সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Wednesday, May 10, 2017

দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনাকে আরো ১০ বছর সময়ে জন্য আহবান

সোহাগ লুৎফুল কবিরঃ
সামগ্রিক উন্নয়ন ও দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনায় আরো ১০ বছর সময় দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটিতে এলাকার তিন রাজনৈতিক কর্মী কাজল মেম্বর, ফেরদৌস মাষ্টার ও মোখলেসুর রহমানের মৃত্যুতে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন। বাগবটি হাট মাঠে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়াীলীগ আয়োজিত এ স্মরণ সভায় সবাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান দুদু। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য,শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী ইসহাক আলী, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লতিফ তারিন,মহিলা আওয়ামীলীগের জান্নাত আরা হেনরী তালুকদার,রাযগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান,গোলাম রব্বানী,শহীদুল আলম, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও মঞ্জুর মোর্শেদ সজল সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে এ স্মরনসভা জনসভায় রুপ নেয়। এর আগে স্ব্স্থ্যামন্ত্রী কাজীপুরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত একশত পরিবারের মধ্যে প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও দুই বান্ডিল করে ঢেউ টিন প্রদান করেন। এ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আবু নুর মোঃ শামসুজ্জামান, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সরকার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলামসহ দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি কাজীপুরের সীমান্তবাজার এলাকায় নির্মাণাধীন আইএইচটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিঃ জেনাঃ এম এ মোহী, নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান ও জাকির হোসেন। স্মরণসভায় বিএনপি’র সামনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ছাড়া কোন বিকল্প পথ খোলা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে আসতেই হবে। পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচতে পারে না, তেমনি নির্বাচন ছাড়াও রাজনৈতিক দল বাঁচতে পারে না। তাই বিএনপির সামনে নির্বাচনে অংশ নেয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। আর সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা কোনোভাবেই সংবিধান লঙ্ঘন করতে পারি না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবেন। নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল ওই নির্বাচনে অংশ নিবে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে যে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে তা বিএনপির চোখে পড়ে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ৮ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে এখন উদীয়মান শক্তিতে পরিণত হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া সত্যকে সত্য বলতে পারছেন না। শুধু বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা করছেন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যিনি স্থায়ীভাবে অন্ধ, তাকে উন্নয়ন দেখাবো কিভাবে? গত ৮ বছরে কোনোদিনও তারা সরকারের একটি কাজেরও প্রশংসা করেনি। সরকার কী একটিও ভালো কাজ করেনি? চট্টগ্রামে মেরিন ড্রাইভের রাস্তা দেখে খালেদা জিয়া এখন বলছেন— তিনি ওই রাস্তার কাজ শুরু করেছিলেন। কাজ যদি শুরুই করে থাকেন, তাহলে শেষ করেননি কেন? কাজ শুরু করা বড় কথা নয়, শেষ করাই সত্যিকারের নেতৃত্ব। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও দেশের কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। শুধু নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আওয়ামীলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে নাসিম বলেন, যে কোন মূল্যেই শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। দেশবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। ওরা ক্ষমতায় আসলে আবারও বাংলাদেশ রাজাকারের দেশে পরিণত করবে।

কাজিপুরের প্রতারক হালিমই বনানীর ধর্ষক নাঈম আশরাফ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কাজিপুরের প্রতারক হালিমই বনানীর ধর্ষক নাঈম আশরাফ।
বাবার নাম-পরিচয় গোপন রেখে এক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে গণপিটুনির শিকার হন নাঈম আশরাফ। এলাকায় তার নাম এইচএম হালিম। কিন্তু ঢাকায় গিয়ে নাম পাল্টে রাখেন নাঈম আশরাফ। বাবার নাম-পরিচয় বদলে এ পর্যন্ত বিয়ে করেছেন তিনটি। দুই স্ত্রী তার প্রকৃত পরিচয় জেনে চলে গেলেও তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখন ঢাকায় বসবাস করছেন তিনি।

নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা গান্ধাইল গ্রামের আমজাদ হোসেন ফেরিওয়ালার ছেলে এইচএম হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ। ২০০৪ সালে এসএসসি পাস করে বগুড়া পলিটেকনিকে ভর্তি হন তিনি। সেখানেও নিজের বাবার নামসহ পুরো পরিচয় গোপন করে প্রতারণা করে এক মেয়ের সঙ্গে। ব্যাপারটা জানাজানি হলে সেখানে গণপিটুনির শিকার হন তিনি। এরপর ঢাকায় চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে চাকরি নেন একটি মিডিয়া হাউজে।

এরপর থেকেই দীর্ঘদিন এলাকায় আনাগোনা ছিল না তার। কিছুদিন হলো হঠাৎ করেই নিজেকে কাজিপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পরিচয় দিয়ে এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুনে তার ছবি দেখা যায়। তাতেই নজরে আসে সেই হালিম ওরফে আজকের নাঈম আশরাফ। তবে তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর নির্যাতনের ঘটনা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয় কাজিপুরেও। গ্রামের ছেলের এমন কুকীর্তির খবর টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখে লজ্জায় পড়েন এলাকার নারী-পুরুষসহ শিশুরাও। এ ঘটনায় তারাও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

তার চাচা-চাচি জানান, পত্রিকায় ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটাই সেই হালিম। মানে নাঈম আশরাফ। তবে সে যে নাম বদলে নাঈম আশরাফ রেখেছে সেটা জানেন না তারা।

তার ব্যাপারে উপজেলার গান্ধাইল ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম জানান, ইতোপূর্বেও বগুড়া-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম বদলেছে সে। পূর্বেও অনেক কুকীর্তি প্রমাণ রয়েছে হালিমের।

তিনি জানান, হালিম এলাকায় না থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এমন ঘটনায় তিনি নিজেও বিব্রত।

Tuesday, May 2, 2017

চেয়ারম্যান শক্তি মির্জার মৃত্যুতে পরিবারের পাশে নাসিম

সোহাগ লুৎফুল কবিরঃ
প্রয়াত সংসদ সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আব্দুল লতিফ মির্জার একমাত্র ছেলে উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালিদ ইন্তেজার শক্তি মির্জার অপমৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে সমবেদনা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম শক্তি মির্জার অপমৃত্যুর বিষয়টি সরেজমিনে অবহিত হতে সোমবার রাতে শহরের মাছুমপুর মহল্লায় প্রয়াত নেতা সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল লতিফ মির্জার বাসভবনে যান এবং পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে বলেন এই অপমৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখ জনক এবং বেদনাদায়ক। এসময় তিনি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী, মরহুম আব্দুল লতিফ মির্জার স্ত্রী এবং একমাত্র কন্যা মুক্তি মির্জাকে ধর্য্য ধরতে বলেন এবং পরিবারের সমস্ত দ্বায়দ্বায়িত্ব নেন।

উল্লেখ্য শক্তি মির্জা গত শনিবার রাতে নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। রোববার সকালে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরপর দ্রুত তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রোকনুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রোববার ভোরে মাছুমপুর মহল্লার নিজ বাস ভবনে শক্তি মির্জা আত্মহত্যা করে। সে উল্লাপাড়া উপজেলার বংকিরহাট গ্রামের মির্জা বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা এবং লাহেরী মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের পরপর দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন।