সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Friday, September 30, 2016

সিরাজগঞ্জে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাবা

সিরাজগঞ্জে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বাবা।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার শহীদগঞ্জ মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতার হলেন, সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের শহীদগঞ্জ মহল্লার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে সেলিম আহম্মেদ (৩৫) ও তার শিশু কন্যা সোহা (৮)।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম
সিরাজগঞ্জ প্রতিদিনকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সেলিম তার মা সেতারা বেগম ও মেয়ে সোহাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। কোনো এক সময় মাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। সেতারা বেগম টের পাওয়ায় তিনি পাশের ঘরে চলে যান। সেখানে মেয়েকে হত্যার পর নিজে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

সকালে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত সেলিম আহম্মেদের মা সেতারা বেগম ও ছোট ভাই মাহমুদুল আলম সম্রাট বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ২ বছর আগে সেলিমের স্ত্রী মেয়েকে রেখে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে চলে যান। এ ঘটনার পর সেলিম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। গত দুদিন ধরে সেলিম সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষোভে-দুঃখে তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন।

Tuesday, September 27, 2016

সিরাজগঞ্জে ২৭ মাদকসেবীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জে মাদকপল্লীখ্যাত মাহমুদপুর ও রেলওয়ে কলোনিতে বিশেষ অভিযানে ২৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় শহরের মাহমুদপুর ও রেলওয়ে কলোনির আট মাদক স্পটে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শামীমুর রহমান এ কারাদন্ডাদেশ দেন।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারেক, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিম, রায়হান, এএসআই রওশানুল খবির, আনিছুর রহমান প্রমুখ।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রেলওয়ে কলোনির দুলাল শেখের ছেলে সেলিম (৩০), বেল্লাল শেখের ছেলে তাহের (৪০), তোরাব আলীর ছেলে সোহেল (২৫), সোনা উল্লাহর ছেলে সাত্তার (৪০), মতি শেখের ছেলে জালাল (৩০), মাছুমপুর মহল্লার বুলু শেখের ছেলে সাকমান (৩২), মনসুর আলীর ছেলে জনি (২৮), রহিম উদ্দিনের ছেলে লাল চাঁদ (১৮), একডালা মহল্লার মন্টু শেখের ছেলে টিটু (৪০), শাহ আলমের ছেলে শামীম (২৭), রায়পুর মহল্লার মানিক হোসেনের ছেলে আসলাম (৫০), শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডিদাসগাতী মিন্নত আলীর ছেলে শফিকুল (৪০), জিন্নত আলীর ছেলে সুমন (৩০), হোসেনপুর মহল্লার পিতলের ছেলে ইদুল (৩০), টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতির কুদ্দিনের ছেলে মান্নান শেখ (৪৫), ভুয়াপুর থানার মাটিকাটা এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল (৩০), শহিদগঞ্জ মহল্লার জহুরুল হোসেনের ছেলে আমিনুল (৩২), মিরপুর মহল্লার জব্বার শেখের ছেলে মিঠু (৫০), আকবর হোসেনের ছেলে শাহাদৎ (৪০), খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের তালেবের ছেলে আসলামসহ (৪০) মোট ২৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের মাহমুদপুর ও রেলওয়ে কলোনি মহল্লায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে ২৭ জনকে আটক করে পুলিশ। মাদকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাদকপল্লীগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Monday, September 26, 2016

