সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Saturday, December 31, 2016

অতীতে যারা রাজনীতির নামে লুটপাট করেছে তাদের জনগনই আস্তাকুরে নিক্ষেপ করেছে - মোহাম্মদ নাসিম

কাজীপুর প্রতিনিধিঃ
সুখে দুঃখে বাংলার জনগণের সাথে বর্তমান সরকার আছে উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন- আওয়ামীলীগ জনগনের সরকার । প্রাকৃতিক যে কোন দূর্যোগের সময় বর্তমান সরকার জনগনের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে । অতীতে যারা রাজনীতির নামে লুটপাট করেছে তাদের জনগনই আস্তাকুরে নিক্ষেপ করেছে । নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রমান হয়েছে এদেশের জনগন উন্নয়নের পক্ষে আছে । সন্ত্রাস ঘুষ দুর্নীতি লুটপাটের রাজনীতি প্রত্যাখান করেছে । কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের শীতার্ত মানুষের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় কম্বল বিতরনকলে তিনি এসব কথা বলেছেন। এর আগে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আলমপুর রাস্তার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন এবং আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী মর্তুজ তালুকদারের কবর জিয়ারত করেন । কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল বিতরণ কালে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আবু ইউসুফ সুর্য্য, আব্দুস সামাদ তালুকদার, আব্দুল বারী শেখ,দানিউল হক দানী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত হোসেন সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান টিএম আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন ।

Wednesday, December 14, 2016

সিরাজগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
১৪ ডিসেম্বর ভোরে শহরের ওয়াপদা অফিসে পাকবাহিনীর মূল ক্যাম্প দখলে নেন মুক্তিযোদ্ধারা। ওইদিন কওমী জুটমিল, মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে উড়িয়ে দেয়া হয় জাতীয় পতাকা। সম্পূর্ণরুপে পাকহানাদার মুক্ত হয় সিরাজগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ মুক্ত হবার পর মহুকুমা প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইসমাইল হোসেনকে (বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী) এবং মুক্তিযুদ্ধে সিরাজগঞ্জে সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় মরহুম আমির হোসেন ভুলুকে।
৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকহানাদার বাহিনী সিরাজগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প স্থাপন করেই নানা রকম নির্যাতন, জুলুম, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে সমগ্র শহর। নিষ্ঠুর ও জঘন্য পৈশাচিকতা ছড়িয়ে পড়ে শহরতলীসহ গ্রামীণ জনপদেও।
১৭ জুন’৭১ সিরাজগঞ্জের বেসরকারি সাবসেক্টর পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের নেতৃত্বে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাটে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এর পর থেকে বাঘাবাড়ি, নওগাঁ, বরইতলী, বাগবাটি, ঘাটিনার ব্রিজ, ছোনগাছা, ভাটপিয়ারী, শৈলাবাড়ী, ব্রহ্মগাছা, ঝাঐলসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। নিহত হয় সহস্রাধিক পাক হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর এবং আলশাম্স বাহিনী।
গাজী জহরুল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ সরকার পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ৭১’র ৯ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ শহরকে হানাদারমুক্ত করার লক্ষ্যে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথমেই সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের শৈলাবাড়ী পাক বাহিনীর ক্যাম্প দখলের চেষ্টা করেন তারা। প্রচণ্ড যুদ্ধে ওইদিন শহীদ হন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ। পাকবাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্রের সাথে টিকে থাকতে না পেরে পিছু হটেন মুক্তিযোদ্ধারা। ক্লান্ত মুক্তিযোদ্ধারা, ১০ ডিসেম্বর বিশ্রাম নেন তারা। ১১ ও ১২ ডিসেম্বর দফায় দফায় আক্রমণ চালিয়ে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ১৩ ডিসেম্বর থেকেই হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সিরাজগঞ্জ শহরকে হানাদার মুক্ত করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তিনদিক থেকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মোজাম্মেল হক ও ইসহাক আলীর নেতৃত্বে পূর্ব দিক থেকে, সোহরাব আলী ও লুৎফর রহমান দুদুর নেতৃত্বে পশ্চিম দিক থেকে, আমির হোসেন ভুলু ও জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে উত্তর দিক থেকে আক্রমণ করে। এছাড়াও দক্ষিণ দিক থেকে ইসমাইল হোসেন ও আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ ব্যুহ গড়ে তোলেন। ওইদিন রাত তিনটা পর্যন্ত প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা কায়দায় সাঁড়াশি আক্রমণে টিকতে না পেরে পাক হানাদার বাহিনী ট্রেনযোগে ঈশ্বরদীর দিকে পালিয়ে যায়।
সিরাজগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী শফিকুল ইসলাম শফি জানান, ৯, ১১, ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর চারদিনব্যাপী যুদ্ধ চলে। এ যুদ্ধে শহীদ হন ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবিব কালু, সুলতান মাহমুদসহ ৬জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগ পৃথক পৃথক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

