সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Wednesday, March 29, 2017

জোড়া খুন মামলার আসামি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি

বার্তা প্রধান: সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্ধি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন আলোচিত শ্রমিকলীগ নেতা নাসির ও তার শ্যালক যুবলীগ নেতা টিক্কা জোড়া খুনের মামলার অন্যতম আসামি আব্দুস সাত্তার। সম্প্রতি তাকে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

এদিকে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর গত ১৬ মার্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের নিয়ে স্মরণকালের ভূরিভোজের আয়োজন করেন বালুদস্যু খ্যাত এই আব্দুস সাত্তার। এ ভূরিভোজে প্রায় ৩শ মানুষ অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ সুলতানা জুই। ধানবান্ধি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ সুলতানা জুই এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আব্দুস সাত্তার ধানবান্ধি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৫ মার্চ এই কমিটির অনুমোদন দেয় শিক্ষা অফিস।

এদিকে জোড়া হত্যা মামলার আসামি একটি স্কুলের অভিভাবক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি ছাড়াও সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় জোড়া হত্যা মামলার আসামি কীভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হলেন এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মাঝেই।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বালুমহালের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যমুনা নদীর চরে সাত্তার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন শ্রমিকলীগ নেতা নাসির উদ্দিন এবং তার শ্যালক যুবলীগ নেতা টিক্কা। এ ঘটনায় আব্দুস সাত্তারকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই সময় থেকেই বালু সাত্তারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিবহন শ্রমিকরা। নাসির-টিক্কা হত্যার ঘটনার কিছুদিন পর গ্রেফতার হন সাত্তার। বেশ কিছুদিন কারাবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে খুনিদের অনেকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালে তাদের ধরছে না পুলিশ।

শুধু তাই নয়, জোড়া খুনের মামলার আসামি হওয়া স্বত্বেও পুরো সমাজ-সেবক বনে গেছেন সাত্তার। সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ জেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর জনসভায়ও আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশে যোগদান করে। ২০১৬ সালের ২৮ অক্টোবর শুক্রবার নদীবন্দর, পর্যটন মোটেল ও ইকোনমিক জোন স্থাপনসহ সিরাজগঞ্জের সার্বিক ও সুষম উন্নয়নে ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে যমুনা নদীর পাড়ে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচিতে ব্যানার নিয়ে জোড়া হত্যা মামলার আসামি আব্দুস সাত্তারকে দেখা গেছে।

গত বছর সাত্তারের নেতৃত্বে যমুনা নদীর মতি সাহেবের ঘাট এলাকায় জঙ্গীবাদ বিরোধী মানববন্ধন কমূর্সচিও পালন করা হয়। এছাড়া পৌর এলাকার হোসেনপুরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও জোড়া হত্যা মামলার আসামি আব্দুস সাত্তারকে অতিথির আসনে দেখা যায়। তার উপস্থিতি দেখে অনেকেই হতভম্ব হলেও কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছেন না। এবার তিনি অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্ধি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতিও নির্বাচিত হলেন। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের নানা সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা আরও জানান, প্রধান শিক্ষিকা, ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৩৫৬ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ধানবান্ধি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভালো চলছিল। শিক্ষার গুনগত মানও ভালো রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে বালুখেকো আব্দুস সাত্তার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিদ্যালয় থেকে। অনেকেই তাকে মেনে নিতে পারছেন বলে তার সন্তানকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।

এ বিষয়ে নাসির-টিক্কা স্মৃতি পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকির হোসেন জানান, আব্দুস সাত্তার ধানবান্ধি স্কুলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কিনা আমার জানা নেই। যদি হয়েই থাকে তাহলে বিষয়টি আপনার গণমাধ্যমে তুলে ধরুন। যেহেতু ওই হত্যা মামলাটির বিচার এখনও শেষ হয়নি। সেহেতু এখনও তিনি ওই মামলার আসামি।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফরোজ জাহান জানান, স্থানীয়ভাবে কমিটি গঠন করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। এ কারণেই গত ১৫ মার্চ কমিটিকে অনুমোদন দেয়া হয়।