সিরাজগঞ্জে ‘পাগলী’ ভিক্ষুকের বস্তাভর্তি টাকা


চৌহালী,সিরাজগঞ্জঃ
ময়লা জড়ানো বস্তা নিয়েই তিনি ঘুরতেন। পছন্দ হলে হাত পাততেন। অনেকেই খুশি মনে দিতেন কয়েন বা দুই থেকে এক শ টাকার নোট। ছোট-ছোট থলে করে মোচড়িয়ে তিনি চিনির একটি বস্তা ভরে জমিয়েছিলেন এসব টাকা। যেখানে যেতেন সেখানেই বস্তাটি কাঁধে করে ঘুরতেন। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর হাটে এই অপরিচিত পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব বয়সী পাগলী ভিক্ষুকের বস্তা ভরা টাকা উদ্ধারের বিষয়টি এখন এলাকার আলোচ্য বিষয় হতে দাঁড়িয়েছে। থানায় ১০ জনের একটি দল তিন ঘণ্টা গুণে এ টাকার হিসেব কষেছেন ৩৮ হাজার ৬৮০ টাকা।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ জানায়, এনায়েতপুর হাটের আমতলা মোড়ের জোচনের চায়ের দোকানের কোনায় আবর্জনা মাখা বস্তা নিয়ে প্রায়ই অবস্থান করতো সাদা টাউজার ও গায়ে জামপার্ট পরা কম্বল জড়ানো এক বৃদ্ধা পাগলী। চলাফেরা করতো এনায়েতপুর হাট ও কেজির মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায়। রবিবার বিকেলে হঠাৎ বস্তাটি জোচনের চায়ের দোকানের কোনায় রেখে বের হলে কৌতুহলবশত মুঠি বাঁধা বস্তাটি আংশিক খুললে ভেতরে মোচড়ানে অনেক টাকা দেখতে পান কয়েকজন। মুহূর্তের মধ্যেই তা দেখতে কিছু লোকজন ভীড় করলে পাশে থাকা এনায়েতপুর থানার এসআই মেহেদী হাসান ছুটে এসে টাকার বস্তাটি স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধারের পর থানায় নেয়া হয়। এ খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে টাকার বস্তা দেখার জন্য থানা গেটে কয়েক শ মানুষ ভীড় জমায়।
এদিকে এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, টাকা উদ্ধারের পর থেকে ওই পাগলীকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছেনা। বর্তমানে টাকাগুলো জিডি করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মানসিক ওই বৃদ্ধা নারী বা তার কাছের কাউকে পেলে টাকাগুলো তুলে দেয়া হবে।

Wednesday, September 21, 2016

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য বায়োমেট্রিক।


পরীক্ষিৎ চৌধুরী তথ্য অফিসার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ঃ
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। হাসপাতালে অনুপস্থিতির কোনো অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ হাসপাতাল পরিচালক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকেও দায়ী করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করে চিকিৎসক ও নার্সদের শতভাগ সেবার উপর। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা দিতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। পাশাপাশি হাসপাতাল এলাকায় দালাল উৎখাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সকল পরিচালককে নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় মন্ত্রী সরকারি হাসপাতালের আশেপাশে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিট সেন্টার স্থাপন নিরুৎসাহিত করে নীতিমালা প্রণয়নেরও তাগিদ দেন।

হাসপাতালের ইউজার ফি বন্টন ও ব্যবহার সম্পর্কে আগামী এক মাসের মধ্যে একটি নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করতে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হারুন-উর-রশীদ খান-এর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দশ দিয়েছেন মন্ত্রী।

সভায় আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে হাসপাতালের বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ প্রসঙ্গেও আলোচনা করা হয়।

সভায় অন্যান্যের মাঝে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tuesday, September 20, 2016

সলঙ্গা থেকে বোমাসহ ৪ জেএমবি সদস্য আটক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থেকে বাবা ও ছেলেসহ ৪ জেএমবি সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।

সলঙ্গার এরান্দহ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের বাড়ি সংলগ্ন জামিয়াতুল কুর-আন ক্যাডেট মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক করার সময় মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন-সিরাজগঞ্জ জেলা জেএমবির শায়েক ও সলঙ্গা থানার নলকা ইউপির এরান্দহ বাজার এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৫৫), তার দুই ছেলে বোরহান উদ্দিন (২৮) ও ইমরান আলী (২৬) এবং জেলা জেএমবির ক্যাশিয়ার আবু বকর সিদ্দিক (৪৯)। আবু বকর কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল দক্ষিণপাড়ার মৃত ইছহাক উদ্দিনের ছেলে।

সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওহেদুজ্জামান বলেন, গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ৪ জেএমবি সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০টি ককটেল, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির উপকরণ ও বেশ কিছু জেহাদী বই উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সকলেই জেএমবির সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। জেএমবির সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ, জিহাদী বই বিতরণসহ সংগঠনের কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য ওই বৈঠকে মিলিত হয়েছিল তারা।

এদিকে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, এরা দীর্ঘদিন ধরেই সিরাজগঞ্জ জেলা সদর এবং বিভিন্ন উপজেলায় গোপন বৈঠকের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সিরাজগঞ্জে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগ দিলেন কামরুন নাহার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার ইতিহাসে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছেন বেগম কামরুন নাহার সিদ্দীকা।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের জন্য তিনি সিরাজগঞ্জে সার্কিট হাউসে আসেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান (সার্বিক) ও মো. শামীম আলম (রাজস্ব) সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
মঙ্গলবারে তিনি বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেনের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
নবাগত জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা। সিরাজগঞ্জে যোগদানের আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এদিকে, সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোঃ বিল্লাল হোসেন তিন বছর তিন মাস ৭ দিন দায়িত্ব পালন শেষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদে পদায়ন পেয়েছেন।

Monday, September 19, 2016

সিরাজগঞ্জে হার্ড পয়েন্টকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবী

সিরাজগঞ্জের মানুষের কোন বিনোদনের জায়গা নেই । উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু ও যমুনা নদীর তীর ঘেষে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠার সম্ভাবনা থাকলেও দীর্ঘ দেড় যুগেও গড়ে ওঠেনি পর্যটন শিল্প। কুয়াকাটার পর এবার সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে দেখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য। প্রকৃতির এমন দৃশ্য দেখতে এখন হাজার হাজার মানুষ ভীড় করছে হার্ড পয়েন্টে। বিশেষ করে ঈদকে ঘিরে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট এখন হাজার হাজার মানুষের ভীরে মুখরিত। সচেতন সিরাজগঞ্জবাসী বলছেন সারা দেশের সাথে সিরাজগঞ্জের রেলপথ ও সড়ক পথের পাশাপাশি নৌপথ সৃষ্টি করে পর্যটন এলাকা গড়ে তুললে একদিকে যেমন জেলার গুরুত্ব আরও বাড়বে তেমনি অর্থনীতির চাকা ঘুরবে। তবে সংশ্লিষ্ট জানিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জেলায় পর্যটন কেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনা করে যমুনার কোল ঘেষে সিরাজগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রক্রিয়া চলছে। এবং সিরাজগঞ্জে খুব তাড়াতাড়ি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সুত্রে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পাশাপাশি সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনা নদীর কড়াল গ্রাস ও ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় শহরের কোল ঘেষে নির্মাণ করা হয় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটি নিমার্ণে প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকা ব্যয় হয়। ১৯৯৫ সালে শুরু হওয়া বাঁধটি ২০০১ সালে শেষ হয়। বাঁধটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে মানুষের বিনোদনের দ্বার উন্মোচিত হয়। বাঁধের হার্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য বিনোদন পিপাসুদের বেশী আকৃষ্ট করে। এছাড়াও বন্যার সময় চারিদিকে শুধু পানি আর পানি, পানির উপর দিয়ে বয়ে আসা নির্মল বাতাস এবং শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা বড় বড় চর এবং চরের চিক্ চিক্ বালি মানুষের বিনোদনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। নদীর বুকে ছুটে চলা নৌকা, যমুনা নদীর সুবিস্তৃত জলরাশিঁ দেখে চোখ মন জুড়িয়ে নিচ্ছেন ভ্রমন পিপাসু মানুষ । কেও কেও ভাড়া নৌকায় নদীর বুকে জেগে উঠা চরে ভ্রমন করছেন । বিশেষ করে বিভিন্ন উৎসবে তরুন-তরুনী থেকে শিশু-কিশোর এমনকি প্রবীণরাও এখানে মেতে উঠছেন আনন্দে । ফলে জায়গাটি প্রথম দিকে শুধু সিরাজগঞ্জ বাসীর নজর কারলেও পরবর্তীতে দেশ-বিদেশের মানুষও চিত্ত বিনোদনের জায়গা হিসেবে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধকে বেছে নেয়। সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন বয়সী ও শ্রেনী পেশার মানুষ এখন সরকারি ছুটির দিন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব ও দিবসেও বিনোদনের স্থান হিসেবে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ বেছে নিয়েছেন। যার কারনে দেশ-বিদেশের হাজারও মানুষের আগমনে যমুনা নদীরতীর হার্ড পয়েন্ট সব সময় থাকছে সরগরম। শত শত মানুষের আগমন ঘটায় এখানে বিভিন্ন ধরনের দোকান সাজিয়ে বসেছেন এলাকাবাসী ।এতে করে তাদেরও আয়ের পথ সৃষ্টি হয়েছে ।আর বিভিন্ন মানুষের আগমন ঘটায় স্থানীয় এলাকাবাসীও এ জন্য গর্ববোধ করে থাকেন। যার কারনে দীর্ঘদিন থেকে সিরাজগঞ্জ বাসী বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গাইড বাঁধ থেকে হার্ড পয়েন্ট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার দাবী জানিয়ে আসছেন। শুধু সাধারণ মানুষের কাছেই নয়, স্থানটি সরকারেরও নজরে আসায় এবং পর্যটন এলাকা হিসেবে গুরুত্ব বহন করায় সম্প্রতি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাসেদ খান মেনন সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে সফরে এলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে সিরাজগঞ্জ বাসীর দীর্ঘ দিনের দাবীর কথা তুলে ধরলে মন্ত্রী দাবী পূরণের ঘোষণা দেন কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন উদ্যেগ গ্রহন করা হয়নি। চানাচুর ও আচার বিক্রেতা মোঃ আব্দুল আলীম বলেন, বাধেঁর পাশে বসবাস করি। প্রতিদিন এখানে বহুলোক আসে। তাদেও দেখে বুক ভরে যায়। তারা আসে বলেই আমারা বেচাবিক্রি করে সংসার চালাই। যমুনার তীরই আমাদের জীবন জীবীকার প্রধান উৎস। জেলার তাড়াশ থেকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে হার্ডপয়েন্ট এলাকায় বেড়াতে এসেছেন কলেজ শিক্ষক মুক্তার হোসেন তিনি বলেন, জেলার কোথাও বিনোদনের তেমন জায়গা নেই । হার্ডপয়েন্ট এলাকাটি সিরাজগঞ্জ বাসীর বেড়ানোর বিনোদনের অন্যতম স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে। সুযোগ পেলেই এখানে চলে আসি । পরিকল্পনা করে জায়গাটিকে বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবী জানান তিনি। সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির অন্যতম সদস্য নব কুমার কর্মকার বলেন, জেলার মানুষের বিনোদনের কোন জায়গা নেই । তাই সিরাজগঞ্জের মানুষের বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে হার্ডপয়েন্টকে বেছে নিয়েছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে বেড়াতে আসছেন । এখানে প্রচুর জায়গা রয়েছে । রয়েছে দীর্ঘ যমুনা নদীর তীর । বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে এখানে । বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাসেদ খান মেনন সমপ্রতি সিরাজগঞ্জ সফরে এলে সিরাজগঞ্জ বাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে এই এলাকাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। যমুনা নদীর তীরকে সরকারীভাবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে মানুষের বিনোদনের অভাব পুরণ হওয়ার পাশাপশি সরকার এ থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। জেলা প্রশাসক মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু সেতু স্থাপনের মধ্য দিয়ে জেলায় পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকাকারের পক্ষ থেকে কাজীপুরের মেঘাই থেকে সিরাজগঞ্জের হার্ডপয়েন্ট পর্যন্ত এলাকা ইতিমধ্যেই পর্যটন এলাকা গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে। যা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে তিনি মনে করছেন।