Tuesday, December 13, 2016

সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ এসপিএল টি-২০’র প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার এ্যাসেসিয়েশন আয়োজিত সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ এসপিএল টি-২০’র প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স। মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় সিরাজগঞ্জ সুপার কিংস কে ৫১ রানে হারিয়েছে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স। এর আগে সকালে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার্স অধিনায়ক মিলন। ইনিংস এর শুরুতেই ব্যাটিং বির্পজয়ে পরে দলটি।
দলীয় ১২ রানের মাথায় ৭ রান আউট হয়ে সাজ ঘড়ে ফিরে যায় দলীয় অধিনায়ক মিলন। ২০ রানের মাথায় মেহেদী আউট হয়ে গেলে খেলতে নামে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির হোসেন। জাতীয় দলের ২ খেলোয়ার মোহাম্মদ আশরাফুল এবং নাসির হোসেন ঠান্ডা মাথায় খেলে ফলে কিছুটা ব্যাটিং বির্পজয় কাটিয়ে উঠে দলটি। ৪৪ বলে ৩২ রান করে মাঠ ছারে নাসির হোসেন ততক্ষনে দলীয় রান ৭৯। এর পরে রকির ঝড়ো ব্যাটিং এ ৮ বলে ২২ রান করায় দলের রান কিছুটা গতি পায়।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩২রান করে। জবাবে ১৩৩ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নামে সুপার কিংস । শুরুটা ভালো হল্ওে দলীয় ২৩ রানের সময় দলীয় অধিনায়ক শাকিল হায়দার ১২ রান করে আউট হয়ে যায়। এর পরে তেীাহদুল ইসলাম ১ রান এবং সোহাগ গাজী ১ রান করে আউট হয়ে গেলে আর লড়াই এ ফিরতে পারেনি সুপার কিংস। ১৭ ওভার ১ বল খেলে ১০ উইকেটে ৮১ রানে অল আউট হয়ে যায় সুপার কিংস। ফলে ৫১ রানে সিরোপা অর্জন করলো টাইগার্স। টুর্নামেন্টে প্রথম ১০ উইকেটের পতন হলো সেই সর্বনি¤œ দলীয় রান হলো ৮১।
ফাইনাল খেলা দেখতে মাঠে হাজার হাজার দর্শকের সমাগম ঘটেছিলো। গ্যালারী এবং মাঠে পা রাখার যায়গা ছিলো না। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছিলো অতিরিক্ত পুলিশ। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ,জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক গাজী শফিকুল ইসলাম শফি,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী,মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল মতিন মুক্তা। ফাইনাল খেলায় ৪৩ রান এবং ৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুল। টুর্নামেন্টের ফেয়ার প্লের পুরস্কার পেয়েছে সিরাজগঞ্জ স্টার দল।
সেরা ব্যাটস ম্যান হয়েছে সিরাজগঞ্জ টাইগার্সের মোহাম্মদ আশরাফুল,সেরা বোলার সিরাজগঞ্জ লায়ন্সের পারভেজ,উদীয়মান তরুন খেলোয়ারের পুরস্কার পেয়েছে সুপার কিংসের মিল্টন। টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার পেয়েছে সিরাজগঞ্জ স্টারের অধিনায়ক মনিরুজ্জামান লিটন। ফাইনাল খেলায় দর্শকদের বিনোদন দেবার জন্য ছিলো সাদাত মোস্তফার নেতৃত্বে টিম র্যাকলেসের সাইকেল স্ট্যান্ট শো এবং ডিজে এলিনের পাশাপাশি বিপিএল এর অফিয়াল ডিজে জকি ডিজে পরীর ডিজে শো। উপস্থিত দর্শক একটি জাতীয় মানের খেলা উপভোগ করেছে।

Sunday, December 11, 2016

রেলমন্ত্রীর স্ত্রী’র জন্য এক ট্রাক মিষ্টি পাঠাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম

সালমান হক শিবলীঃ
রেল মন্ত্রী মুজিবুল হকের স্ত্রী’র জন্য এক ট্রাক মিষ্টি পাঠাবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ভারত থেকে আমদানি করা নতুন কোচ দিয়ে ঢাকা-সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটে ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের মিষ্টির দাবির প্রেক্ষিতে মোহাম্মদ নাসিম একথা বলেছেন।
রেলমন্ত্রী তার বক্তৃতায় সিরাজগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামসহ মঞ্চে উপবিষ্ট সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “২০১৩ সালে সিরাজগঞ্জের জন্য ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালু করেছি, আজ সেটিতে নতুন বগি যোগ হলো। যমুনা রেলসেতু নির্মিত হচ্ছে, সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত রেল লাইনও চালু হবে। সব কিছুই আপনাদের সিরাজগঞ্জের জনগণের সুবিধার জন্য হচ্ছে।” এ সময় তিনি রসিকতা করে সিরাজগঞ্জের মন্ত্রী-এমপিদের কাছে মিষ্টি দাবি করেন। জবাবে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোহাম্মদ নাসিম রেল মন্ত্রীর স্ত্রী’র জন্য এক ট্রাক মিষ্টি পাঠানোর ঘোষণা দেন।
রেলমন্ত্রীর উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিয়ে করার পর অনেকেই আপনাকে ফুল দিয়েছে, আমি কিছুই দিতে পারিনি।আপনি আমাদের কাছে মিষ্টি চেয়েছেন।কত মিষ্টি চাই আপনার? সিরাজগঞ্জে যত মিষ্টি আছে, আপনার বধুর জন্য এক ট্রাক মিষ্টি পাঠাবো ইনশাআল্লাহ। এই মিষ্টি (স্থানীয় তিন এমপি) মুন্না, মিলন ও তানভির ইমাম পাঠাবে।’ মঞ্চে এ সময় সিরাজগঞ্জ-২ সদর আসনের এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের এমপি গাজী আমজাদ হোসেন মিলন ও সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের এমপি তানভীর ইমাম উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে অনুষ্ঠানে হাস্যরস সৃষ্টি হয়। সবাই করতালি দিয়ে তার এই বক্তব্যকে সমর্থন জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় রেলমন্ত্রী হিসেবে মুজিবুল হকের যোগ্যতা ও সততারও প্রশংসা করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম, রেলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক কাজী রফিকুল ইসলাম, রেল শ্রমিক লীগ সভাপতি হুমায়ন কবির বক্তব্য রাখেন।

Saturday, December 10, 2016

সিরাজগঞ্জ লায়ন্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে শুরু হয়েছে এসপিএল (সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উন্মাদনা।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এসপিএল টি-টোয়েন্টির সেমিফাইনালে সিরাজগঞ্জ লায়ন্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স।
টসে জিতে ব্যাট করতে নামা সিরাজগঞ্জ লায়ন্স ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে মারুফ ৫৬ বলে ৪৬ রান করলেও বাকিদের মধ্যে অধিনায়ক জিয়া (১০) ছাড়া আর কেউ ২ অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।
সিরাজগঞ্জ টাইগার্সের পক্ষে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল, এনামুল হক বিজয় ও মিলন দু’টি করে উইকেট লাভ করেন।
১০৩ রানে জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও মিলন। প্রথম উইকেট জুটিতে তারা করেন ২৬ রান। ৯ রান করে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাইকলাইন সজীবের বলে আউট হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে উইকেট পড়তে থাকে। তবে, রানের চাকাও চলে সমান তালে। ১৭.৩ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে জয়লাভ করেন টাইগার্স দল।
এনামুল হক বিজয় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ বলে ২১ রান করে করেন। শেষ মুহূর্তে মারমুখী ব্যাটিং করে সিরাজগঞ্জ টাইগার্সের বিজয় নিশ্চিত করেন রকি। লায়ন্সের পক্ষে সাকলাইন সজীব ও এসআর শুভ দু’টি করে উইকেট লাভ করেন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) ফাইনালে সকাল ১০টায় শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে সিরাজগঞ্জ সুপার কিংসের বিরুদ্ধে লড়বে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স।

Friday, December 9, 2016

এস.পি.এল টি২০ সেমিফাইনাল সিরাজগঞ্জ টাইগার্স বনাম সিরাজগঞ্জ লায়ন্স

সালমান হক শিবলীঃ
বিগগেম SPL-T20 সেমিফাইনাল,১০ই ডিসেম্বর ২০১৬ সিরাজঞ্জ ক্রিকেটার্ এ্যাসেসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ এসপিএল টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট । আগামী কাল সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত খেলায় অংশ গ্রহন করবে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স বনাম সিরাজগঞ্জ লায়ন্স ,হবে বাঘ আর সিংহের লড়াই। সেমিফাইনাল খেলাটি শুরু হবে দুপুর ১২.৩০ মিনিটে। টাইগার্স থেকে খেলবে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ও জাতীয় দলের ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয় এবং সিরাজগঞ্জ লায়ন্সে খেলবে জাতিয় দলের ক্রিকটার শামসুর রহমান শুভ এবং সাকলাইন সজিব। মাঠে ধারা বর্ননা করবেন ক্রীড়া ভাস্বকর এলিস বচ্চন।

