কেচাইতে থাহে,
পরে মুহের ভিতরে বন্দুক দিয়্যা গুলি করে।
তহনি তার পরান বাইরইয়্যা যায়। ’
সোমবার সকালে মুক্তিযুদ্ধকালীন
মানবতাবিরোধী অপরাধে কামারুজ্জামানের
আপিলে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকায় নালিতাবাড়ী
উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের বিধবাপল্লির
শহীদ পরিবারের বিধবা ও শহীদ স্বজনদের
চোখে এখন আনন্দাশ্রু। জামায়াতের সহকারী
সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান ছিলেন
শেরপুরের আলবদর সংগঠক।
শহীদ ফজর আলীর স্ত্রী জবেদা বেওয়া বলেন,
‘ যারা আংগর বেডাইনরে ( পুরুষ মানুষ) মারছে,
ওগর নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির সাজা অইছে ,
হুইন্না আংগর কইলজাডা তাও ইট্টু জুড়াইছে।’
সেদিনের সেই হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের কথা
জানতে চাইলে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে কান্নায়
ভেঙে পড়েন শহীদ জসিমুদ্দিনের স্ত্রী বিধবা
নুরে মান বেওয়া, বিধবা সমলা বেওয়া ও করফুলি
বেওয়া।
তারা বলেন, ‘ পাক বাহিনীরা তো আর আমগর
এলাকা চিনত না। রেজাকার- আলবদররাই তো
তাগরে পথ দেহাইয়া এই গেরামে মুক্তি আছে
কইয়া আনছে , ম্যাছাকার করছে। আমগরে বিদুফা
( বিধবা) করছে , স্বামী- সন্তানহারা করছে।
কামারুজ্জামান আছিল ওগরে নিডার ( নেতা) ।
অহন অক্তের ( রক্তের) বদলে কামরুজ্জামানের
অক্ত ( রক্ত ) নেওয়ার ফাঁসির সাজা অইছে ,
আমরা খুশি অইছি।’
তবে শহীদ ছফির উদ্দিনের দুই ছেলে জালাল
উদ্দিন ও আলাল উদ্দিন বলেন,
‘ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ে আমরা খুশি।
বিধবাপল্লির শহীদ পরিবারের স্বজনরা সবাই
খুশি। তবে আমরা এহন কিছুডা ডরের
( আতঙ্কের) মধ্যে আছি। কামারুজ্জামানের
পক্ষের লোকেরা নানাভাবে আমাদের শায়েস্তা
করা হবে , ক্ষমতা পরিবর্তন হলে দেখে নেওয়া
হবে বলে নানাভাবে হুমকি ছড়িয়ে আসছে। ’
১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই বর্বর পাকিস্তানি
বাহিনী গণহত্যা চালায় জেলা শহর শেরপুর থেকে
৩৬ কিলোমিটার দূরে নালিতাবাড়ী উপজেলার
সীমান্তবর্তী কাকরকান্দি ইউনিয়নের
সোহাগপুর গ্রামে।
সেদিন পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর
রাজাকার , আলবদরদের ছয় ঘণ্টার তাণ্ডবে ওই
গ্রামের ১৮৭ জন পুরুষ শহীদ হন। এদিন ভোরে
পাকিস্তানি বাহিনী সোহাগপুর গ্রামের খেতে -
খামারে ও ঘরে ঘরে ঢুকে নির্মমভাবে হত্যা করে
নিরীহ কৃষক , শ্রমিক ও মেহনতি মানুষদের। সেই
থেকে গ্রামেরর নাম পাল্টে হয়ে যায়
‘ বিধবাপল্লি ’ ।
তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা আলবদর
সংগঠক কামারুজ্জামানের নির্দেশে সোহাগপুর
গ্রামে এ গণহত্যা সংগঠিত হয়।
শহীদ পরিবারের বিধবারা বলেন , ‘ আলবদর
কমান্ডার কামারুজ্জামানের নির্দেশে স্থানীয়
রাজাকার কাদির ডাক্তারের নেতৃত্বে গ্রামের
প্রফুল্লদীঘি থেকে সাধুর আশ্রম পর্যন্ত
এলাকা ঘিরে ফেলে।
এ সময় তারা গ্রামের ছেলে, বুড়ো , শিশু যাকে
যেখানে পেয়েছে সেখানেই পাখির মতো গুলি
করে হত্যা করেছে। অনেককেই বেয়নেট চার্জ
করে হত্যা করে। মধ্যযুগীয় কায়দায় নরঘাতকের
দল স্ত্রীর সামনে স্বামীকে, মায়ের সামনে
সন্তানকে বাড়ির উঠোনে ফেলে ব্রাশফায়ার
করে হত্যা করে।
প্রায় ছয় ঘণ্টা তাণ্ডবের পর হায়েনার দল
সোহাগপুর গ্রাম ত্যাগ করে চলে যায়।
স্বজনদের লাশ দেখে শুরু হয় মাতম। তাদের
গগণবিদারী চিৎকারে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
আবার হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী আসবে বাড়িঘর
জ্বালাতে - এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রিয়
স্বজনের লাশ কেউ কলপাতা , কেউ শাড়ি , গামছা,
আবার অনেকেই ঘরের মশারি দিয়ে পেঁচিয়ে
কোনোমতে গর্ত করে এক কবরে পাঁচ -
সাতজনকে মাটিচাপা দিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে
যায়।
এক সময় দেশ স্বাধীন হয়। স্বামীহারা ওইসব
পরিবারের শুরু হয় কঠিন জীবনসংগ্রাম।
পুরুষশূন্য এ গ্রামটির নামকরণ করা হয়
বিধবাপল্লি। বর্তমানে এ বিধবাপল্লিতেই
কালের সাক্ষী হয়ে বেঁচে আছেন ৩৪ বিধবা।
এরা কেউ বয়স্ক ভাতা , বিধবা ভাতা এবং ট্রাস্ট
ব্যাংক ও ব্র্যাকের যৎসামান্য মাসিক ভাতার
ওপর নির্ভর করে কোনোমতে দিনাতিপাত
করছেন। তারা কামারুজ্জামানের পাশাপাশি
স্থানীয় রাজাকারদেরও বিচার ও শাস্তির দাবি
জানিয়েছেন। -