Sunday, September 18, 2016

চৌহালীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদীতে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে ঢাকাস্থ চৌহালী উপজেলা কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

মিটুয়ানী পাকা ব্রিজের বটতলার কাছ থেকে পাথরাইল পর্যন্ত নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাকাস্থ চৌহালী উপজেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম।

ঈদের আনন্দের সঙ্গে নৌকাবাইচ উপভোগ করতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে জড়ো হন হাজারো মানুষ। অনেকে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরে নৌকাবাইচ উপভোগ করেন।

নৌকাবাইচে দুটি করে মোট ২২টি নৌকা অংশ নেয়। বিজয়ী ১১টি নৌকার মধ্যে তিনটিকে ফ্রিজ ও আটটিকে একটি করে ২১ ইঞ্চি রঙিন টিভি পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষাসচিব হুমায়ুন খালিদ, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নওজেস আলী মোল্লা, বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মণ্ডল, শিল্পপতি আব্দুল মতিন প্রধান, মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

© সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

জেলা ফুটবল দলের খেলোয়ার দিনার সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত

স্থানীয় প্রতিবেদক :  সিরাজগঞ্জ জেলা ফুটবল দলের খেলোয়ার তামিউল করিম দিনার (২৪) সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত।

গত শুক্রবার বিকালে উল্লাপাড়া কুচিয়ামার কলেজ মাঠে ফাইনাল খেলা শেষে সিরাজগঞ্জে বাড়ী ফেরার পথে সন্ধায় সলঙ্গা থানার দবিরগঞ্জ মহাসড়কে রাস্তা পাড়া পাড়ের সময় পিছন থেকে আসা একটি প্রাইভেট গাড়ীর সাথে ধাক্কা লাগলে তার বাম পা ভেঙ্গে যায়।

স্থানীয়রা সাথে সাথে সিরাজগঞ্জ রোড় সাখাওয়াত এইস মেমরিয়াল হসপিটালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে রাতেই সিরাজগঞ্জ প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদোষীরা জানা শুক্রবার বিকালে উল্লাপাড়া
কয়রা একাদশের হয়ে খেলে কুচিয়ামারা কলেজ মাঠে ফাইনাল খেলায় দিনার গোল করে নিজ দল কে চ্যাম্পিয়ন করে আনন্দের সাথে বাড়ী ফেরার সময় সন্ধায় দবিরগঞ্জ মহাসড়কে রাস্তা পাড়া পাড়ের সময় বেপরোয়া প্রাইভেট গাড়ীর চালক পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায় আমরা বুঝতে পেয়ে কাছে গিয়ে ক্ষত স্থানে পানি ঢেলে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে শুনি তার বাম পা ভেঙ্গে গেছে।
প্রাইম হাসপাতালের কতব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জনানা বাম পায়ের হাটুর নিচে হাড় ভেঙ্গে গেলে । আমরা চিকিৎসকগণ দিনারের অস্ত্রপাচার সফল ভাবে সম্পূর্ন করি। তবে এখন থেকে তাকে এক মাস বিশ্রামে থাকতে হবে। তার পরে আস্তে আস্তে মাঠে খেলতে পারবে।
তামিরুল ইসলাম দিনার মাছুমপুর ক্রীড়া চক্রের একজন  নিয়মিত খেলোয়ার। দিনার দ্রুত সুস্থ হয়ে যেন আবার মাঠে ফিরে আসতে পারে সে জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল উপ কমিটির সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান হিলটন ও মাছুমপুর ক্রীড়া চক্রের সকল কর্মকর্তাগণ সিরাজগঞ্জ জেলাবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছে।