Thursday, December 8, 2016

সিরাজগঞ্জ টাইর্গার্স কে হারিয়েছে জয়ের রথ থামিয়ে দিলো সিরাজগঞ্জ সুপার কিংস্।

এলিস বচ্চনঃ
সিরাজগঞ্জ ক্রিকেট এ্যাসেসিয়েশন আয়োজিত সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ এসপিএল টি-২০’র বুধবারের গুরুত্বপুর্ন ম্যাচে সিরাজগঞ্জ টাইর্গার্স কে হারিয়েছে সিরাজগঞ্জ সুপার কিংস। এই হারের মধ্যে দিয়ে থামলো টাইগার্সের জয়ের রথ। আর টানা জয় পেলো সিরাজগঞ্জ সুপার কিংস। গ্রুপ পর্বের ৪ টি খেলায় জয় লাভ করেছে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স এবং সিরাজগঞ্জ সুপার কিংস। ফলে ২ দলের পয়েন্ট সমান হলে চলছে রানরেটের হিসাব নিকাশ। এই দুই দলের মধ্যে একদল সরাসরি ফাইনাল খেলবে আরেক দল খেলবে সেমিফাইনাল। দুপুরে টসে জিতে সুপার কিংসের অধিনায়ক শাকিল হায়দার ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে সুপার কিং টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দলীয় রান করে ১৬২। এর মধ্যে সোহাগ গাজী এবং তৌহিদুল ইসলাম কয়েকটা বড় ছক্কা হাকিয়েছেন। জবাবে টাইগার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৮ রান করে। ১৪রানে পরাজিত হয়। সিরাজগঞ্জ টাইগার্সের পক্ষে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ৭০ রানের একটি বিশাল ইনিংস উপহার দেন। উভায় দলে জাতীয় দলের সাবেক ৩ ক্রিকেটার খেলেন। লীগ পর্যায়ের শেষ দিকে মাঠে ব্যাপক দর্শক সমাগম হচ্ছে। এই ম্যাচটি ছিলো দারুন উপভোগ্য। টি -২০ ফরমেটে এই ম্যাচটিতে উভায়দলের ব্যাটসম্যানরা ৪এবং ৬ এর বিশাল বিশাল শট খেলেছেন।দর্শক সমাগম এত যে মাঠে নিরাপত্তাদিতে হীমশিম খাচ্ছে কমিটি। ৪, ৬ এবং উইকেট পতনের সাথে সাথে ডিজের মিউজিক আর পটকা ও আতশবাজি ফুটানো। পাশাপাশি দর্শকের উল্লাস। তবে খেলার শেস দিকে এসে মাঠ একদম নিরব হয়ে গিয়েছিলো। অবশেষে ২০ ওভারের শেষ ২ বলে ২টি উইকেট পতনে শেষ হাসি হাসলো সুপার কিংস। আজকের খেলায় অংশ গ্রহন করবে সিরাজগঞ্জ লায়ন্স বনাম সিরাজগঞ্জ গ্লাডিয়েটর্স।
বনাম সিরাজগঞ্জ গ্লাডিয়েটর্স। গ্লাডিয়েটর্স ইতিমধ্যে ৪ খেলার মধ্যে ৩টি হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে। আপরদিকে ৪টির মধ্যে ২ টি জয়লাভ করায় সিরাজগঞ্জ লায়ন্সের কাছে আজকের ম্যাচটি অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন। আজকের ম্যাচ জিতলে লায়ন্স চলে যাবে সেমিফাইনালে। আজকে সিরাজগঞ্জ লায়ন্স থেকে খেলবে জাতীয় দলের সাবেক তারকা ক্রিকেটার সাকলাইন সজিব এবং এই মৌসুমে বিপিএল কাপানো ক্রিকেটার আবু জায়েদ রাহী। টুর্নামেন্ট পর্বের আজ শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তৃতীয় দল হিসেবে কে যাচ্ছে এসপিএলের সেমিতে। ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ টাইগার্স এবং সুপার কিংস। ১ম এবং ২য় দল হিসেবে পয়েন্ট তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

Thursday, December 1, 2016

সিরাজগঞ্জের ঝাঐল ওভারব্রিজ এলাকায় র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুক যুদ্ধে এক ডাকাত নিহত,আগ্নেয় অস্ত্র উদ্ধার


সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ঝাওইল ফুট ওভারব্রিজ এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে দুলাল নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন।

র‌্যাব-১২ এর সিরাজগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার হাসিবুল ইসলাম জানান বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের ঝাঐল ওভার ব্রিজ এলাকায় একদল ডাকাত বাসে ডাকাতির প্রস্তুতির নেওয়ার সময় বুধবার রাত ১০টার দিকে র‌্যাবের টহল গাড়ি সেখানে যায়,র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা র‌্যাব কে লক্ষ্য করে গুলিছুরে জবাবে র‌্যাবও গুলি চালায়। ১৫ মিনিট বন্দুকযদ্ধের পর অন্য ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় আহত হয়ে পড়ে থাকে বাহিনীর প্রধান দুলাল । পরে র‌্যাব ঘটনা স্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে। নিহত দুলাল জেলার বেলকুচি উপজেলার সমেশপুর গ্রামের আফজালের ছেলে। র‌্যাব ঘটনা স্থল থেকে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি টি বিদেশি পিস্তল,একটি সুটারগান,একটি রামদা এবং ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে কামারখন্দ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Tuesday, November 29, 2016

সিরাজগঞ্জ টাইগার্স টানা দ্বিতীয় জয়, সিরাজগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটর্স ৮ উইকেটে হারলো