Thursday, March 23, 2017

সিরাজগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী

স্টাফরিপোর্টঃ 

সিরাজগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা  অফিসের নবর্নিমিত ভবনের উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নবনির্মিত ভবনটির উদ্বোধনকালে সিরাজগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক মোঃ শাহিন হাসানের সভাপতিত্বে নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, পৌর মেয়র আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা চেম্বার অব কমার্স এর প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য, পরিবার পরিকল্পনা রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মলয় কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোঃ মনজুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক এ,কে,এম মাহবুবুর রহমান জোয়ার্দ্দার, প্রধান প্রকৌশলী এইচ,ই,ডি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম,এ,মোহী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মোঃ শামীম ইকবাল ,প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

Monday, March 20, 2017

বিশ্বের সব দেশেই ক্ষমতাসীন দলের অধিনেই নির্বাচন হয়’

সোহাগ লুৎফুল কবিরঃ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, ভারত, আমেরিকাসহ বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই ক্ষমতাসীন দলের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হয়। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১৯ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশের আয়োজেন কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজেই ক্ষমতায় থেকে তার দলের প্রার্থী হিলারীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন। তারপরও বিরোধী দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্র্যাম্প নির্বাচিত হয়েছেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, একটি রাজনৈতিক দল ২০১৪ সালের নির্বাচনের বন্ধ করার উদ্দেশ্যে সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যায় লিপ্ত হয়েছিল। তারা টার্গেট করে পুলিশকে হত্যা করেছে। তারপরও নির্বাচন হয়েছে। শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে ভারত-পাকিস্তানসহ ইউরোপ আমেরিকার উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেখানে ব্যর্থ হয়েছেন, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের পুলিশ জীবন দিয়ে জঙ্গীবাদ নির্মূল করেছে। বাংলাদেশের পুলিশ এখন সাহসী। জঙ্গীবাদ সন্ত্রাস আর মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারবে না। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ-জনগনের সেতুবন্ধন সৃষ্টির আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ পুলিশের বন্ধু হবে তবে মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গী সন্ত্রাসীরা যেন কখনো প্রশ্রয় না পায়। আর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কর্মকর্তারা যেন নিজেকে পুলিশের হর্তাকর্তা না ভাবেন সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সমাবেশে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে পুলিশ মহা-পরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, পিপিএম,বিপিএম বলেন, বৃটিশ ও পাকিস্থান আমলে পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হতো, সে অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জনগনের সাথে পুলিশের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। পুলিশের ওপর জনগনের হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এটা একমাত্র সম্ভব কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে। বর্তমানে সময়ে পুলিশের দু’টো বানির্ং ইস্যু রয়েছে। একটি হলো মাদক, অন্যটি হলো জঙ্গীবাদ নির্মূল করা। এ দেশটি যেন আগামীতে ইরাক ও সিরিয়ার মত না হয়, কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে জঙ্গী ও মাদক দু’টোকেই নিমুল করতে হবে।

পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক ডা: হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, গাজী মম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজ খুরশীদ হাসান, র‌্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো: শাহাব উদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির আহবায়ক বিমল কুমার দাস, জান্নাত আরা হেনরী, হেলাল উদ্দিন, গাজী সাঈদুর রহমান প্রমূখ।

সমাবেশে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায় থেকে কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও মসজিদের ঈমামগণসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Friday, March 10, 2017

নির্বাচনে অন্য কোন ফর্মুলা দিয়ে লাভ নেইঃ সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম

