সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Wednesday, November 12, 2014

সিগন্যাল ছাড়াই চলবে গাড়ি,ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সিগন্যাল ছাড়াই চলবে গাড়ি আরও উন্নত হচ্ছে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
মাত্র ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে মতিঝিল থেকে উত্তরা বা ২০ মিনিটের মধ্যে মতিঝিল থেকে মিরপুর পৌঁছানো সম্ভব। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট নিরসনে এমনই কিছু আশার বাণী শুনিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তারা । রাজধানী ঢাকায় যানজট নিরসনে বেশ কিছু বেহিকুলার আন্ডারপাস নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে ডিএসসিসি। শুরুতে মিরপুর রোডে ৬টি, ফকিরাপুল ও রাজারবাগে দুটিসহ মোট ১০টি বেহিকুলার আন্ডারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব আন্ডারপাস দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল করবে। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, রাজধানীর ২০টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযোগস্থলে এ ধরনের আন্ডারপাস নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। তবে দু’ভাগে এগুলো নির্মাণ করা হবে। প্রথম ধাপে নির্মাণ করা হবে ফকিরাপুল ও শাহজাহানপুরসহ মিরপুর রোডের ১০টি স্থানে। এ ১০টির জন্য ৬৪০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসসিসি। একইভাবে এয়ারপোর্ট রোডে ১০টি আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে।

Friday, October 24, 2014

ঘৃণার জুতার মুখে গোলাম আযম

খবর > বাংলাদেশ > ঘৃণার জুতার মুখে গোলাম আযম ঘৃণার জুতার মুখে গোলাম আযম রিয়াজুল বাশার, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published: 2013-07-15 02:08:26.0 BdST Updated: 2013-07-15 05:20:13.0 BdST ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি দুপুর, বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে। ফিলিস্তিনে নিহত দুই বাংলাদেশির জানাজা মাত্র শেষ হয়েছে। জানাজায় অংশ নিয়ে গাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রধান নেতা গোলাম আযম। Print Friendly and PDF 2 61 7669 এমন সময় তার দিকে এগিয়ে এলেন ৩৬ বছরের এক যুবক। ডান হাতে ধরা পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে পরপর দুটি আঘাত করলেন গোলাম আজমের মুখে। প্রথমটি লাগলো কপালে, দ্বিতীয়টি চোয়ালে। এরপর ৩২ বছর ধরে এই জুতাপেটার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের প্রতীক হয়ে আছে। আর ওই জুতাপেটার ঘটনাটি নিয়ে কয়েকদিন ধরে সংবাদপত্রে খবর ছিল বলে জানিয়েছেন তখনকার তরুণ সাংবাদিক, বর্তমানে দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান। প্রত্যক্ষদর্শী একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন সেদিনের জুতাপেটার ঘটনাটি। গোলাম আযমকে জুতাপেটার সেই ছবি “দুপুর ১১টা থেকে ১২টার মধ্যকার ঘটনা। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইট তখনো হয়নি। মসজিদের সিঁড়ির কয়েক গজ দূরে লাশ রেখে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।” “জানাজায় ছাত্র-শিক্ষক-জনতা-বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। জানাজার কিছুক্ষণ আগেই দুটি কার এসে থামে রাস্তার পাশ ঘেঁষে। একটির মধ্য থেকে বেরিয়ে আসেন গোলাম আযম।” স্বাধীনতার ঠিক আগে দেশ ছেড়ে যাওয়া গোলাম আযম ১৯৭৮ সালে ফিরলেও দলীয় অনুষ্ঠানের বাইরে সেটাই ছিল তার প্রকাশ্য কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান। সাংবাদিক মুনীরুজ্জামান বলেন, “জিয়াউর রহমান গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর ওইটাই ছিল তার প্রথম পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্স। মানুষ তাকে কীভাবে নেয়, তার একটা টেস্ট কেইসও ছিল ওই দিন।” বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ঘটনার বর্ণনাকারী ওই ব্যক্তি নিজেও গোলাম আযমকে জুতাপেটা করেছিলেন। তার ভাষায়, “গোলাম আযম আসার পরই আমাদের মধ্যে একটা গুঞ্জন তৈরি হলো। তার আসাটা আমরা মেনে নিতে পারিনি।” “বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা একজন মানুষ এভাবে আমাদের সঙ্গে এক কাতারে দাঁড়িয়ে জানাজা পড়বে, আমাদের সমাজে মিশে যাবে, এটা আমাদের ভাবতেও অবাক লাগছিল।” “কয়েক মিনিটের মধ্যেই জানাজা শেষ হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে ওঠার জন্য এগিয়ে আসেন গোলাম আযম। আমার থেকে তখন ১০-১২ ফুট দূরে। হঠাৎ আমার পায়ের স্যান্ডেল হাতে উঠে এল। এগিয়ে গিয়ে পরপর দুটো আঘাত করলাম। প্রথমটা লাগলো কপালে, দ্বিতীয়টা চেয়ালে।” এরপর গোলাম আযমের সঙ্গে থাকা অন্যরা তাকে আড়াল করে গাড়িতে তুলে সেখান থেকে সরে পড়ে বলে জানান ওই ব্যক্তি। তিনি জানান, ওই ঘটনার মাত্র দুটি ছবি তুলেছিলেন তখন দৈনিক সংবাদে কাজ করা রশীদ তালুকদার। একটি ছবি পরদিন সংবাদে ছাপা হয়েছিল। জুতাপেটার পরপর ঘটনাস্থলের কাছে জামায়াতকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন এই ব্যক্তি। “জিরো পয়েন্টের কিছুটা এগুতেই কয়েকজন এসে জোর করে আমাকে গাড়িতে তুলতে চায়। তাদের সঙ্গে আমার ধস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে জাসদ নেতা প্রয়াত কাজী আরেফ আহমেদ ও তার সঙ্গীরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।” কেন জুতা মারতে গেলেন- জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “চরম ঘৃণা থেকেই তাকে মেরেছিলাম। একজন স্বাধীনতাবিরোধী, একজন দেশদ্রোহী, যারা নেতৃত্ব অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবেন- এটা কি মেনে নেয়া যায়?” সাংবাদিক মুনীরুজ্জামান বলেন, জানাজায় এসে গোলাম আযম জুতাপেটার পাশাপাশি কিল-ঘুষিও খেয়েছিলেন বলে তারা শুনেছেন। “পরদিন তখনকার প্রায় সব পত্রিকাতেই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছিল। সংবাদে জুতোপেটার ছবিও ছাপা হয়েছিল। একাধিক ছাত্র সংগঠন এ ঘটনা নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছিল।” বেশ কিছুদিন ধরেই সংবাদপত্রে কলাম লেখকদের লেখনিতে তা উঠে এসেছিল বলে এই সাংবাদিক জানান।