এলিস বচ্চনের রিপোর্টঃ চতুর্থদিনেও এমন দৃশ্য দেখা গেল শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরিয়ান আশরাফুলকে দেখার জন্য সবশ্রেণীর দর্শক উপস্থিত হয়। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, পুলিশবাহিনীর এসআই মামুনের চৌকস নেতৃত্বে মাঠে সব দর্শককে মাঠে ঢুকতে দেননি। প্রথম দফায় সফল হলেও খেলার শেষদিকে স্টেডিয়ামের আশেপাশের কিছুসংখ্যক লোক নিজেদের এলাকা মনে করে প্রবেশ করলেও এসআই মামুন একটাও ছাড় দেননি। মাঠের বাইরে বা গ্যালারী উঠে যাওয়ার জন্য আদেশ দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় সেই আদেশ উপেক্ষা করে মাঠে একেবারে জনস্রোতে পরিণত হয়। সেকি দৃশ্য। একই সাথে মাঠে ডিজে পার্টি সারাক্ষণ প্রাণবন্ত পরিবেশ উজ্জীবিত পরিণত করতে সক্ষম হয়। তবুও এসপিএলের টানে স্থানীয় সোজা গ্যালারীতে উঠে যান। তবুও তো টুয়েন্টি টুয়েন্টির এই অভূতপূর্ব খেলা দেখতে অনেক দর্শকরা হাজির ছিলেন একমাত্র আশরাফুলের আর সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসিয়েশনের জন্য। সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের অনুমতিসাপেক্ষে এক্রিটেশন কার্ড বা অফিসিয়াল কার্ড ছাড়া কেউ মাঠে প্রবেশাধিকারের কোনো সুযোগ নেই। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথামাফিক নিয়ম। সেই প্রথার নিয়ম দর্শকরা মানতে নারাজ। তাদের দাবি স্টেডিয়ামটা আমাদের। আমরা স্টেডিয়াম এলাকার লোক। তাই সবার আগে মাঠে ঢোকার অধিকার পাই। কিন্তু কথা হলো, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব মাঠ হলো সরকারি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের। সেহেতু, পুলিশবাহিনীদের দখলে থাকে। ‘ঘরের লোকদের এখানে সেই প্রবেশাধিকার নাইÑবললেন এসআই মামুন। স্থানীয় লোকদের দাবি, ‘না এটা আমাদের মাঠ।’ এভাবে হলে তো এখানে আন্তর্জাতিক খেলার ভেন্যু কোনোদিনই স্বীকৃতি পাবে না। তার কারণ, স্থানীয় দর্শকদের এমন নেতিবাচক। মাঠে জায়গা নিয়ে বাদানুবাদ হয়। এটা ঘটছে তাদের নেতাগিরির ভাব দেখানো নিয়ে।
যাহোক, গতকাল মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটর্স সম্মাণজনক স্কোর গড়তে আবারো ব্যর্থ হলো। এর আগে সিরাজগঞ্জ নাইট রাইটার্স সর্বনিম্ন রান ১১০। গতকাল গ্ল্যাডিয়েটস করলো ১০৬  রান। এটাই টি২০’র সর্বনিম্ন স্কোর। ক্রিকেটের মান অনুযায়ী স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স উল্লেখযোগ্য নয়। প্রত্যাশা করার মতো এটা একেবারে বাজে। সোজা কথা, দর্শকরা গতকালকে খেলা দেখে তৃপ্তি খুঁজে পাননি। না ছিল সাসপেনসন। আর না ছিল নাটকীয়তা। নইলে এই নতুন ফর্মেটের পদ্ধতি অনেক খেলোয়াড়ের কাছে অজানা। একমাত্র একমাত্র আশরাফুলই ভালো জবাব দিয়ে গেছে। তার অভিজ্ঞতা অনেকের চেয়ে একদম আলাদা। মাঠের কন্ডিশন আর যাই হোক, ক্ষুদে সাকিব কিশোর বালক বয়সে এই টুয়েন্টিতে খেলার কথা না। কিন্তু হয়ে গেছে। তার কারণ, সাকিব তার স্বভাবগত অনুযায়ী ক্রিকেটের মেজাজটা বুঝে গেছেন। কিন্তু তার মতো অনেক কিশোর বালক সারা সিরাজগঞ্জে রয়েছে। কিন্তু ক’জন সুযোগ পায়? লটারির নাম উঠে সাকিবের নাম। আর বাকিরা আলোচনার বাইরে।