সোহাগ লুৎফুলকবিরঃ
নির্বাাচনে অন্য কোন ফর্মুলা দিয়ে লাভ নেই মন্তব্য করে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন- ভারত আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে। ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন হবে। তিনি শুক্রবার বিকেলে রায়গঞ্জে রক্তাক্ত ভূইয়াগাতী দিবস স্মরণে আয়োজিত বিশাল স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
১৯৯৬ সালে খালেদা জিযার প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনে ৬ মার্চ সরকারের পেটুয়া বাহিনীর গুলিতে ভূইয়াগাতীতে ছাত্রনেতা জসমত, আনন্দ, রানা ও বুলবুল শহীদ হয়। তাদের স্মরণে রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ এই স্মরণসভার আয়োজন করেন। খালেদা জিযার প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত ও গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের আন্দোলনে নিহত ছাত্র নেতাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মরণসভায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান অতিথি মঞ্চে আরোহন করার আগে শহীদ চার ছাত্রনেতার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।
চান্দাইকোনা হাজী ওয়াহেদ মরিয়ম কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত স্মরণকালের বৃহত্তম এই বিশাল শ্বরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন রায়গঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম হোসেন শোভন সরকার। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ও জেলার সদর আসনের এম.পি ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, গাজী ম,ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, হাবিবুর রহমান হাবিব এম.পি, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ আব্দুল হান্নান, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুইট, লুৎফর রহমান দিলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাদী আলমাজী জিন্নাহ, উপজেরা চেয়ার্যান মারুফ বিন হাবিব, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুল হাকিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিহাদ আল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক প্রমুখ। বিকেল তিনটায়। এরই মধ্যে পার্শ্ববতী উপজেলা, গ্রাম গ্রামান্তর থেকে দলীয় নেতাকর্মীসহ নাসিম ভক্তরা সমবেত হয় হাজী ওয়াহেদ মরিয়ম কলেজ মাঠে। জনসমাগমে কানায় কানায় ভরে ওঠে কলেজ মাঠ। শোক বিধুঁর এ স্মরণ সভা এক পর্যায়ে বিশাল জনসমুদ্রে রুপ নেয়। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি মোহাম্মদ নাসিম সভাস্থলে পৌছান ঠিক চারটায়। কলেজ মাঠে প্রবেশের বিভিন্ন সড়কে এক শটিরও বেশী নানা সাইজের রংবেরংয়ের তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দের আগমণ উপলক্ষে।
স্মরণ সভায় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামীলীগের এই সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন- বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে। ইতিহাস বলে যারা নির্বাচন বর্জন করে তারা বরাবরই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হযে পড়ে। বিএনপি আগামী নির্বাচনকেও বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে নাসিম বলেছেন- নির্বাচন পরিচালনা এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাবার কোন সুযোগ নেই। ভারত আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে। ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্বাচনে দেশের শান্তি সমৃদ্ধি ও উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবারো আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন জোটকেই ভোট দেবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন তিনি। নাসিম বলেছেন- ২০১৯ সালের নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি আবারও নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে মাঠে নেমেছে। নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে অযৌক্তিক মন্তব্য করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার জন্যও তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন দেশের অব্যাহত উন্নয়ন এবং জনগনের মন জয় করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ আবারও বিজয়ী হবে। কোন ষড়যন্ত্রই এ বিজয়কে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আসুন, খেলা হবে মাঠে। রাষ্ট্রপতি একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ও দক্ষ রেফারি হিসেবে ভোট পরিচালনা করবে। এ ভোটের জয় পরাজয় মহাজোট মেনে নেবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ পেরিয়ে যাবে। আওয়ামীলীগের রাজনীতির অধ্যায় হচ্ছে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। অপরদিকে বি,এন,পির রাজনীতি হচ্ছে জ্বালাও পোড়াও, মানুষ হত্যা লুটপাট রাজনীতি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোহাম্মদ নাসিম জঙ্গী দমন, স্বাস্থ্য শিক্ষা, কৃষি, বিদ্যুত সহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের সাফল্য তুলে ধরে বরেছেন- বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হযেছে। এই সেতু নিয়ে বি,এন,পি সহ বিশ্বব্যাংকের অনেকেই মিথ্যাচার করেছেন। কানাডার আদালতে তা প্রমাণিত হয়েছে। মিথ্যা কথা বলার জন্য খালেদা জিয়ার শাস্তি পাওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি দলের প্রতিটি নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের সরকারের সাফল্য পাড়ায় মহল্লায় এবং গ্রামে গ্রামে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার আহবান জানান।
বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন ২০১৪ সালে একজন নেত্রী দেশে আগুন জ্বালিয়ে জঙ্গীবাদকে উস্কানি দিয়ে ভোটকে বানচাল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনগণ সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে একদিন জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছিল। গুলশানে তারা ৩০ জন বিদেশীকে হত্যা করে, শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে মুসল্লিদের হত্যা করে। তারপরও দেশপ্রেম ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে পুলিশ জীবনের বিনিময়ে মুসল্লিদের রক্ষা করেছিল। ইসলাম জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দেয় না, মুসলমান হয়ে মুসলমান হত্যার মতো জঘন্য কাজ ইসলাম পছন্দ করে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গী দমন হয়েছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপে বিশ্বব্যাপী আমাদের দেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মায়ের স্নেহ আর বোনের ভালবাসা দিয়ে জনগণের জন্য কাজ করছেন।
এর আগে মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোলে নির্মানাধীন শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন। তিনি রায়গঞ্জে পৌছে চান্দাইকোনা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করেন এবং মুসুল্লিদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