Thursday, September 8, 2016

হতদরিদ্রদের জন্য দরিদ্রবান্ধব খাদ্য কর্মসূচীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতীয়ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকালে সরকারের উল্লেখযোগ্য দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচি হতদরিদ্রের মাঝে নির্ধারিত মূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার থানার হাট এ.ইউ. উচ্চবিদ্যালয় মাঠে কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় ১৫ জন জনগণের মাঝে ফেয়ারপ্রাইস কার্ড এবং ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করে এই কর্মসূচির সূচনা করেন।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেয়ারপ্রাইস কার্ডের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জন্য সারাদেশে এই নামমাত্র মূল্যের চাল বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
খাদ্য মন্ত্রনালয় এবং কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সরকার বীরবীক্রম ।
স্বাগত বক্তৃতা রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এএম বদরুদ্দোজা।
এই কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র জনগণ কার্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ১০ টাকা নির্ধারিত মূল্যে চাল পাবে।
বছরের যে সব সময়ে ক্ষেতখামারে কাজ থাকেনা এমন ৫ মাস যথাক্রমে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, মার্চ ও এপ্রিল, সরকারের এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলবে। প্রায় ৫০ লাখ জনগণ এই কর্মসূচির সুবিধাভোগী হবেন।
হতদরিদ্র ছাড়াও প্রতিবন্ধী বিধবা এবং স্বামী পরিত্যক্তারাও এর সুবিধাভোগী হবেন।
এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে চলতি অর্থবছরে ২ হাজার ১শ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পংকজ দেবনাথ এমপি, রুহুল আমিন এমপি, এটিএম মাইদুল ইসলাম এমিপি, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারন সম্পাদক এম জাফর আলম, চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুস কুদ্দুস সরকার।
ছবিঃ ফোকাস বাংলা

Tuesday, September 6, 2016

‘প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’ ৯ হাজার ৪৮৪ জন নার্স নিয়োগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিদিনঃ শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৯ হাজার ৪৮৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের ঘটনাকে দেশের জনগণ ও বেকার নার্সদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
সোমবার সচিবালয়ে নার্স নিয়োগ ও চিকিৎসকদের পদোন্নতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের পথে দীর্ঘদিনের অন্তরায় নার্স সংকট সমাধানের পথ উন্মোচিত হয়েছে এই নিয়োগের মাধ্যমে। দ্রুত সারাদেশের হাসপাতালে তাদের পদায়ন করে জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা নিশ্চিত করার পথে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে সরকার।
৫০০ জন চিকিৎসককে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদেরকে দেশের ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে পদায়ন করা হবে। তাদেরকে কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি হাসপাতালেও চিকিৎসা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অন্যথায় কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হবে।

সিরাজগঞ্জে জেএমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের মা-দুই মেয়েসহ ৪ নারী সদস্য আটক

সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থেকে জেমমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের মা ও দুই মেয়েসহ ৪ নারী সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ভোররাতে কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউপির পশ্চিমবড়ইতলা এলাকার চিহ্নিত জেএমবির উচ্চ পর্যায়ের নেতা ফরিদুলের বাড়ীতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি কম্পিউটার ও কিছু সংখ্যক জিহাদী বই উদ্ধারা করা হয়। আটককৃতরা হলো- বড়ইতলা গ্রামের আবু সাঈদের স্ত্রী ফুলেরা খাতুন (৪৫), তার মেয়ে সালমা খাতুন (১৬), সাকিলা খাতুন (১৮) ও একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন ( ৩৫)।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান জানান, জেএমবি নেতা ফরিদুলের বাড়ীতে কতিপয় মহিলা সদস্য নাশকতামুলক কার্যকলাপ করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। এসময় জিহাদী বই ও একটি কম্পিউটারসহ ৪জনকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তাদের কর্মপন্থা ঠিক করার জন্য বৈঠকে বসেছিল। এবং মহিলা জেএমবি সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রাখাসহ জিহাদের উদ্দেশ্যে হিজরতে যাওয়ার জন্য তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল। তারা আরও জানিয়েছে, সংগঠনের হাইকমান্ডের নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ফিদায়ী হামলা অর্থ্যাৎ আত্মঘাতী হামলার উদ্দেশ্যে প্রস্তুত ছিল। কাফির, মুসরিক, মুরতাদ ও ইসলামের শত্রুদের হত্যা করে জান্নাতবাসী হতো।