গতকালই দেখা গেলো দুপুরে। মুদ্রা নিক্ষেপের সময় টুর্নামেন্টের সদস্যসচিব মারুফ সিরাজী মাইক্রোফোন নিয়ে মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে গেলেন। দু’দলের ক্যাপ্টেন ডাকলেন। টস হলো। জয়ী হলো গ্ল্যাডিয়েটর্স। ক্যাপ্টেন সুনামের সঙ্গে মাইক্রোফোন করেন মারুফ সিরাজী। কিছু চুটকি কথাও বলেন। এরপরে টাইগার্সের মিলনও কথা বললেন। বেশ ইতিবাচক কথা সেরে নিলেন। আর কিছুক্ষণ পরেই টুর্নামেন্টের যুগ্মআহ্বায়ক জিয়াবাবু পিচের উপর রিপোর্টি করলেন। হাফ ইংরেজিতে হাফ বাংলায়। বেশ ভালো মনে হয়েছে। উপস্থাপনায় এরা যে পারেন সেটা কাউকে বলে দিতে হবে না। এই প্রথম তারা এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জের ক্রিকেটকে অনেক দূরে টেনে গেলেন তারা দুইজন। মারুফ ও জিয়াবাবুই প্রথম দৃষ্টান্ত দেখালেন। স্থানীয় দর্শকরা চেয়ে চেয়ে দেখলেন তাদের দুইজনের উপস্থাপনায় উপমার কথা শুনে। মারুফ ও জিয়াবাবুকে উইশ করলেন আয়োজকরা।
যথারীতি মাঠে নামেন দুই আম্পায়ার আশফাক উল আজিজ সুমন ও মুরাদুজ্জামান মুরাদ। টিয়া রঙের পোশাক। কালো প্যান্ট। সাদা বল। খেলোয়াড়দের রঙিন জামা। যেনো ভিন্ন পরিবেশ। আর সঙ্গে টিপটপ বাহারী রকমের দুটি কালো সাইটস্ক্রিণ। মাঠের দক্ষিণে ও উত্তরে দুটি বিগ ব্যাঙের ছাতা। মাঠের পশ্চিমে ডিজে পার্টির প্রচারণা। পরিচালনা করেন ডিজে এলিন। ছক্কা ও বাউন্ডারি হলেই বেজে ওঠে এ্যাট্রাকশন থিম ট্র্যাক। আর মাঠে অবস্থানরত সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সবুজ জামা পড়া আর গলায় ঝুলিয়ে রাখা অফিসিয়াল কার্ড। মাঠের পূর্বদিকে অস্থায়ী তাবুতে অফিসিয়ার স্কোর বোর্ড ও স্কোরার থাকছেন। দলীয় রানের হিসাব আর ক্যালকুলেটর রেকর্ড রাখছেন দুইজন। সাইদুল বারী রূপো ও স্কোর কার্ডে আশিক নাঈম। পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের জন্য ভিআইপি অস্থায়ী তাঁবু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে শুধুমাত্র দলের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও শুভাকাক্সক্ষীরা বসার অধিকার পাচ্ছেন। মাঠের দক্ষিণে ও উত্তরে এই দৃশ্যমান চোখে পড়বে।
আর মেইনগেইট লাগোয়া অস্থায়ী পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জন্য বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের বিশেষ সৌজন্যে।