Tuesday, March 7, 2017

অর্টিষ্টিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দ্বারা নির্মিত মানিক সূত্রধর পরিচালিত টেলিফিল্ম মামা বাড়ি শুভমুক্তি ২রা এপ্রিল।

আসছে টেলিফিল্ম “মামা বাড়ী”
আন্তর্জাতিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী জনসচেনতা দিবস উপলক্ষ্য টেলিফিল্ম ‘‘মামা বাড়ী’’ প্রদর্শিত হবে আগামী ২ এপ্রিল থেকে।
জানাগেছে পারিবারিক সচেতনতা মূলক গল্প নির্ভর কাহিনি নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই টেলিফিল্ম।
যার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে সিরাজগঞ্জ অর্টিষ্টিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র উজ্জল দাস অনিক। এই প্রথম বাংলাদেশে কোন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কে দিয়ে টেলিফিল্মে অভিনয় করানো হয়েছে যার কারণে স্থানীয় দর্শক শ্রোতার মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে উজ্জল দাস অভিনীত ‘‘মামা বাড়ী’’ টেলিফিল্মটি ঘিরে।
এই টেলিফিল্মের অতিথি শিল্পী হিসাবে অভিনয় করেছেন সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি রিংকু কুন্ডু। পরিবেশনায় মিথিলা মাল্টিমিডিয়া, প্রযোজনা সঞ্জয় সরকার, রচনা এ.কে বিশ্বাস, নির্দেশনা শরিফুল ইসলাম, রুপ সজ্জায় আব্দুর রহিম খোকন সহকারি পরিচালনায় বিভাষ চন্দ এবং এই টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন মানিক সূত্রধর।
আগামী ( ২ এপ্রিল ) রবিবার আর্ন্তজাতিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী জনসচেনতা দিবসে এই টেলিফিল্মটি প্রর্দশিত হবে স্থানীয় ভাষানী মিলনায়তনে ২, ৩, ও ৪ এপ্রিল।

Friday, March 3, 2017

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর

স্টাফ করেসপন্ডেন্টঃ
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা: বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল একটি ডেডিকেটেড রেলসেতু নির্মাণের জন্য পরামর্শক নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যমুনা নদীর ওপর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণের নকশা প্রণয়নে সরকার এ কনসালটেন্ট নিয়োগ করলো।
বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দুপুরে রেলভবনে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জাপানের জাইকার সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে এ চুক্তি সাক্ষর করে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের রেলওয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুহাজারি থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার রেললাইনের কাজও খুব শিগগিরই শুরু হবে। ২০১৮ সালে যাতে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চালাতে পারি এ লক্ষে কাজ করছি।
খুব শিগগিরই বন্ধ হওয়া ৬০টি রেলস্টেশন চালু কর হবে- বক্তব্যে জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাত্রী সেবা বৃদ্ধি করেন আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা তা ধ্বংস করেন।

উত্তরবঙ্গের স্বপ্নের চারলেন প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পেল

স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের। প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে রংপুরের বুড়িমারী পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা।
মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় প্রকল্পটির। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
এটিসহ ১২ হাজার ৮শ’ ৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট সাতটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় একনেক সভায়। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ৯ হাজার ৫শ’ ২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলোর সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের অবগত করেন।
তিনি জানান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালের কাছে প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে রংপুরের বুড়িমারী পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়কে ৮০টি ‘বাস-বে’ নির্মাণ করা হবে। যেন এসব এলাকায় কোনো ধরনের জটলা তৈরি না হয়, এড়ানো যায় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র আরও জানায়, উন্নত দেশগুলোর মতোই আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে এ চারলেনে। প্রকল্পের আওতায় এ সড়কের দু’পাশে ধীরগতি সম্পন্ন যানবাহনের লেনও তৈরি করা হবে। যার ফলে এটি ছয়লেনে প্রশস্ত হবে।
এর পাশাপাশি মহাসড়কে ২ হাজার ৬৩৫ মিটারের তিনটি ফ্লাইওভার, ৪১১ মিটারের একটি রেলওয়ে ওভারপাস, ৩২টি ব্রিজ, ১৬১টি কালভার্ট, ১১টি পথচারী ওভারপাস, ৩৯টি আন্ডারপাস এবং একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ১২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশনের পর্যবেক্ষণের পর ব্যয় কমিয়ে ১১ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। প্রকল্পের সরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। বাকি অর্থ আসবে প্রকল্প সাহায্য থেকে।