দুপুর ১টা। গ্ল্যাডিয়েটর্সের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফিরোজÑপিয়াস জুটি নামেন। সেই শুরু। তারপর সবশেষে স্কোরবোর্ডে দেখা গেলÑএকদম নড়েবড়ে অবস্থা! রান অল্প। এই রান দেখে অনেকের ভালো লাগবে না। এমনকি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকও পর্যন্ত খুশি ননÑদলের এই রান দেখে! ‘৬ উইকেট, ১০৬ রান’। ১২০টি বল খেলে এই দশা করলো গ্ল্যাডিয়েটর্স। গ্ল্যাডিয়েটর্সের প্রতিটি পার্টনার ব্যাটসম্যানেরা প্রতিপক্ষ টাইগার্সের বোলারের তোপের কাছে কুপোকাত হয়ে গেছেন। ফলে বেশি রান ওঠেনি। পাশাপাশি টাইগার্সের ফিল্ডারদের অসামান্য দক্ষতায় গ্ল্যাডিয়েটর্সের রান আটকে দেন। সেটা সম্ভব হয়েছেÑঐ ৯৮ নাম্বার পিরহান পরিহিত আশরাফুলের একক বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ের ফল।
দিনের উল্লেখযোগ্য দিকটি ছিল অনেকদিন পর একটি স্বাস্থ্যসম্মত ইনিংসের খেলা উপহার দেন টাইগার্সের দলপতি ওপেনার মিলনের হাফসেঞ্চুরী। যিনি শুরু থেকেই উইকেটের চারপাশে পিটিয়ে খেলেন। এমন মহাকাব্যিক ইনিংসের খেলা মিলন যেনো একাই টেনে নিয়ে যান নিশ্চিন্তে..। ৫২টি বল মোকাবেলা করে ৫৯ রান। যথেষ্ট! তিনি উইকেটে যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত ৫টি বাউন্ডারী ও ৩টি ওভার বাউন্ডারী পিটিয়েছেন বোলারদের বল উড়িয়ে দিয়ে। ৩ ওভার অর্থাৎ ১৮ বল অব্যবহৃত ওভার রেখেই নির্ধারিত রানের দরজায় প্রবেশ করলো সিরাজগঞ্জ টাইগার্স। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলো টাইগার্স বাহিনীরা। ২ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে যুগ্মভাবে শীর্ষে আছে টাইগার্স ও সুপার কিংস্। কিন্তু বড়ই হতাশের খবর হলো, আশরাফুল বেশি রান করতে পারেননি। ২৯ মিনিট ক্রিজে ছিলেন। ব্যক্তিগত ১০ রানে এলবিডাবলিউ হয়ে যান গ্ল্যাডিয়েটর্সের ৪ নম্বর বোলার শ্যানের বলে। যেই আশরাফুল আউট হলেন, অমনি উপস্থিত ভিড় জমে যাওয়া দর্শক ফাঁকা হতে শুরু করে। মানে দর্শকরা বাড়ির পথ ধরেন। তারা এসেছিলেন আশরাফুলকে ব্যাটিংয়ের নজরকাড়া খেলা দেখতে। কিন্তু আশরাফুল ভক্তরা হতাশ হয়ে মাঠ ছেড়ে যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড :
সিরাজগঞ্জ গ্ল্যাডিয়েটর্স : ১০৬/৬, ২০ ওভার (ফিরোজ ১২, পিয়াস ২০, শ্যান ৩৮, সুনাম ৪, হাসান ১৯, শুভ ৫, আকাশ অপরাজিত ৫ ও রাব্বি অপরাজিত ০। ইমরান ৩/২৩, সাকিব ১৪/২, আশরাফুল ০/১৯, মিলন ০/২৩, মিম ০/২৭)
সিরাজগঞ্জ টাইগার্স : ১০৭/২, ১৭ ওভার (মিলন অপরাজিত ৫৯(৫২টি বল), মেহেদী অপরাজিত ১৯ (৪টি বাউন্ডারী), আশরাফুল ১০ (১৬টি বল, ১টি ছক্কা), মিলন ৭। শাহেনশাহ শুভ ১/১৫, শ্যান ১/২৫, ফিরোজ ০/১০, রাব্বি ০/১৬, রাজ্জাক ০/১৯, হাসান ০/২২)
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : দলপতি মিলন। ৫৯ রান ও ২৩ রানে ০ উইকেট।
গ্ল্যাডিয়েটর্স : সুনাম (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), হানি, শ্যান, হাসান, শাহেনশাহ শুভ, রাজ্জাক, আকাশ, পিয়াস, রাব্বি, আলহাজ্ব ও ফিরোজ। দ্বাদশ খেলোয়াড় মেহেদী।
টাইগার্স : মিলন (অধিনায়ক), মিলন (উইকেটকিপার), আশরাফুল, মিম, আলামিন, সাকিব, মেহেদী, সোহান, রাফুল, ইমরান ও রকি। দ্বাদশ খেলোয়াড় তৌহিদ।
আম্পায়ার : আশফাক উল আজিজ সুমন ও মুরাদুজ্জামান মুরাদ। স্কোরার : সাইদুল বারী রূপো। স্কোরবার্ড : নাঈম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় খেলবে সিরাজগঞ্জ সুপার কিংস্ বনাম সিরাজগঞ্জ নাইট রাইডার্স।

সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের আসন বৃদ্ধি ও সময়সূচি পরিবর্তন, ১৩’ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকর

অনলাইন ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস টেনের সময়সূচি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রনালয়। একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে রেলপথ মন্ত্রনালয় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি’র আসন সংখ্যা বৃদ্ধিসহ ঈশ্বরদি-সিরাজগঞ্জ-ঢাকা চলাচলের অপ্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করে সরাসরি সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচলের সিদ্ধান্তও ঘোষনা করেছে।
মঙ্গলবার জারিকৃত রেলপথ মন্ত্রনালয়ের প্রঙ্গাপন অনুযায়ি আগামী ১৩’ই ডিসেম্বর থেকে ভোর ছয়টা’য় সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন ত্যাগ কওে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন হয়ে সকাল ১০ টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌছবে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস। আবার বিকেল পাচটায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করে রাত ০৯’টা ১৫ মিনিটে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে পৌছবে নতুন ভারতীয় বিজি কোচের ১০৫৬ আসনের এই ট্রেনটি।
রেলপথ মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন স্বাক্ষরিত ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) রফিকুল ইসলাম প্রেরিত রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ৫৪.০১.২৬০০.০০৮.১৮.০১৪.১৫ নং স্মারকের প্রঙ্গাপনে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি গুরুত্বপূর্ন রেলওয়ে স্টেশন। ফেরী চলাচলের মাধ্যমে রেলওয়ে যোগাযোগ চালু থাকা কালে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন ছিল পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রবেশদ্বার। বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে ২৩ জুন ১৯৯৮ তারিখে ট্রেন চলাচল আরম্ভ হলে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন হয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়।
জেলা শহর সিরাজগঞ্জের সাথে রাজধানী ঢাকার রেলওয়ে যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও সিরাজগঞ্জে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত ২৭ জুন ২০১৩ সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়। এর মাধ্যমে আবারও রেলপথে সংযুক্ত হয় সিরাজগঞ্জ।
কিন্তু ঢাকা অথবা সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে বিজি ওয়াশপিট না থাকায় ঈশ্বরদীতে পিট এটেনশনের জন্য ঢাকা-সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন এর পরিবর্তে ঢাকা-জামতৈল-সিরাজগঞ্জ বাজার-জামতৈল-ঈশ্বরদী রুটে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চলাচল করতে থাকে।
রেলপথ মন্ত্রনালয়ের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ি সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ০৭’টা ৪৫ মিনিটে ঈশ্বরদী স্টেশন ত্যাগ করে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে পৌছে বেলা ০৯’টা ৫০ মিনিটে। বেলা ১০’টা ৪০ মিনিটে এই স্টেশন ত্যাগ করে দুপুর ০৩’টা ১০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌছে। বিকেল ০৫’টায় ঐ স্টেশন ত্যাগ করে রাত ০৯’টা ২৫ মিনিটে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে যাত্রি নামিয়ে ঈশ্বরদী পৌঁছে রাত ১২’টায়।
ঢাকা-জামতৈল-সিরাজগঞ্জ বাজার-জামতৈল-ঈশ্বরদী রুটে চলাচল করায় ঈশ্বরদী থেকে জামতৈল পর্যন্ত যাত্রীদের চলাচলে অতিরিক্ত প্রায় দুই ঘন্টা সময় ব্যয় হয়। ফলে ঈশ্বরদী-জামতৈল সেকশনের যাত্রীগণ এই ট্রেনে ভ্রমণে অনাগ্রহী হয়ে পড়ে।
অক্টোবর ২০১৬ মাসে ঈশ্বরদী-জামতৈল সেকশনে ৭৭৫ নম্বর ট্রেনে ১০২৭০ কোটার বিপরীতে মাত্র ১৪৩৬টি টিকেট (অকুপেন্সি ১৪%) ও ৭৭৬ নম্বর ট্রেনে ৭৮২৬ কোটার বিপরীতে ২২২টি টিকেট (অকুপেন্সি ৩%) বিক্রয় হয়। যাত্রী চাহিদা না থাকা সত্তেও কেবল পিট এটেনশনের জন্য সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ঈশ্বরদী পর্যন্ত পরিচালনা করতে হয়।
কিন্তু সম্প্রতি বিজি ওয়াশপিট নির্মিত হওয়ায় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য বিজি ট্রেনের পিট এটেনশন এখন থেকে ঢাকায় করা হবে। এজন্য সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরদী পর্যন্ত পরিচালনার আর কোন প্রয়োজন নাই।
এ অবস্থায় সিরাজগঞ্জবাসির আন্দোলন ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত), সদর-কামারখন্দ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি’র ক্রমাগত প্রচেষ্টা ও যোগাযোগের ফল হিসেবে প্রথমে চলতি বছরের ২০’ই জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা নতুন ভারতীয় বিজি কোচ দিয়ে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন টু কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস চলাচলের অনুমোদন প্রদান করেন।
এরপর রেলপথ মন্ত্রনালয়ের প্রঙ্গাপন অনুযায়ি আগামী ১৩’ই ডিসেম্বর থেকে ভোর ছয়টা’য় সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন ত্যাগ কওে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন হয়ে সকাল ১০ টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌছবে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস। আবার বিকেল পাচটায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করে রাত ০৯’টা ১৫ মিনিটে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে পৌছবে নতুন ভারতীয় বিজি কোচের ১০৫৬ আসনের এই ট্রেনটি।
সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনে ইঞ্জিন ঘুরানো ও কোচে পানি সরবরাহ ব্যাবস্থা নির্মিত হলে ট্রেনটি ঢাকা-সিরাজগঞ্জ রুটে চলাচলের জন্য ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখ থেকে প্রস্তুত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একই সাথে নতুন ভারতীয় কোচ দিয়ে সাজানো সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগামী ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হকের ‘ফ্লাগ অফ” এর মাধ্যমে উদ্বোধনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারন করে চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রনালয়ের প্রঙ্গাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়ক, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত), সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি জানান, দীর্ঘদিন পর সিরাজগঞ্জবাসির আরেকটি স্বপ্ন পূরন হতে যাচ্ছে নতুন ও আধুনিক ভারতীয় কোচ সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন সরাসরি সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন থেকে জামতৈল হয়ে ঢাকা যাতায়াত করার মাধ্যমে।
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময় নিয়ে কিছুটা যাত্রি ভোগান্তি’র কথা স্বীকার করে ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি আরো বলেন, আশা করছি এখন যে সময় নির্ধারিত হয়েছে তাতে আর যাত্রিদের কোন সমস্যা হবে না। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে দু-দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আলোচ্যসূচির এক নম্বরে রয়েছে সিরাজগঞ্জ থেকে সয়দাবাদ ও সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ নির্মান চুক্তির বিষয়টি।
এদিকে এ বিষটি জানার পর সিরাজগঞ্জ স্বার্থ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক গাজী ডাঃ জহুরুল হক রাজা সিরাজগঞ্জবাসির দাবি বাস্বায়নে আন্তরিকতা ও নিরলসভাবে পরিশ্রম করার মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের নতুন কোচ সংযোজন, আসন বৃদ্ধি ও সময়সূচি পরিবর্তনের জন্য আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি’র প্রতি কৃতঙ্গতা পোষন করে তাকে অভিনন্দন জানান।